Alapon

||মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ রাহিমাহুল্লাহ -শেষ পর্ব||



অসংখ্য শিক্ষক থেকে তিনি নিয়েছেন হাদিসের জ্ঞান। ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ ছাড়াও জগতবিখ্যাত জাঁদরেল সব মুহাদ্দিসীন, ফুকাহায়ে কেরাম থেকে নিয়েছেন তিনি ইলমুল হাদিসের শিক্ষা। উস্তাদ হিসেবে তিনি পেয়েছেন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহিমাহুল্লাহকেও। এভাবে তাঁর শিক্ষকই ছিলো দুইশো জনের ওপরে। ইমাম যাহাবী রহ. এর মতে ওনার শিক্ষক ছিলেন দুইশো তেরো জন। আর ইমাম সাখাভী রহঃ এন মতে সেই সংখ্যাটা ছিলো দুইশো সতেরো জন।

এতো এতো উস্তদদের থেকে তিনি ইলমুল হাদিসের জ্ঞান আহরণ করেন। তিনি অনবরত পরিশ্রম ও সাধনা করে তিন লক্ষ হাদিসের সুবিশাল সংগ্রহ থেকে যাচাই-বাছাই করে মাত্র সাত হাজার বিশুদ্ধ হাদিস নিয়ে একটি গ্রন্থ সংকলন করেন। যা তাঁকে উম্মাতে মুসলিমাহ'র নিকট রেখেছেন আজো অমর। সারা দুনিয়ার সকল মু'মিন তাঁর এই অবদানের কাছে ঋণী হয়ে আছে।


তিনি উম্মাহর জন্যে ২৯ টি গ্রন্থ রচনা করলেও বাকীগুলো তেমন পাওয়া যায় না। ওনার সব গ্রন্থই প্রায় হাদিস সংক্রান্ত। এবং কিছু কিছু গ্রন্থ প্রকাশিত হলেও প্রকাশহীন রয়েছে বাকীগুলো। ইমাম যাহাবী তাঁর তাযকিরাতুল হুফফায গ্রন্থে তা-ই উল্লেখ করেছেন।


তাঁর যেমন অসংখ্য উস্তাদ ছিলো, তদ্রূপ ছাত্র সংখ্যাও ছিলো অনেক! আবু বাকর ইবনে খুযায়মা, আবু হাতেম রাযী, আবু ঈসা তিরমিজি, মূসা ইবনে হারুন এবং ইমাম তিরমিজির মতো জগতবিখ্যাত সব আহলুল ইলমগণই তাঁর শাগরিদ ছিলেন। অগণিত জাঁদরেল সব মুহাদ্দিস তিনি তৈরি করেছেন। সেই শাগরেদ তথা ছাত্রদের অনুপ্রেরণাতেই তিনি বিশুদ্ধ হাদিসগ্রন্থ রচনা করার তাড়া অনুভব করেন।


আমরা তো অনুজ হলে, জুনিয়র হলে তথা আমি পণ্ডিত হলে আমার নিজের আত্মসম্মানবোধের (!) দিকে চেয়ে জুনিয়রদের পরামর্শকে মানতে কষ্ট হয়। শুনতে কষ্ট হয়। চাই না তাদের কথায় কর্ণপাত করতে। কিন্তু ইমাম মুসলিম রহঃ এর ভেতর না ছিলো অতিরিক্ত ও অযথা অহমিকা, না ছিলো অন্যকে অবমূল্যায়নের মতো ক্ষুদ্র মন-মনন! তাই তিনি তাঁর ছাত্রের অনুরোধ বা পরামর্শ শুনে একটা অনুপ্রেরণা পেয়েছেন "আসসহিহ্" প্রণয়নের!

ইমাম মুসলিম (রহ.) তাঁর সংকলিত গ্রন্থ মুসলিম শরীফ হিসেবে পরিচিত "আসসহিহ'' নামক গ্রন্থের এর ভূমিকায় উক্ত মহান গ্রন্থখানি রচনার দুটো কারণ উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে একটা হলো ওনার ছাত্র আবু ইসহাক ইব্রাহিম তাঁর কাছে একটি উন্নতমানের বিশুদ্ধ হাদিসগ্রন্থ সংকলন করার অনুরোধ-পরামর্শ জ্ঞাপন করেন। হাদিস শাস্ত্রের ছাত্রদের অবশ্যই জানা আছে যে, তিনি তাঁর রচিত গ্রন্থ "আসসহিহ'র" ভূমিকায় তাঁর সেই ছাত্রের জন্য দুআ করেছেন।

