Alapon

বেশি দামে অপ্রয়োজনী বিদ্যুৎ আমদানি কেন?



বাংলাদেশ বর্তমানে ভারতের পাঁচটি উৎস থেকে বর্তমানে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ। এরপরও সরকার নতুন করে ভারতের আদানি গ্রুপ থেকে আমদানি করবে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২০ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। আর চাহিদা ১২ থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। তদুপরি শীতে এ চাহিদা সাত থেকে আট হাজার মেগাওয়াটে নেমে আসে। আবার সন্ধ্যার তুলনায় দিনে চাহিদা অনেকখানি কমে যায়।

আদানির এ বিদ্যুৎ আমদানির কোনো প্রয়োজনই ছিল না। এরপরও ১৬০০ মেগাওয়াট নতুন করে আমদানি করতে বাধ্য হয়েছে আওয়ামী সরকার।

চুক্তি অনুসারে, আদানির বিদ্যুৎ কিনতে প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ক্যাপাসিটি চার্জ গুনতে হবে তিন কোটি ৭৭ লাখ ২৬ হাজার ডলার বা ৩২০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আর বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ গুনতে হবে ৪৫ কোটি ২৭ লাখ ১৭ হাজার ডলার বা প্রায় তিন হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। আর ২৫ বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ গুনতে হবে ৯৬ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি।

এ বিদ্যুৎ আমদানিতে দুই ধরনের খরচ দিতে হবে। একটি হলো স্থায়ী ব্যয়। আদানি যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে এটা তার বিনিয়োগ খরচ। আরেকটি হলো পরিবর্তনশীল (ভেরিয়েবল) ব্যয়, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে কয়লা কেনা ও অন্যান্য পরিচালন খরচ। সব মিলিয়ে বিদ্যুৎ আমদানি ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

আদানির কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দর পড়বে ৮ টাকা ৭১ পয়সা। অন্যদিকে দেশীয় প্রতিষ্ঠান এস আলমের কেন্দ্রের বিদ্যুতের দর পড়বে ইউনিটপ্রতি ৬ টাকা ৫২ পয়সা। এস আলমের উতপাদন বন্ধ থেকে আমদানি করা হবে ভারতের বিদ্যুৎ।

তাহলে কী দাঁড়ালো? আমাদের বিদ্যুৎ দরকার নেই। তারপরও আমরা বিদ্যুৎ উচ্চদামে ভারত থেকে কিনতে হবে। শুধু তাই নয় ঐ বিদ্যুৎ যে পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করবে সেই পাওয়ার প্ল্যান্টও আমাদের তৈরি করে দিতে হবে!

কিন্তু কেন?
কারণ আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছি। এই হলো আমাদের মহান স্বাধীনতা। মূল কথা হলো ভারত আমাদের এনার্জির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায়। আর আমাদের বাধা দেওয়ার সক্ষমতা নেই।

পঠিত : ৩৯৩ বার

মন্তব্য: ০