Alapon

মহান আল্লাহর ওয়াদাই ধ্রুব সত্য...



গতকাল একটা কথা ভাবছিলাম। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মারা গেছেন এক বছরও হয়নি। অথচ এখনই তার নাম নেওয়ার কেউ নেই। মনে হচ্ছে যেন, সরকারি পাড়ায় মাহবুবে আলম নামে কখনো কেউ ছিলই না!

সৈয়দ আশরাফ। লোকে যাকে বোতল আশরাফ বলে ডাকত। তিনি একসময় মন্ত্রী ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ তার মৃত্যুর মাত্র দু বছরের মাথায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী তার কথা ভুলে গেছে। এমনকি স্বয়ং শেখ হাসিনাও তার কথা ভুলে গেছে। আশরাফ সাহেবের মৃত্যু বার্ষিকীতে শেখ হাসিনা তাকে নিয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করেননি।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। যিনি যিনি কথায় কথায় জামায়াত-শিবিরকে কঠোর হস্তে দমন করার কথা বলতেন। সেই সাহারা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৭ মাস আগে। কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, তিনি ৭ প্রজন্ম আগে মারা গেছেন। যার কারণে তার নাম স্মরণ করার জন্য কেউ নেই।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সাহেব দেশের স্বাস্থ্যখাতের ১৪টা বাজিয়ে পরে নিজেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। খুব সম্ভবত তিনি গত বছরের জুলাই মাসে মারা গেছেন। মাত্র ৬-৭ মাসের ব্যাপার। কিন্তু মৃত্যুর সাথে সাথে তার নামটাও যেন কবরস্থ হয়ে গেছে! কী অদ্ভুত ব্যাপার।

আর কালো বিড়ালের কথা মনে আছে? সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সাবেক দপ্তরবিহীণ মন্ত্রী! সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নাম নেওয়ার জন্য এখন কাক-পক্ষিও নেই।

অথচ এই মানুষগুলো যাদের ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য শাহবাগ আন্দোলন মঞ্চস্থ করল, তাঁদের নাম নিত্যদিন কোথাও না কোথাও উচ্চারিত হচ্ছে। অথচ আওয়ামী লীগের এই নেতারা তাঁদের ফাঁসি দিয়ে বাংলার এই জমিন থেকে তাঁদের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল। বাস্তবতা বলছে, ভীন্ন কথা।

আরও মজার বিষয় হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকার এখনো ক্ষমতায়! সাহারা, আশরাফ, নাসিমদের সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও যখন কেউ তাদের নাম নিচ্ছে না, সরকার বিদায় নিলে কী অবস্থা হবে?

যে নাম হৃদয়ে গেঁথে আছে, তা কি ফাঁসি দিয়ে ভুলিয়ে দেওয়া সম্ভব? না, সম্ভব না। আমরা আমাদের শহীদদের নাম কখনোই ভুলব না। আর আল্লাহর ওয়াদাই সত্য- শহীদরা কোনোদিন মরে না।

পঠিত : ৩৩৩ বার

মন্তব্য: ০