দ্বিতীয় যে কারণটি আছে তা হলো–তিনি বর্ণনা করেছেন যে, কেবল তোমার ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে সহিহ হাদিসগুলো বাছাই করার মতো এতো দুরূহ কাজের যে কষ্ট, সেই শ্রম ও কষ্টকে সহজেই বরণ করা আমার পক্ষে সম্ভব হতো না। কিন্তু যখনই আমি জানতে পারলাম যে কথিত মুহাদ্দিসরা সাধারণ মানুষের মধ্যে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু অা'লাইহি ওয়াসাল্লামের নামে বানোয়াট কথাগুলো এবং মুনকার হাদিসগুলো ছড়িয়ে দিয়ে বিরাট রকমের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, তখন তোমার অনুরোধে সাড়া দেয়াটা আরো অত্যধিক সহজ হয়ে গেলো আমার জন্যে।

তিনি মওজু ও দুর্বল হাদিস থেকে সহিহ হাদিস বেছে বের করার লক্ষ্যে কিছু কঠিন শর্তের ভিত্তিতে হাদিস যাচাই ও বাছাই করেছেন। শর্তগুলো হলো ;

১) মুত্তাসিলুস সনদ। অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ (সা.) পর্যন্ত হাদিস বর্ণনাকারীদের পরম্পরা ধারাবাহিক হতে হবে। কোনো পর্যায়ে কোনো বর্ণনাকারীর নাম অজানা থাকলে তিনি সেই সনদে কোনো হাদিসই গ্রহণ করেননি। ২) রাবি তথা হাদিস বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য হতে হবে। যদি কোনো বর্ণনাকারীর মধ্যে ন্যায়পরায়ণতার অভাব থাকে, বর্ণনাকারী যদি তার বর্ণিত হাদিসের বিপরীতে আমল করতেন তখন তিনি তাঁর থেকে কোনো হাদিস গ্রহণ করেননি। ৩) বর্ণনাকারী তাঁর ঊর্ধ্বতন বর্ণনাকারীর সামসময়িক হওয়া। বর্ণনাকারী এবং তিনি যাঁর কাছ থেকে হাদিস গ্রহণ ও বর্ণনা করছেন উভয়েই সমকালীন হওয়া। ৪) রাবি মানে হাদিসের বর্ণনাকারী প্রখরও ধারালো স্মৃতিশক্তির অধিকারী হওয়া। সাধারণভাবে স্মৃতির দুর্বলতা থাকলে তিনি যতো বড়ো সৎ আর নির্ভরযোগ্যই হোন কেন তাঁর দ্বারা মহানবী (সা.) এর অমীয় বাণীসমূহকে নির্ভুলভাবে ধারণ করা এবং তা ছড়িয়ে দেয়া কখখনোই সম্ভব নয়। (ঙ) ইমাম মুসলিম (রহ.)-এর পঞ্চম শর্ত হলো, যে হাদিসটি বর্ণানা করা হয়েছে, সেই হাদিসের মতন তথা বা মূল কথাটি সব ধরনের দোষ-ত্রুটি বিমুক্ত হওয়া। ইমাম মুসলিম (রহ.) কর্তৃক সহিহ হাদিস নির্বাচনে এই যে যাচাই-বাছাই, তা হাদিস সম্রাট ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহও করেনি। যার কারণেই অনেকে মুসলিম শরিফকে বোখারি শরিফের ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন।

ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) বলেছেন যে, 'সহিহ মুসলিম রচনার পর থেকে আজ পর্যন্ত মুহাদ্দিসদের কাছে এই গ্রন্থখানি যতোখানি সমাদৃত হয়েছে, ততোটা সমাদৃত আর কোনো গ্রন্থ হয়নি।' আবু আলী নিশাপুরী (রহ.) বলেছেন, 'মুসলিমের গ্রন্থের চেয়ে অধিক কোনো বিশুদ্ধ গ্রন্থ আর নেই ।

এই যে গ্রন্থখানা। এটা সংকলন করতে তিনি সুদীর্ঘ পনেরোটা বছর পর্যন্ত প্রচেষ্টা করেছেন। তাঁর তথা ইমাম মুসলিম (রহঃ)-এর সুপ্রিয় ছাত্র আহমাদ ইবনে সালামা (রহ.)-ই তাঁকে এই গ্রন্থ প্রণয়নকালে প্রাণপণে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে গিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি মুহতারাম ইমাম মুসলিমের সঙ্গে তাঁর আসসহিহ রচনাকালে সুদীর্ঘ পনেরো বছর ধরে লেখালেখির কাজ করেছি । (আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত তাঁর এই খিদমতকে কবুল করে নিন। ( আমীন))

