Alapon

মোসাদের হাতে নিহত হওয়া মুসলিম বিজ্ঞানীগণ




মোসাদের হাতে নিহত হওয়া মুসলিম বিজ্ঞানীগণ
.
.
গত শতকে অনেক গুপ্তহত্যা ঘটিয়েছে ইসরায়েলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলন থেকে শুরু করে আরব দেশের মুসলিম বিজ্ঞানীরা যারা ইসরায়েলের স্বার্থের পরিপন্থি তাদেরও বাদ দেয়নি মোসাদ। 'বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকরী হত্যাযন্ত্র' খ্যাত মোসাদের শিকার থেকে রেহাই পাননি বিজ্ঞানীরাও। শত্রুদেরকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে নিতে পারবে এমন অনেককেই লক্ষ্য বানায় মোসাদ। তারপর সুযোগ বুঝে ঘায়েল করে দেওয়া হয়। তাদের গুপ্তহত্যার শিকার কয়েকজন বিজ্ঞানী ও গবেষককে নিয়ে আজকের আয়োজন।

সামিরাহ মুসা
.
১৯৫২ সালে মিসরীয় পরমাণু বিজ্ঞানী সামিরাহ মুসাকে হত্যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইসরাইলের গুপ্তহত্যার এই মিশন। ড. সামিরাহকে যুক্তরাষ্ট্রে এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে হত্যা করা হয়। এই নারী বিজ্ঞানীকে ইসরাইলের পছন্দ না করার কারণ তিনি মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের ক্রমবর্ধমান পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন। এছাড়া তিনি কম মূল্যে পরমাণু উপকরণ উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছিলেন।

ইয়াহিয়া এল মাশাদ
.
মিশর, ব্রিটেন এবং রাশিয়ায় পড়াশোনা করে এসে এই গবেষক মিশরের আণবিক সংস্থায় যোগ দেন। ৩য় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর মিশরের বেসামরিক আণবিক কর্মসূচী একদম বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৬৭ সালের পর এল মাশাদ ইরাকে চলে যান এবং দেশটির আণবিক সংস্থায় যোগ দেন। রিঅ্যাক্টরের জন্য প্রচুর খুচরা যন্ত্রপাতি ইউরোপ থেকে আমদানি করতে হতো। এর জন্য এল মাশাদকে ফ্রান্সে নিজেদের কেনাকাটার সমন্বয়কারী হিসেবে নিযুক্ত করে ইরাক। মোসাদ যখন এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয় তখন তাকে হত্যা করে।

প্যারিসের লা মেরিডিয়ান হোটেলে গলা কাটা অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকা এক নারীও আত্মহত্যা করেন, যদিও প্যারিস পুলিশের ধারণা, ঐ নারী আত্মহত্যা করেননি, বরং এটিও মোসাদের কাজ।
.
ড. মাজিদ শাহরিয়ারি ও ড. আব্বাস-দাভানি
.
নিউট্রন বিশেষজ্ঞ মাজিদ শাহরিয়ারি ইরানের এক প্রতিভাবান পরমাণু গবেষক। নির্দিষ্ট পদবী না জানা গেলেও ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার একজন প্রকৌশলী হিসেবে উল্লেখ করা হতো তাকে।

২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর নিজে গাড়ি চালিয়ে কর্মস্থল শহীদ বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ট্রাফিক জ্যামে গাড়ির গতি কমে যেতেই হঠাৎ মোটরবাইক থেকে গুপ্তঘাতক চুম্বক লাগানো সি-৪ বোমা গাড়ির দরজায় আটকে দেয়। কয়েক সেকেন্ড পরেই বিস্ফোরণ ঘটে এবং তিনি মারা যান। পাশের আসনে বসা ড. মাজিদের স্ত্রীও মারাত্মক জখম হন এই হামলায়।

