Alapon

ভাস্কর্য বিষয়ে উসতায ইউসুফ আল কারযাভীর মতামত...



উসতায ইউসুফ আল কারযাভী সমকালীন বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় আলিমে দ্বীন ও গবেষক। তিনি বিশ্ববিখ্যাত আলিমদের সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর মুসলিম স্কলারস’ এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন এবং সাবেক সভাপতি।

(উসতায কারযাভীর মতামত ও লেখনীর বৈশিষ্ট্যের একটি দিক হচ্ছে, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো বিষয়ে কুরআন-সুন্নাহতে সুস্পষ্ট হারাম সাব্যস্ত করা হয়নি, ততক্ষণ তিনি ‘হারাম’ শব্দ প্রয়োগ থেকে সচেতনভাবে বিরত থাকেন। বিভিন্ন শর্ত ও অবস্থার কারণে কোনো বিষয় হারাম হলে, তিনি সেই শর্ত ও অবস্থার উল্লেখ না করে ‘হারাম’ বলতে চান না। অর্থাৎ সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবে হারাম প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি হালালের গন্ডিকে বিস্তৃত করতে চান। এজন্য তাঁর সমালোচকরা তাকে ‘অতি উদারবাদী’ আখ্যায়িত করে নিন্দা করেন। সেই কারযাভী যখন কোনো বিষয়ে ‘হারাম’ হওয়ার বিষয়ে বক্তব্য দেন, তখন বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে, তা কতখানি জঘন্য পর্যায়ের হারাম।

এই উপক্রমনিকা মাথায় রেখে ভাস্কর্য বিষয়ে তাঁর মতামত পড়ার আমন্ত্রণ। আরও বিস্তারিত জানতে ‘ইসলাম ও শিল্পকলা’ বইটি পড়া যেতে পারে।)


চিত্র, ভাস্কর্য ও এর নির্মাতাদের বিষয়ে বিধানের সারকথা


চিত্র ও চিত্রকরদের বিধানগুলোর সারসংক্ষেপ এভাবে করা যায় :

ক. সবচেয়ে জঘন্য হারাম চিত্র হলো, যেসব চিত্রের পূজা করা হয়। জেনেশুনে এ জাতীয় চিত্র অঙ্কন করলে তা অঙ্কনকারীকে কুফরির দিকে ঠেলে দেবে।

এ জাতীয় চিত্র যদি মূর্তিমান হয়, তাহলে তা হারাম ও নিন্দনীয় হওয়ার মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। যারা এ জাতীয় চিত্রের প্রচলন ও সম্মান প্রদর্শনে কোনোভাবে সহযোগিতা করবে, তারা সহযোগিতার পরিমাণ অনুযায়ী পাপী সাব্যস্ত হবে।

খ. গুনাহ ও পাপের দিক থেকে এর পরের স্তরে আসে সেসব ছবি, যার পুজা করা না হলেও তা তৈরির উদ্দেশ্য-- সৃষ্টিকর্মে আল্লাহর সমকক্ষ হওয়ার প্রয়াস। অর্থাৎ যে চিত্রাঙ্কনের পেছনে চিত্রকরের এমন দাবি বা মনোবৃত্তি থাকে যে, আল্লাহ যেমন সৃষ্টি করেন, সেও তেমনি সৃষ্টি করে। এতে সে কুফরির দিকে চলে যায়। এক্ষেত্রে কুফরির বিষয়টি চিত্রকরের নিয়তের ওপরেই নির্ভর করে।

গ. এর পরের স্তরে আসে অপূজনীয়দের মূর্তিমান চিত্র, যদি তারা সম্মানিত ও মর্যাদাবান হয়। যেমন-- রাজা-বাদশাহ, নেতা-নেত্রী ইত্যাদির মূর্তি; যাদের স্মরণীয় করে রাখার জন্য মূর্তি তৈরি করা হয় এবং তা দর্শনীয় স্থান, মাঠ, চৌরাস্তা, পার্ক ইত্যাদিতে স্থাপন করা হয়। এসব মূর্তি পূর্ণ হোক বা অর্ধেক হোক, তাতে পাপের ক্ষেত্রে কোনো তফাত হয় না।

ঘ. এর পরের স্তর হলো প্রাণীদের সেসব মূর্ত চিত্র-- যার তাজিম বা সম্মান করা হয় না। এসব মূর্ত চিত্র হারাম হওয়ার ব্যাপারেও ঐকমত্য রয়েছে। তবে এর মধ্যে যা নিতান্তই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয় যথা-- শিশুদের খেলার পুতুল, মিষ্টান্ন ইত্যাদির তৈরি মূর্তি ব্যতিক্রম (অর্থাৎ হারাম নয়)।