ইমাম মুসলিম রহঃ এর সম্পর্কে তাঁর সামসময়িক কিংবা তাঁর উস্তাদদের অসংখ্য মূল্যায়ন থেকে ওনার মর্যদা-মর্তবা ও গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ মিলে।

ওনার শিক্ষক মুহাম্মদ ইবনে আবদিল ওয়াহাব ফাররা বলেন – তিনি (ইমাম মুসলিম রহঃ) মানবজাতির মধ্যে বিশিষ্ট আলিমদের অন্যতম ছিলেন। ইলম ও আক্বলের অফুরন্ত ভাণ্ডার ছিলেন তিনি। তাঁর মাঝে শুধু সৎগুণের সমাহারই আমি দেখতে পাই। এর বাহিরে আমি ভিন্ন কিছু সম্পর্কে অবগত নই!

ইসহাক ইবনে কোশাদ রহিমাহুল্লাহ ওনাকে বলেন, আল্লাহ যতোদিন আপনাকে মুসলমানদের জন্য জীবিত রাখবেন ততোদিন পর্যন্ত আমরা মুসলমানগণ পরম কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবো না!

ওনার হাদিসের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে টের পাওয়া যায় ইবনে আখরাম রহ. এর একটা উক্তিতে। তিনি বলেছেন আমাদের এই শহর মাত্র তিনজন হাদিসবেত্তাকে জন্ম দিয়েছেন। তার মধ্যে মুসলিম হলো অন্যতম!

হাদিস সংকলনের অপূর্ব সুন্দর বর্ণনা আর রচনাশৈলীর জন্যে ওনার গ্রন্থকে অনেকেই বুখারীর ওপরের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। যেমন তিনি কখনো রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু অা'লাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের মধ্যে সাহাবায়ে কিরাম কিংবা তাবি'ঈদের হাদিসকে স্থান দেন নি। রাবি তথা বর্ণনাকরী থেকে যেমন শুনেছেন তেমনিভাবেই লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। একটা হাদিসের একাধিক রাবির বর্ণনা যদি একই অর্থযুক্ত দুই শব্দ থাকে৷ তিনি তা-ও উল্লেখ করেছেন। রাবি যদি দাস হয়ে থাকেন,তা হলে রাবির মনিব কে, সেটা-ও উল্লেখ করেছেন! এবং তাঁর গ্রন্থে তিনি সে সমস্ত সহীহ্ হাদিসই নিয়ে এসেছেন, যেসব হাদিসের ওপর হাদিস শাস্ত্রে পারদর্শী বিজ্ঞজনেরা ঐকমত্য পোষণ করেছেন। হাদিস যদি সহীহ্ও হয়ে থাকে কিন্তু তৎকালীন সময়ের হাদিস বিশারদগণ যদি সে হাদিসের ওপর একমত হতে পারতেন তখন তিনি সে হাদিসকে তাঁর গ্রন্থে স্থান দেন নি! কতোটা বিশুদ্ধতা বজায় রেখে উম্মাহকে এমন একটা গ্রন্থ তিনি উপহার দিয়েছেন, ভাবা যায়??


আরো মজার বিষয় হচ্ছে যে, তিনি তাঁর হাদিস গ্রন্থে কখনো কখনো রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু অা'লাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমাদের আমলও উল্লেখ করেছেন।


এই জন্যেই ইমাম ইবনে কাসিম আল কুরতুবী (রহঃ) বলেন, ইমাম মুসলিম রহঃ এর পূর্বে এই জাতীয় হাদিসের গ্রন্থ কেউই প্রণয়ন করতে পারেনি। এই হাদিস গ্রন্থটি সর্বোত্তম পদ্ধতিতে সাজানো-গোছানো, এবং বিন্যস্ততার দিক থেকেও সর্বশ্রেষ্ট!

ইবনে ইসহাক ইবনে মান্দাহ (রহ.) তো আরো অধিক অগ্রসর হয়ে বলেন যে, মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ রচিত কিতাবটির চেয়ে অধিক বিশুদ্ধ কোনো গ্রন্থ আসমানের নিচে নেই!