এর কিছু দূরেই দ্বিতীয় একটি হামলা হয়। এতে তেহরানের রাস্তায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহীদ বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক অধ্যাপক ড. আব্বাসির গাড়ি লক্ষ্য করেও একইভাবে হামলা হয়। আহত হলেও শেষপর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যান তিনি। একই দিনে তৃতীয় আরেকটি বিস্ফোরণের কথাও শোনা যায়, যদিও ইরানের গণমাধ্যমে পুলিশ প্রধান তা অস্বীকার করেন।

পদার্থবিজ্ঞানে প্রচুর জ্ঞান রাখা ড. আব্বাসি ইরানের আণবিক সংস্থার তৎকালীন প্রধান ছিলেন। অস্ত্রের উন্নতির জন্য লেজার প্রযুক্তি নিয়েও গবেষণা করতেন তিনি। লেজার প্রযুক্তি গোলা বা রকেটের লক্ষ্য ভেদ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও ইরানের হাতে গোনা কয়েকজন আইসোটোপ পৃথকীকরণ বিশেষজ্ঞের মধ্যে তিনি একজন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে অসহযোগিতার অভিযোগে ২০০৭ সালে জাতিসংঘ তার ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং বিদেশে থাকা সমস্ত সম্পদ জব্দ করার হুকুম দেয়। প্রাথমিক তদন্ত করলেও তেহরান পুলিশ ঘটনার হোতাদের ধরতে ব্যর্থ হয়।
.
মাসুদ আলী মোহাম্মদী
.
প্রতিভাবান এই গবেষক ইরানের বিখ্যাত শারিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। গোপনে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সাথে বেশ ভালোভাবেই যুক্ত ছিলেন। ইরানের অভিজাত রেভ্যলুশনারি গার্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততা আছে বলে শোনা যায়। ২০০৯ সালে হজ্জ করতে গিয়ে তিনি প্রথম বুঝতে পারেন, কেউ তাকে অনুসরণ করছে।

তিনি ভেবেছিলেন, স্বদেশের মাটি তার জন্য নিরাপদ। কিন্তু ২০১০ সালের এক সকালে বাড়ির থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠার সময় একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। পাশের এক মোটরবাইকের সাথে একটি বোমা বাঁধা ছিল। সেটি এতই শক্তিশালী ছিল যে আশেপাশের বাড়ির কাঁচ পর্যন্ত শক-ওয়েভে ভেঙে যায়।

২০০৯ সালে উইকিলিকসের ফাঁস করা এক মার্কিন তারবার্তা বিশ্লেষণ করে ইরান সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে। আটক মজিদ জামালি মোসাদের সাথে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ২০১১ সালে তার ফাঁসি হয়।
.
দারিউশ রেজায়ি
.
৩৫ বছর বয়সী পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক দারিউশ রেজায়ি ইরানের বুশেহর পরমাণু প্রকল্পের একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশলী ছিলেন। বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্লাস নিয়ে ফেরার সময় মোসাদের দুই এজেন্ট তাকে অনুসরণ করে। দক্ষিণ তেহরানের অভিজাত এলাকা বনি হাশেম স্ট্রিটে বাড়ির কাছাকাছি আসতেই গুলি করা হয় তাকে। পশ্চিমাদের বিশ্বাস, বুশেহর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আড়ালে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করছিল। এটিতেও কোনো ক্লু পায়নি পুলিশ।
.
মোস্তফা আহমাদ রোশান
.
৩২ বছর বয়সী কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা আহমাদ রোশান ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণু কেন্দ্রের পরিচালক ছিলেন। ২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি প্রতিদিনকার মতো উত্তর তেহরানের রাস্তা দিয়ে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় হঠাৎ তার গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রত্যক্ষদশীরা জানায়, মোটরসাইকেল থেকে দুজন লোক কিছু একটা গাড়িতে বসিয়ে দিয়েছিল। পুলিশ পরে বের করে, গাড়িতে চুম্বক সংযুক্ত বোমা বসানো হয়েছিল। কয়েক মুহূর্ত পরেই বিস্ফোরণ ঘটে। শক্ত প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারলেও এটা প্রায় নিশ্চিত, ইরানের বিপ্লব বিরোধী গোষ্ঠী মুজাহিদিন-ই খালকের সহায়তায় এই বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে মোসাদ।

