Alapon

ম্যারিটাল রেপ এবং কিছু কথা...



গতকাল বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। আড্ডার সময় সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলো হয়। আলোচনা চলতে চলতে এসে থামল, ম্যারিটাল রেপ-এ এসে। বন্ধুদের মধ্যে একজন ম্যারিটাল রেপ আইনের পক্ষ নিয়ে বলল, ‘ঘরে ঘরে ম্যারিটাল রেপ ঘটছে, তাই আইন করে এটা বন্ধ করতে হবে এবং শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’

আমি বললাম, ‘নারী নির্যাতন আইনের কথা মনে আছে? নারীদের উপর নির্যাতন বন্ধ করার জন্য এই আইন প্রনোয়ন করা হল। আর এই আইনের ধারা এতোটাই কঠোর করা হল যে, মার্ডার কেস মামলার জামিন হলেও নারী নির্যাতন আইনে মামলা জামিন অযোগ্য মামলা। এরপর দেখা গেল, নারীরা নিজেদের স্বার্থে এই আইন ব্যবহার করা শুরু করল। কতক ঘটনা এমন দেখা গেছে, নারী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। তাই স্বামীর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য স্বামীর নামে নারী নির্যাতন মামলা ঠুকে দিল। তারপর স্বামী চলে গেল কারাগারে আর বউ তার প্রেমিকের হাত ধরে ‍বৃন্দাবনে পালিয়ে গেল। ম্যারিটাল রেপের ক্ষেত্রেও যে এমনটা ঘটবে না, তার নিশ্চয়তা কী?’

একটু থেমে বললাম, ‘আরও একটা বিষয় ঘটতে পারে। নারী কতৃক ডিভোর্সের ক্ষেত্রে দেখা যায়, স্বামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের মধ্যে একটা কমন অভিযোগ থাকে, স্বামী অক্ষম। অর্থাৎ স্বামী যৌন চাহিদা পূরণে অক্ষম বলেই সে এই বিচ্ছেদ চাচ্ছে।’ এখন প্রশ্ন হল, নারী কতৃক ডিভোর্সের ক্ষেত্রে কমন এই অভিযোগের হেতু কী?
দেশের সংবিধান অনুসারে যে কয়েকটা কারণে নারী বিবাহ বিচ্ছেদ চাইতে পারে, তার মধ্যে একটা হল, স্বামীর যৌন অক্ষমতা। আর এ কারণে সত্য না হলেও নারী এই অভিযোগ করে থাকে। আর বিচ্ছেদের পর দেখা যায়, যার বিরুদ্ধে এই অক্ষমতার অভিযোগ আনা হল, সে দ্বিতীয় বিবাহ করে বছর খানিকের মধ্যে বাচ্চার বাবা হয়ে গেছে।

ম্যারিটাল রেপের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটতে পারে। আর ম্যারিটাল রেপকে ইস্যু বানিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ চাইতে পারে। আর এই সম্ভাবনা কোনো ভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

তবে কি ম্যারিটাল রেপ হয় না?

এই প্রশ্নের উত্তর হবে, হয়! তবে ঘরে ঘরে হয় না, কিছু কিছু ঘরে হয়। আর এটা সেই ম্যারিটাল রেপের সংজ্ঞায় পড়ে না, যা বলা হচ্ছে। অর্থাৎ স্ত্রীর অনিচ্ছায় শারীরিক মিলনকে ম্যারিটাল রেপ বলা হচ্ছে। আর আমি যে ম্যারিটাল রেপের কথা বলছি, এটা হল সেই রেপ, যখন নারীর পিরিয়ড চলে তবে স্বাভাবিক কারণেই শারীরিক মিলন করা সম্ভব হয় না। তখন কতক পুরুষ জোর করে নারীর পায়ু পথে সঙ্গম করে। আর সাইন্স বলে, নারীর পায়ু পথ যোনীর মত অ্যালাস্টিক নয়। ফলে প্রচন্ড ব্যাথা পেতে হয়। আর আমার দৃষ্টিতে এটাকেই ম্যারিটাল রেপ বলা যায়।

মনে রাখতে হবে, বিয়ের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হালাল উপায়ে যৌন কামনা পূরণ করা। এখন হালাল এই পন্থাটাতেও যদি আইনের বাধা নিষেধ প্রয়োগ করতে যায়, তবে ব্যভিচারের হার যে রাতারাতি জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে যাবে, এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।

পঠিত : ৪৩৬ বার

মন্তব্য: ০