তবে খতিব বাগদাদী (রহঃ) এর মতে ইমাম মুসলিম ইমাম বুখারীর পথেই হেঁটেছেন। প্রতিটি পদক্ষেপেই ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ হুবহু অনুকরণ করেছেন।


দ্বিনের প্রচার-প্রসারে যারা নিবেদিত প্রাণ, তারা সবসময় সবভাবেই তা করে থাকেন। তদ্রুপ তিনিও ছিলেন। মাজলিশ-মাহফিলের মাধ্যমে আল্লাহর নবীর বাণীগুলো ছড়িয়ে দেয়ার বন্দোবস্ত করতেন।তো ইমাম মুসলিম রহঃ মাঝেমধ্যেই হাদিসের দারস বা মাহফিলের যে আয়োজন করতেন, সেখানে নানান দেশ নানান অঞ্চল থেকে মানুষ এসে ওনার থেকে হাদিসের জ্ঞান, শিক্ষা, বক্তৃতা ও বুঝ গ্রহণ করতেন।

তেমনিভাবেই একদিন তিনি এমন করে হাদিসের মাজলিশ নিয়ে বসলেন। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে ওনার থেকে হাদিসের শিক্ষা ও বুঝ নিতে থাকলেন। একজনের একটা সমাধান খুঁজে খুঁজে তিনি হয়রান। পান নি কোথাও। গিয়ে ঢুকলেন নিজ কক্ষে। একান্ত নিভৃতে। মনোযোগ দিয়ে হাদিসের গ্রন্থগুলো একের পর এক উল্টোতে লাগলেন। এদিকে মানুষ তো সবসময়ই আলিমদের সম্মানে কিছু না কিছু উপঢৌকন দিয়ে থাকেন। নিয়ে আসেন। আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু অা'লাইহি ওয়াসাল্লামের কাছেও তো আসতো তা। ওনার কাছেও একঝুঁড়ি খেজুর এসেছে সেদিন। ওনার সামনে তা এনে বলা হলো এগুলোর একটা হিল্লে করতে। তিনি বললেন এখানে রাখো। আমি কাজটা সেরে তা দেখছি।

এর ফাঁকে তিনি কিতাবের পর কিতাব মন্থন করে যেতেই লাগলেন। মাঝেমধ্যে দুয়েকটা খেজুর মুখে পুরে দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি তন্ময় হয়ে হাদিসের সুবিশাল সংগ্রহের একের পর গ্রন্থ খুঁজেই যাচ্ছেন! খুঁজেই যাচ্ছেন। আর এদিকে অন্যমনস্ক হয়ে খেজুর গলাধঃকরণ করেই যাচ্ছেন। এক পর্যায়ে যখন হুশ ফিরে আসে। হুশ আসার পরে তিনি হতচকিত হয়ে পড়েন। ততোক্ষণে ঘটে গেছে বিপত্তি। হয়ে গেছে বিপদ। ভীষণ বিপদ। পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। সেই যে আক্রান্ত হলেন, আর হোন নি সুস্থ। জীবনের যবনিকাপাত ঘটে এভাবেই। সেসময়ই! ইন্না-লিল্লাহি ওয়া-ইন্না ইলাইহি রাজিউন! মৃত্যুকালে ওনার বয়স ছিলো হিজরী ২৬১ সনের ২৪ শে রজব মোতাবেক ৫৫ বছর। আল্লাহ ইমাম মুসলিম রহঃ এর কবরকে জান্নাতুল ফেরদৌসের বাগান হিসেবে কবুল করুন!

শেষ পর্যায়ে ইমাম মুসলিম রাহিমাহুল্লাহকে নিয়ে আল্লাহর মুখলিস বান্দাদের দুটো স্বপ্নের কথা উল্লেখ করতে চাই। তা হলো ইমাম আবু হাতিম রাযি একদিন ওনাকে তথা ইমাম মুসলিম রাহিমাহুল্লাহকে স্বপ্ন দেখেন। দেখা হলে জিজ্ঞেস করেন তাঁর সার্বিক খোঁজ খবর। উত্তরে তিনি বলেন–আল্লাহ আমার জন্যে জান্নাতের সকল দরোজা উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আর সে কারণে আমি এখানে মুক্তভাবে বিচরণ করতে পারছি।

তদ্রূপ বিদগ্ধ মুহাদ্দিস আবু আলী আয যাগুনী (রহ.) ওনাকে স্বপ্ন দেখেন। দেখেন তিনি জান্নাতে। আনন্দময় জীবন ধারণ করেছেন। এবং জিজ্ঞেস করলেন আপনি কীভাবে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেলেন? জবাবে তিনি সহীহ্ মুসলিমের কিছু হাদিস দেখিয়ে বললেন, এসকল হাদিসের বদৌলতেই জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়েছি!

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের সকলকে কবুল করুন। আর ইমাম মুসলিম রাহিমাহুল্লাহকেও ফিরদৌসের ফুল বাগানে আশ্রয় দান করুন। আমীন।


||মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ রাহিমাহুল্লাহ -শেষ পর্ব||
~রেদওয়ান রাওয়াহা


(কপি করা হারাম। কেউ করবেন না।লেখকের অনুমতি নেই।)

পঠিত : ৪৮৮ বার

মন্তব্য: ০