ঙ. এর পরের স্তরে আসে সম্মানিত লোকদের বিমূর্ত চিত্র (শিল্পকর্ম), যেমন-- নেতা-নেত্রীর ছবি। বিশেষত তা যদি টাঙানো হয় বা কোথাও স্থাপন করে রাখা হয়, তাও হারাম। এ জাতীয় ছবির স্থাপন ও টাঙানো আরও বেশি হারাম হয়, যদি তারা জালিম, ফাসিক ও নাস্তিক হিসেবে পরিচিত হয়। কারণ, এসব লোকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ইসলামকে হেয় ও ধ্বংস করার নামান্তর।

চ. এর পরের স্তর হলো প্রাণীর সে বিমূর্ত চিত্র-- যার সম্মান করা হয় না, তবে তা বিলাসিতার উপাদান হিসেবে চিহ্নিত হয়; এসব দ্বারা দেয়াল ইত্যাদি ঢাকা হয়। এ জাতীয় চিত্রের ব্যবহার মাকরুহ।

ছ. এ ছাড়া অপ্রাণী তথা গাছ-পালা, নদী-নালা, সমুদ্র, পাহাড়-পর্বত, জাহাজ-স্টিমার, আকাশ-নক্ষত্র ইত্যাদি প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি অঙ্কন করা ও সংগ্রহ করা অবৈধ নয়, যদি তা ইবাদত-বন্দেগি থেকে বিমুখ না করে এবং বিলাসিতার পর্যায়ে না পড়ে। আর যদি তা হয়, তাহলে তাও মাকরুহ হবে।

জ. বাকি থাকে ফটোগ্রাফি, তা মূলত বৈধ; যদি ছবির বিষয়বস্তু হারাম বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত না হয়। যেমন-- তা ধর্মীয়ভাবে পূজনীয় ও দুনিয়াবি কারণে সম্মানিত এমন কারও ফটো না হয়, বিশেষত তা যদি ফাসিক, ফাজির ও নাস্তিকদের ফটো না হয়। কামউনিস্ট, পৌত্তলিক ও বিকৃত মানসিকতার শিল্পীদের ফটো না হয়।

ঝ. শেষ কথা হলো, মূর্তি কিংবা হারাম ও মাকরুহ ছবি যদি বিকৃত করা হয়, কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যভাবে ব্যবহার করা হয়, তখন তা হারাম ও মাকরুহের গণ্ডি থেকে বের হয়ে বৈধতার গণ্ডিতে প্রবেশ করে। যেমন বেডশিট, মেট ইত্যাদির ছবি, যা পা ও জুতা ইত্যাদি গিয়ে মাড়ানো হয়।

অগ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা

ইদানীং অতি নগন্য সংখ্যক কিছু আলিম চিত্র তৈরি ও চিত্র সংগ্রহ সম্বন্ধে বর্ণিত সহিহ হাদিসগুলোর অগ্রহণযোগ্য কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যাতে সব ধরনের ছবি এমনকি মূর্তিমান ছবিগুলোও বৈধ প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। যেমন-- আবু আলি ফারেসি তাঁর তাফসিরে উল্লেখ করেছেন- কিছু কিছু লোক বলে থাকে যে, হাদিস শরিফে ‘মুছাব্বির’ বা চিত্রকর বলতে ওইসব লোকদের বোঝানো হয়েছে, যারা আল্লাহর আকৃতি সাব্যস্ত করে। অর্থাৎ ‘মুজাসসামা’ ও ‘মুশাব্বাহা’ মতবাদীরা, যারা আল্লাহ তায়ালাকে তাঁর সৃষ্টির সাদৃশ্যমান বলে বিশ্বাস করে। তাকে শরীর, কায়া ও রূপের অধিকারী বলে মনে করে। অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা হলেন এমন সত্তা, যার সাদৃশ্য কোনো কিছু নেই (অর্থাৎ যিনি তাঁর কোনো সৃষ্টির সাদৃশ্যমান নন)।

আবু আলি ফারেসি তাঁর আল হুজ্জা নামক গ্রন্থেও এসব কথা উল্লেখ করেছেন। হাদিসের এ ধরনের ব্যাখ্যা নিঃসন্দেহে অপব্যাখ্যা। কারণ, হাদিসের শব্দাবলি এমন কিছু সমর্থন না।

