Alapon

তুরস্ক বনাম পাকিস্তান সামরিক শক্তির তুলনা-১

ন সামরিক শক্তির তুলনা!!!


তুরস্ক এবং পাকিস্তান মিত্র দেশ। ন্যাটোর বাহিরে তুরস্ক কয়েকটি দেশ কে টু স্টেট ওয়ান ন্যাশনের মর্যাদা দিয়েছে তার মধ্যে পাকিস্তান অন্যতম। অর্থাৎ এদের মধ্যে কোন দেশ আক্রান্ত হয় অন্য দেশ নিজের উপর আক্রমন হিসাবে বিবেচনা করবে। তুলনা টা দুই মিত্র দেশের মধ্যে।

এই পর্বে দুই দেশের বিমানবাহিনী নিয়ে আলোচনা করছি।

????ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাপোর্ট: সামরিক বাহিনীর হার্ট বলা হয় লজেস্টিক সাপোর্ট কে। ইকুয়েপমেন্ট ও লজেস্টিক সাপোর্টের জন্য বিদেশ নির্ভরতা একটি সামরিক বাহিনীর জন্য দুর্বলতা। তুরস্ক এবং পাকিস্তান উভয় দেশই বিমানবাহিনী সম্পর্কিত ইন্ডাস্ট্রি গুলোর উন্নয়ন করছে। উভয় দেশই যৌথভাবে যুদ্ধবিমান তৈরি করছে।
➡️পাকিস্তান: চীনের সাথে যৌথভাগে JF17 যুদ্ধবিমান তৈরি করে। মায়ানমার এবং নাইজেরিয়া তে কয়েকটি যুদ্ধবিমান বিক্রয় করেছে। এছাড়াও টেইনার এয়ারক্রাফট এবং ড্রোন তৈরি করে। তবে বিমানবাহিনীতে ব্যবহারিত A2A মিসাইল সহ বেশির ভাগ সমরাস্ত্রের জন্য বিদেশী সাপ্লায়ের উপর নির্ভরশীল।
➡️তরস্ক: আমেরিকার সাথে যৌথভাবে F16s যুদ্ধবিমান তৈরি করে। তারা মিশরের কাছে ৪৬টি এফ১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রয় করেছে। এছাড়াও পাকিস্তান এবং জর্দানের এফ১৬ আপগ্রেড করে দিয়েছে। একই সাথে তারা এফ৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমানের অংশিদার(বর্তমানে স্থগিত আছে)।
তাছাড়াও টি১২৯ এটাক হেলিকপ্টার, অত্যাধুনিক টিবি২, আনকা ড্রোন, টেইনার এয়ারক্রাফট সহ বিভিন্ন আকাশযান তৈরি করে।
এবং বিমানবাহিনী তে ব্যবহারিত A2A মিসাইল সহ প্রায় সবই তুরস্কের কোম্পানি সমহ তৈরি করে।
তুরস্ক কে বিশ্বের অন্যতম সেরা বিমানবাহিনী সম্পর্কিত সমরাস্ত্রের নির্মাতা দেশ হিসাবে ধরা হয়।

????যদ্ধবিমান:
➡️পাকিস্তান: পাকিস্তানের মোট ৪৬৭টি যুদ্ধবিমান রয়েছে। তার মধ্যে ৭৫টি এফ১৬ এবং ১২৩টি জেএফ১৭ যুদ্ধবিমান। এই ১৯৮ টি যুদ্ধবিমান পাকিস্তান বিমান বাহিনীর মেরুদণ্ড। এছাড়াও ফ্রান্সের মিরাজ৩/৫ যুদ্ধবিমান রয়েছে ১৬৯ টি। এবং চাইনিজ জে৭ রয়েছে ১৩৫ টি। পাকিস্তানি সার্ভিসে থাকা যুদ্ধবিমান গুলোর মধ্যে এফ১৬ গুলো সবচেয়ে শক্তিশালী।
➡️তরস্ক: তুরস্কের মোট ২৯৩ টি যুদ্ধবিমান রয়েছে। যার মধ্যে ২৪৫টি এফ১৬ যুদ্ধবিমান। বাকি ৪৮টি এফ৪ যুদ্ধবিমান। অর্থৎ তুরস্কের কাছে ২৪৫ টি শক্তিশালী যুদ্ধবিমান রয়েছে।

সংখ্যাগত হিসাবে তুরস্ক থেকে পাকিস্তান এগিয়ে তবে কোয়ালিটির বিচারে তুরস্ক এগিয়ে রয়েছে। এছাড়াও সম্প্রীতি ১০০+টি এফ৩৫ অডার নিয়ে জটিলতর অবসান হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। অথবা তুরস্ক ইউরো ফাইটার টাইফূন ক্রয় করবে। এবং তাদের TF-X যুদ্ধবিমান সার্ভিসে আনবে। অন্যদিকে পাকিস্তান তাদের জেএফ১৭ ব্লক৩ প্রডাকশন শুরু করেছে।

????এটাক হেলিকপ্টার:
➡️পাকিস্তান: মোট ৫৩ টি এটাক হেলিকপ্টার রয়েছে। মার্কিন AH-1 হেলিকপ্টার ৪৮টি এবং রাশিয়ান mi24 ৫টি। এছাড়াও ৩০টি তুর্কি টি১২৯ অডারে রয়েছে।
➡️তরস্ক: মোট ১০৪ টি এটাক হেলিকপ্টার রয়েছে। তাদের তৈরি ৬৯টি টি১২৯ এটাক হেলিকপ্টার এবং মার্কিন AH1 হেলিকপ্টার ৪৪টি।

