Alapon

দিহানের বিকৃত যৌনাচারের নেপথ্যে কারণ...



দিহান ও আনুশকার ঘটনাকে যদিও সরাসরি ধর্ষণ বলা যায় না, কিন্তু তারপরও এটা এক ধরণের ধর্ষণ। সম্ভবত বিকৃত পর্ণ ভিডিওগুলিতে "ডাবল পেনিট্রেশন" নামে যেটা দেখায় সেটা করা হয়েছিল মেয়েটার সাথে এমনটা "আশঙ্কা" করছেন অনেকে।

যদি একজনের ডিএনএ মেলে, মানে জাস্ট দিহানের... তাও "কনসেনসুয়াল সেক্স" এ একজন প্রেমিক প্রথমে তার প্রেমিকাকে সামনে দিয়ে পেনিট্রেট করে ব্লিডিং ঘটাবে, এরপরও থামবে না, আবার পেছন দিয়ে পেনিট্রেট করেও ব্লিডিং ঘটাবে... আর মেয়েটা কোনরকম আপত্তি না করে হাসিমুখে চুপচাপ সহ্য করতে করতে মরে যাবে এইটা দুনিয়ার ডার্কেস্ট জনরার পর্ণ এও হয় না, বাস্তবে তো দুরে থাক!

আসলে এই ঘটনায় কে দোষী, কার দোষ বেশি, নাকি দুজনেই দোষি, যেহেতু মেয়েটা জেনে বুঝেই দিহানের বাসায় মিলিত হতে গেছে, সেই বিশ্লেষণে যাবো না। আমি একদম মূল বিষয়টা নিয়ে দুটো কথা বলতে চাই। দিহানের ভিতরে এই বিকৃত যৌনতার প্রভাব আসলে কীভাবে? সে কীভাবে এমন বিকৃত যৌনতার প্রতি আগ্রহি হয়ে উঠল- তা নিয়ে কথা বলব।

মূলত, আমি এবং আমরা কয়েকজন পর্নো আসক্তের নিয়ে কাউন্সিলিং করি। অন্যরা এটাতে অনেক বেশি একটিভ হলেও আমি ততোটা নই। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আমি কিছুদিন পড়াশোনা করেছি। সেই পড়াশোনা করতে গিয়ে যা জানতে পেরেছি, তা হলড়- একজন ছেলে যখন প্রথম পর্ন দেখা শুরু করে তখন সে সফট পর্ন দেখেই তৃপ্ত হয়। এরপর সে যখন আরও বেশি পর্নাসক্ত হয়ে পড়ে, তখন আর সফট পর্ন দেখে তৃপ্তি আসে না। তখন তাকে হার্ডকোর পর্ন দেখে তৃপ্তি পেতে হয়। এরপর আসক্তি যখন আরও বেশি হয়, তখন সে আরও হার্ডকোর পর্ন দেখে তৃপ্ত হতে যায়। যেমন, পেইনফুল পর্ন। এরপর আসক্তি যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তখন আর এসবের কোনোটাই তার ভালো লাগে না। এসব দেখে তার আর তৃপ্তি আসে না। তখন সে ভায়োলেন্স টাইপ পর্ন দেখে তৃপ্ত হতে চায়। আর ভায়োলেন্স টাইপ পর্ন দেখে যখন সে তৃপ্ত হতে চায়, তখন সে নিজেও বিকৃত উপায়ে যৌন মিলন করতে চায়। খুব সম্ভবত দিহানের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে।

আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, দিহান পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। পর্নোগ্রাফি দেখে দেখেই সে বিকৃত উপায়ে যৌন মিলন করেছে। আর এসময় আনুশকতা নিশ্চয়ই হাসিমুখে উপভোগ করেনি! কিন্তু পর্নোগ্রাফিতে এই কষ্টটাকে উপভোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। যার কারণে আনুশকা নিজেকে যতোই বাঁচানোর চেষ্টা করেছে, দিহান তার উপর ততোই চড়াও হয়েছে। এটাই বিকৃত যৌনতার ন্যাচার। আর এই বিকৃত যৌনতার শিকার হিসেবে আনুশকাকে জীবন দিতে হল।

তাহলে এই হত্যার দ্বায়ভার কার? এই হত্যার জন্য দিহান যেমন দ্বায়ি তেমনই দ্বায়ি প্রযুক্তি। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন প্রত্যেকের মোবাইল এক একটি পর্নোগ্রাফির আস্তানা। আপনি চাইলেই যখন তখন পর্নোগ্রাফি দেখতে পারেন। শুধু প্রয়োজন ইচ্ছা আর ইন্টারনেট সংযোগ। তারপর আপনি চাইলেই নীল দুনিয়ায় হারিয়ে যেতে পারবেন। প্রযুক্তি আমাদের যেমন অনেক দিয়েছে, তেমনই এক এক করে কেড়েও নিচ্ছে! তাই প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।

পঠিত : ৬৭১ বার

মন্তব্য: ০