আর কিছু লোক বলে, সাইয়িদুনা সুলায়মান আ.-এর জন্য যা বৈধ করা হয়েছিল বলে কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, তা আমাদের জন্যও বৈধ। সূরা সাবায় বলা হয়েছে--

يَعْمَلُونَ لَهُ مَا يَشَاء مِن مَّحَارِيبَ وَتَمَاثِيلَ

“(জিনেরা) তাঁর জন্য তৈরি করে তাঁর ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ ও ভাস্কর্য।” সূরা সাবা : ১৩

তাদের মতে-- ভাস্কর্য তৈরি এ উম্মাহর জন্য রহিত করা হয়নি। তাদের এ অভিমত আবু জাফর নুহ্হাছ উল্লেখ করেছেন। আল হিদায়া ইলা বুলুগিন নিহায়া নামক তাফসিরে মাক্কিও এ অভিমত উল্লেখ করেছেন। এ ব্যাখ্যাও মূলত অগ্রহণযোগ্য।

একইভাবে অনেকে ছবি নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদিসগুলো মাকরুহের বিধান দেয় বলে মন্তব্য করেছে। কারণ, সেসময় ছবি তৈরি ও ব্যবহারের ওপর কঠোরতা আরোপ করা হয়েছিল এ জন্য যে, সময়টা ছিল পৌত্তলিকতার নিকটবর্তী। বর্তমানে এ অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।

যারা এরূপ ব্যাখ্যা দেয়, তাদের এ ব্যাখ্যাও অপব্যাখ্যাই। কারণ, এখনও বিশ্বে লাখো-কোটি মানুষ পৌত্তলিকতায় বিশ্বাসী।

এ জাতীয় কথা এর আগেও বিচ্ছিন্নভাবে বলা হয়েছিল। ইমাম ইবনে দাকিক আল-ইদ তাদের এ জাতীয় বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এ কথা নিঃসন্দেহে বাতিল। কারণ, এ বক্তব্যে ভাস্কর্য নির্মাণ নিষিদ্ধ হওয়ার জন্য যে কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, শরিয়তদাতা তার বিপরীত কারণ উল্লেখ করেছেন। তা হলো চিত্রকর চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্মে আল্লাহর সৃষ্টির সমকক্ষতা অর্জন করতে চায়।” তিনি আরও বলেন, “এই কারণটি সাধারণ (সব সময়ের জন্য), কোনো বিশেষ যুগের সাথে নির্দিষ্ট নয়। আমরা সুস্পষ্ট কোনো নসের কাল্পনিক মনগড়া অর্থ দ্বারা অপব্যাখ্যা করতে পারি না।”

সত্য ও স্পষ্ট কথা হলো-- এ কথাগুলো কোনো বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন মুসলিমকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। যার কারণে ইসলামি সভ্যতা ও ইসলামি জীবনব্যবস্থার সাধারণ প্রবাহে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। অবশ্য কোনো কোনো দেশে কোনো ব্যক্তি বিশেষ সেসব মতানুসারে আমল করেছে। যেমন-- আমরা স্পেনের গ্রানাডার আল হামরা প্রাসাদে দেখতে পাই।

তেমনিভাবে কারফি কর্তৃক তাঁর নাফায়িসুল উসুল ফি শারহিল মাহসুল নামক গ্রন্থে বর্ণিত, আল-কামিল রাজার জন্য তৈরিকৃত এক বাতিঘরের বিবরণে দেখতে পাই। সেটি রাতে এক ঘণ্টা জ্বলার পর তার একটা দরজা খুলে যেত, তারপর সেখান থেকে একজন লোক রাজার সেবার জন্য বের হয়ে আসত, ইত্যাদি ইত্যাদি...

কারাফি নিজেই একটি বাতিঘর তৈরি করিয়েছিলেন-- যাতে তিনি এমন অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিয়েছিলেন যে, বাড়িঘরের আলোর রং প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিবর্তন হতো। তাতে একটি সিংহ ছিল, যার চোখের রং কুচকুচে কালো থেকে ধবধবে সাদায় পরিণত হতো, অতঃপর টকটকে লাল রং ধারণ করত। দুটি পাখির মুখ থেকে দুটি ঘোড়সওয়ার বের হতো। এক লোক তার অভ্যন্তরে যেত, আরেক লোক তা থেকে বের হয়ে আসত। এক দরজা বন্ধ হলে অপর দরজা খুলে যেত। প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় তার রং পালটাত। যখন সকাল হতো, তখন বাতিঘরের ছাদের ওপর এক লোক দেখা যেত, যার কানের মধ্যে থাকত তার হাতের আঙুল। লোকটি আজান দেওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করত। কারাফি বলেন, ‘তবে আমি এর মুখ দিয়ে কথা বলাতে পারিনি।’