????এটাক ড্রোন:
➡️পাকিস্তান: তারা ৫০টি চাইনিজ wing loogn2 অডার করেছে। এবং নিজেদের তৈনি ১২টি বুরাক ড্রোন ব্যবহার করে।
➡️তরস্ক: নিজেদের তৈরি গেম চেন্জার টিবি২ ড্রোন রয়েছে ১১০ টি। এবং ২৫টি আনকা ড্রোন রয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু এটাক ড্রোন তারা অপারেট করে। এবং চলতি বছরে akinci এবং aksungur অত্যাধুনিক ড্রোন সার্ভিসে আসতে যাচ্ছে।

????????এছাড়াও আরো বিভিন্ন ফ্যাক্টর রয়েছে। স্যাটেলাইট সাপোর্ট, স্পেশাল মিশন, অবজারভেশন ক্যাপাসিটি এসব বিবেচনায় তুরস্ক এগিয়ে থাকলেও পাকিস্তান পিছিয়ে নেই। তাছাড়াও উভয় দেশই গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করায় নিজেদের লজেস্টিক সাপোর্ট সমহ বিপদের সময়ে অন্যকে সহায়তা করবে।

তুরস্ক এবং পাকিস্তান মিত্র দেশ। ন্যাটোর বাহিরে তুরস্ক কয়েকটি দেশ কে টু স্টেট ওয়ান ন্যাশনের মর্যাদা দিয়েছে তার মধ্যে পাকিস্তান অন্যতম। অর্থাৎ এদের মধ্যে কোন দেশ আক্রান্ত হয় অন্য দেশ নিজের উপর আক্রমন হিসাবে বিবেচনা করবে। তুলনা টা দুই মিত্র দেশের মধ্যে।

এই পর্বে দুই দেশের নৌবাহিনী নিয়ে আলোচনা করছি।

তুলনার শুরুতেই জানিয়ে রাখি তুর্কি নৌবাহিনী একটি বিল্ডার নৌবাহিনী। পাকিস্তান বায়ার নৌবাহিনী। অর্থৎ তুরস্ক নিজেদের যুদ্ধজাহাজ নিজেই তৈরি করে এবং মিত্রদের কাছে রফতানি করে, এমন কি পাকিস্তানে ও বিভিন্ন লজেস্টিক, টহল এবং ফ্রিগেট যুদ্ধজাহাজ সরবরাহ করেছে।

????ফরিগেট:
➡️তরস্ক: তুরস্কের ১৭ টি ফ্রিগেট রয়েছে। যার মধ্যে জি ক্লাস ফ্রিগেট ৮টি এবং মিকো২০০০টিএন ফ্রিগেট ৮টি এবং ইস্তাম্বুল ক্লাস ১ টি।
➡️পাকিস্তান: পাকিস্তানের ৮টি ফ্রিগেট রয়েছে। যার মধ্যে টাইপ০৫৩ ফ্রিগেট ৪টি এবং টাইপ২১ ফ্রিগেট ৩টি এবং পিএনএস আলমগির ফ্রিগেট ১টি।

ফ্রিগেটের সংখ্যাগত এবং ফায়ারপাওয়ার বিবেচনায় তুরস্ক এগিয়ে রয়েছে। এছাড়াও দুই দেশেরই কয়েকটি আপকামিং ফ্রিগেট রয়েছে।

????করভেট:
➡️তরস্ক: তুরস্কের ১০টি করভেট রয়েছে। তার মধ্যে ফ্রিগেট সমতুল্য আডা ক্লাস করভেট রয়েছে ৪টি। এবং বুরাক ক্লাস করভেট রয়েছে ৬টি।
➡️পাকিস্তান: পাকিস্তানের ২টি ইয়ারমুক ক্লাস করভেট রয়েছে। উল্লেখ্য, তুরস্ক থেকে পাকিস্তান যে ৪টি করভেট অডার করেছে সেগুলো ফ্রিগেট হিসাবে যুক্ত হবে।

????সাবমেরিন:
➡️তরস্ক: তুরস্কের ১৩টি সাবমেরিন রয়েছে। তার মধ্যে ১২ টি টাইপ২০৯ সাবমেরিন এবং সম্প্রতি ট্রায়ালে গিয়েছে ১টি টাইপ২১৪টিএন সাবমেরিন।
➡️পাকিস্তান: পাকিস্তানের ৫টি সাবমেরিন রয়েছে। তার মধ্যে ৩টি এগোস্টা ৯০বি সাবমেরিন। এবং ২টি এগোস্টা ৭০ সাবমেরিন।

উভয় দেশেরই বেশ কিছু আপকামিং প্রজেক্ট রয়েছে। তুরস্কের নৌবাহিনীতে ২ টি বিমানবাহিনী রণতরী, ৪ ফ্রিগেট, ৮টি টিএফ২০০০ ডেস্ট্রয়ার, ৬টি সাবমেরিন যুক্ত হবে। একই ভাবে পাকিস্তানি নৌবাহিনীতে ৮ ফ্রিগেট এবং ৮ সাবমেরিন যুক্ত হবে।

চলবে....

পঠিত : ৯৩৭ বার

মন্তব্য: ০