Alapon

ড. শাহরিয়ার কবির + ড. জাফরুল্লাহ Vs ড. গালিব + মুযাফফরঃ




ড. শাহরিয়ার কবির + ড. জাফরুল্লাহ Vs ড. গালিব + মুযাফফরঃ
-------------------------------------
লাইফ আলোচনায় ড. জাফরুল্লাহ সাহেব বললেন, 'ধর্ম হল মনের ব্যাপার, ধর্ম থাকবে মানুষের আত্মায় ও মসজিদে। রাষ্ট্রে ধর্মকে টেনে আনা উচিত হবে না।' ড. শাহরিয়ার কবির বলেছেন, 'রাষ্ট্র হবে ইসলাম মুক্ত, রাষ্ট্র পরিচালায় ইসলামের প্রবেশ নিষেধ। মুসলিম জনগণ আধ্যাতিকভাবে ধর্ম পালন করবে এবং রাষ্ট্রীয় সংবিধান মেনে চলবে তবে ইসলামের নামে রাজনীতি করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।'
এসব নাস্তিক মনা সরকারি বুদ্ধিজীবীদের আকিদার সাথে সরকারি আলেম আহলে হাদীসের নেতা ড. গালিব ও মুযাফফর সাহেবের আকিদার সাথে সহীহ ভাবে মিল রয়েছে। তারাও বলেন, ইসলামী রাজনীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয়ভাবে আল্লাহর আল্লাহর বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করার কাজকে তারা ক্ষমতা দখল বলে ব্যঙ্গ করে। (গালিব, তিনটি মতবাদ, পৃঃ ৪১ ও ৫১; মুযাফফর, ভ্রান্তির বেড়াজালে ইকামতে দ্বীন, পৃঃ ১৪৭)
.
অর্থাৎ মাদখালী আহলে হাদীসেরও আকিদা হল- দ্বীন ইসলামের সম্পর্ক আধ্যাতিকতামূলক তওহীদের সাথে, মসজিদের সাথে। রাষ্ট্রের সাথে দ্বীন ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। এমনকি তারা ইকামতে দ্বীন মানে তওহীদ কায়েম বলে দ্বীন ইসলামের অন্যান্য সকল বিধানকে অস্বীকার করে। (মুযাফফর, ভ্রান্তির বেড়াজালে ইকামতে দ্বীন, পৃঃ ১৪৬; গালীব, ইকামতে দ্বীন: পথ ও পদ্ধতি, পৃঃ ১১) অথচ তওহীদের পাশাপাশি তওহীদের বাহিরেরও শত শত আয়াতে আল্লাহ তা'য়ালা দ্বীন ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধান ও আইন-কানুনের কথা বলেছেন, যে বিধি-বিধানগুলো কায়েম করতে রাষ্ট্রশক্তির আব্যশিক ভাবে প্রয়োজন। এভাবে তাগুতকে সন্তুষ্টি করে দুনিয়ার স্বার্থ হাসিল করার জন্য তারা কুরআনের সুবিধামূলক কিছু অংশের প্রতি ইমান এনে কিছু অংশকে অস্বীকার করে। কিন্তু এর পরিণতি বড়ই ভয়ঙ্কর। মহান আল্লাহ তা'য়ালা বলেন,
أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ ۚ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَٰلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلَىٰ أَشَدِّ الْعَذَابِ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ- أُولَٰئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوُا الْحَيَاةَ الدُّنْيَا بِالْآخِرَةِ ۖ فَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُمُ الْعَذَابُ وَلَا هُمْ يُنْصَرُونَ-
তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া তাদের কী প্রতিদান হতে পারে? আর কিয়ামতের দিনে তাদেরকে কঠিনতম আযাবে নিক্ষেপ করা হবে। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফিল নন। তারা আখিরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবনকে খরিদ করেছে। সুতরাং তাদের থেকে আযাব হালকা করা হবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না। (সূরা বাকারা : ২/৮৫-৮৬)

সুতরাং হে সরকারি বুদ্ধিজীবী ও সরকারি আলেম! আপনারাও আখিরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবন খরিদ করছেন কি না, ভেবে দেখুন।

~Tanjil Islam

পঠিত : ৫০৬ বার

মন্তব্য: ০