ইবনে যুবাইর তাঁর ভ্রমণকাহিনিতে দামেস্কের জামে মসজিদে যে ঘড়িটি ছিল বলে বর্ণনা দিয়েছেন, তাও এর কাছাকাছি ছিল। তাতে বাজপাখির ভাস্কর্য ছিল।

ইসলামি সভ্যতার সাধারণ স্বরূপ

তবে ইসলামি সভ্যতর সাধারণ স্বরূপ হলো, ইসলামি সভ্যতা কখনও মানুষ ও প্রাণীর ছবি বা চিত্রকে উৎসাহিত করেনি; বিশেষত তা যদি হয় মূর্তিমান। ইসলামি সভ্যতা হলো-- মূর্তিমুক্ত সভ্যতা যা তাওহিদের প্রেরণার সাথে সংগতিশীল। এটা পৌত্তলিকতার সামঞ্জস্যশীল মূর্তিময় সভ্যতা নয়।

এ কারণেই ইসলামি সভ্যতায় গ্রাফিকস ও কারুকার্য শিল্প অত্যন্ত উন্নতি লাভ করেছিল এবং তাতে অতি চমৎকারিত্ব সূচিত হয়েছিল।

মুসলিম শিল্পীর শিল্পবোধ তার হাত ও তুলির ছোঁয়ায় যে কারুকার্য তৈরি করেছে, তাতে এ শিল্পই পরিদৃষ্ট হয়। তা মসজিদ, কুরআনের কপি, অট্টালিকা, বাড়িঘর ইত্যাদিতেও পরিলক্ষিত হয়। তা দেখা যায়-- বিভিন্ন স্থাপত্যের দেয়ালে, ছাদে, দরজা-জানালা এবং কখনও কখনও ফ্লোরেও। এমনকি ঘরে নিত্য ব্যবহার্য জিনিস, যেমন-- তৈজষপত্র, কাপড়-চোপড়, বেড-বিছানা, তরবারি ইত্যাদিতে এর ছাপ দেখা যায়। এতে ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন ধরনের উপাদান যথা-- পাথর, শ্বেতপাথর, মর্মর পাথর, মার্বেল পাথর, কাঠ, চিনা মাটির তৈরি জিনিস, চামড়া, আয়না, পাতা, লোহা, পিতল ও বিভিন্ন খনিজ দ্রব্য।

কারুকার্য শিল্প প্রবেশ করে বিভিন্ন প্রকারের আরবি ক্যালিওগ্রাফিতেও; ছুলুছ-নুছখ, রোকা, ফারসি, দেওয়ানি, কুফি ইত্যাদি স্টাইলে। এক্ষেত্রে শিল্পীরা অসাধারণ শিল্পনৈপুণ্য দেখিয়েছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে গেছে অতি চমৎকার সৃজনশীল শিল্পকর্মের উত্তরাধিকার।

সবচেয়ে বেশি ক্যালিওগ্রাফি ও কারুকার্য শিল্প দেখা যায় কুরআনের মাসহাফ ও মসজিদে। আমরা বিভিন্ন মসজিদে এ শিল্পের চমৎকার নিদর্শন দেখতে পাই। যেমন-- মসজিদে নববি, বায়তুল মুকাদ্দাস, দামেস্কের উমাইয়া মসজিদ, ইস্তাম্বুলের সুলতান আহমাদ ও সুলায়মানিয়া মসজিদে। আর কায়রোর সুলতান হাসান ও মুহাম্মাদ মসজিদসহ গোটা মুসলিম বিশ্বে আনাচে-কানাচে।

ইসলামি শিল্পকলা সবচেয়ে বেশি প্রতিফলিত হয়েছে স্থাপত্যশিল্পে। সভ্যতার ইতিহাস লেখকরা বলেছেন, স্থাপত্যশিল্পে ইসলামি শিল্পকলার সর্বোত্তম প্রতিফলন ঘটেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে তা অনেকভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। সম্ভবত তার চমৎকার নিদর্শন হলো ভারতের তাজমহল-- যা পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি বলে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

এভাবেই ছবি তৈরি ও মূর্তি কিংবা মূর্তিমান চিত্র অঙ্কন নিষিদ্ধকরণের ফলে শিল্পজগতে অনেক নতুন শিল্পের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে-- যা মুসলিম বিশ্বকে আলাদা বৈশিষ্ট্য এবং অনন্য একক আদর্শ দান করেছে।

পঠিত : ৫২০ বার

মন্তব্য: ০