ধারণা করা হয়, সে সময় ইরানের পুলিশ এবং গোয়েন্দা দপ্তরের মধ্যে আদান-প্রদান হওয়া বিভিন্ন বার্তায়ও আড়ি পেতেছিল মোসাদ এজেন্টরা।
.
মোহাম্মদ জাওয়ারি
.
হামাসের আল কাসসাম ব্রিগেডের হয়ে কাজ করা সামরিক বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ জাওয়ারি ১০ বছর ধরে ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছিলেন। ৪৯ বছর বয়সী এই প্রকৌশলী আবাবিল নামের একটি ড্রোন তৈরি করছিলেন। ২০১৪ সালে আবাবিল প্রথম স্বল্পমাত্রায় ব্যবহার করা হলেও ধারণা করা হয়, এতে কোনো অস্ত্র ছিল না। জাওয়ারি আবাবিলকে অস্ত্র বহনের উপযোগী করে তুলছিলেন। আল জাজিরার এক রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি হামাসের ড্রোন প্রজেক্টের দলনেতা ছিলেন।

২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বরে তিউনিশিয়ার সফক্স শহরে গাড়ি চালানোর সময় হঠাৎ করেই একটি ট্রাক এসে তার পথ আটকে দাঁড়ায়। সাইলেন্সার লাগানো বন্দুক থেকে ২০টি গুলিতে তাকে ঝাঁঝরা করে দেয়। ঘটনাস্থলের পাশেই একটি ক্যাফের সিসিটিভিতে সবকিছু ধরা পড়ছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, অজ্ঞাত কোনো হ্যাকার সিসিটিভিটি অচল করে রেখেছে এবং সব ফুটেজ ডিলিট করে দিয়েছে। ধারণা করা হয়, সাংবাদিক ছদ্মবেশে একজন মোসাদ এজেন্ট তার সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন এবং সেখান থেকে ইসরায়েল তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।
.
ফাদি আল-বাৎশ
.
শিক্ষায় অন্যতম সফল এই ফিলিস্তিনি নাগরিক ২০১১ সালে উচ্চতর গবেষণার উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া আসেন। কুয়ালালামপুর ইউনিভার্সিটি অব মালায় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি শিক্ষকতা এবং গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি ড্রোন প্রযুক্তির উপর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি নিজের প্রতিভার ছাপও রাখেন। ২০১৬ সালে লাভ করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পুরষ্কার। খুব দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা হয়, ফাদি হামাসের জন্য রকেট আধুনিকায়নের কাজ করছিলেন।
প্রতিদিনের মতো ২১ এপ্রিল সকালে নামাজ পড়তে বেড়িয়েছিলেন ফাদি। মসজিদের সামনে আসতেই ২০ মিনিট ধরে মোটরবাইকে অপেক্ষা করা দুই গুপ্তঘাতক ১০টি গুলি চালায় তাকে লক্ষ্য করে। এর মধ্যে ৪টি গুলি তার মাথায় বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমাদ ঘটনার জন্য কারো নাম উল্লেখ না করে 'একটি বিদেশী সংস্থা'র কথা বলেন। তবে এটি সবার কাছেই পরিষ্কার, এই হত্যার পেছনে মোসাদ ছাড়া আর কেউ নেই।
.
মোহসেন ফখরিজাদেহ
.
সর্বশেষ মোহসেন ফখরিজাদেহ, ইরানের অন্যতম একজন পরমানু বিজ্ঞানী। ইরানের পরমাণু গবেষনায় যারা অবদান প্রথম সারির দিকে।
.
যিনি ইরানের একমাত্র বিজ্ঞানী যাকে নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২ বছর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিজ্ঞানীর নাম উচ্চারন করেছিলেন। ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এই বিজ্ঞানীকে ৩ বছর এর আগেও একবার হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিল।

রাজধানী তেহরানের পূর্বদিকে অবসার্দ নামক এলাকায় হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় এই অন্যতম বিজ্ঞানীকে।
তিনি তেহরানের ইমাম হুসেইন ইউনিভার্সিটির ফিজিক্স ডেপ্টের শিক্ষক ছিলেন।

পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে মোহসিন ফখরিযাদে ইরানের পরমাণু কর্মসূচীর প্রধান হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
.

অন্যান্য
.
১৯৬৭ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি গাড়ী দুর্ঘটনায় মিশরীয় পারমাণবিক বিজ্ঞানী সামির নাগুবকে হত্যা করেছিলো মোসাদ , যখন তিনি মারা যান তখন মিশরীয় পারমাণু গবেষণা কর্মসূচি চালু করতে সহায়তা করার জন্য দেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।

১৯৬৭ সালে আরেক মিসরীয় পরমাণু বিজ্ঞানী ড. সামির নাজিবকে হত্যা করে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা। পরমাণু প্রযুক্তির সামরিক প্রয়োগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা করছিলেন তিনি। মার্কিন শহর ডেট্রয়টে তাকে হত্যা করা হয়।

১৯৮৯ সালে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু দুর্বৃত্ত মিসরীয় বিজ্ঞানী সাইদ আল-বোদায়েরকে তার নিজের বাসভবনে গুলি করে হত্যা করে। মাইক্রোওয়েভ বিষয়ে কাজ করছিলেন তিনি।

১৯৯১ সালে লেবাননের পদার্থবিজ্ঞানী রামাল হাসান রামাল প্যারিসে রহস্যজনকভাবে খুন হন। তিনি মোসাদের শিকার বলে মনে করা হয়।

২০০৪ সালে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বাকুবাতে ইরাকি পারমাণবিক বিজ্ঞানী ইব্রাহিম আল-ধহেরিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনিও মোসাদের শিকার বলে মনে করা হয়।

ফিলিস্তিনি প্রকৌশলী ও কানাডায় পিএইচডি গবেষক হাসান আলি খাইরুদ্দিনকে হত্যা
করে মোসাদ। বিশ্ব অর্থনীতিতে ইহুদি আধিপত্য নিয়ে গবেষণা করছিলেন তিনি। না থামলে মেরে ফেলা হবে- এমন হুমকি আগে থেকেই দেয়া হচ্ছিল ২৩ বছর বয়সী এই গবেষককে। শেষ পর্যন্ত সেন্ট ম্যারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়।

এছাড়াও লেবাননের আরেক বিজ্ঞান শিক্ষার্থী হিশাম সালিম মুরাদকে হত্যার পেছনে মোসাদকে সন্দেহ করা হয়। তিনি জোসেফ ফুরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরমাণু পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। এই গুপ্তহত্যার পেছনে মোসাদ জড়িত বলে মনে করে নিতহের পরিবার। চলতি বছরের ২৫ মার্চ পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনি রসায়নবিদ ইমান হোসাম আল-রোজাকে হত্যা করে ইসরাইল।

এভাবে আরব বিশ্বের বিজ্ঞানীদের হত্যা করে নিজের আধিপত্যবাদী এজেন্ডা কায়েম রেখেছে ইসরাইল। আরব বিশ্ব যাতে পরমাণু প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে না পারে সেজন্য এই গুপ্তহত্যার পথ বেছে নেয় দেশটি। এ ব্যাপারে তুর্কি রাজনৈতিক ভাষ্যকার মোস্তফা ওজান বলেন, ‘আরবরা পরমাণবিক শক্তির অধিকারী হবে এমনটা কখনো চায় না ইসরাইল, আর এ কারণেই তারা মিসর, ইরাক, ইরানের মতো মুসলিম দেশগুলোর বিজ্ঞানীদের টার্গেট করে। এসব হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ইসরাইল কখনো কোনো মন্তব্য করে না যাতে বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা সৃষ্টি না করে।’

সৌজন্যে মোঃ সোহানুর রহমান

পঠিত : ৫৯৮ বার

মন্তব্য: ০