Alapon

"এদের থেকে সাবধান থাকুন"




"এদের থেকে সাবধান থাকুন"

একটা কিউট কথা শোনা যায় এভাবে —ইসলামপন্থীরা নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করেছে। সেই বলয়ের বাহিরে তারা যায় না। এই বলয়ের মধ্যেই তারা বিয়ে করে, আত্মীয়তা করে। ব্যবসায়-বানিজ্য করে। এইসব বলে কৌশলে ইসলাম্পন্থীদের দোষারোপ করার চেষ্টা করা হয়। চেষ্টা করা হয় তাদের ছোটো করার।

আচ্ছা, একজন মানুষ —যিনি দ্বীনকে ধারণ করেন। ইমানী জিন্দেগী যাপন করেন। তার-তাদের কি উচিত হবে যে ইসলামপন্থী না, যে দ্বীনকে ধারণ করে না— তার সাথে ধুমিয়ে লেনদেন করা? বিয়ে-শাদি করা? ওঠবস করা?
যে লোক সুদের সাথে হরহামেশাই জড়িত , একজন ইসলামপন্থীর উচিত কি সেই সুদখোরের সাথে কোমরে বেল্ট বেধে ব্যবসায় নেমে যাওয়া ? তাকে ব্যাবসার পার্টনার করা?? কোনো বদমায়েশকে বন্ধু বানানো কি
একজন আদর্শ মুসলিমের জন্য শোভনীয়?

হ্যাঁ, যেই বিষয় আমি নিরুপায়, সেই বিষয় ভিন্ন। কারণ প্রয়োজন হলে, নিরুপায় হলে হারামও সাময়িক জায়েজ হয়। যেমন শুয়োর হারাম। কিন্তু আপনি যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, শুয়োর-ই আপনার সেই রোগের একমাত্র চিকিৎসা, তখন সেটা জায়িজ হবে। কোথাও হারিয়ে গেছেন, আশেপাশে কোনো খাবার দাবার নেই। খুঁজে পান নি কিছুই। পেয়েছেন একটা মরা গোরু। তখন সেই মৃত গোরুর গোশত ভক্ষণ করা জায়িজ হবে আপনার জন্যে। কিন্তু এর বাহিরে আপনি তা করা মানে আল্লাহর বিধানকে লংঘন করা। তখন এই কাজের জন্যে আপনাকে পাকড়াও করা হবে।

এবার আসুন বিয়ের বিষয়। আল্লাহর রাসুল-ই তো স্বয়ং বিয়ের ক্ষেত্রে দ্বীনদারিতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। দ্বীনহিন কাউকে বিয়ে করা, ইসলাম্পন্থী নয় —এমন কাউকে বিয়ে করতে আল্লাহর রাসুলের নিষেধ ও নিরুতসাহ আছে। ইসলাম ধারণ করে না —এমন মানুষকে জীবনসঙ্গী বানানোকে আল্লাহর রাসুল স্বল্লালাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম মন্দ-আর অকল্যাণ ডেকে আনা বলেছেন।

এখন আপনিই বলুন, আপনি ইসলামপন্থী ছাড়া কীভাবে অন্যকে বিয়ে করবেন ? কীভাবে বাণিজ্য করবেন ? আপনি ইসলামপন্থী হয়েও কীভাবে এই বিষয় নিয়ে সমালোচনা করেন? কিংবা অন্যের সমালোচনা শুনে কীভাবে হীনমন্যতায় ভোগেন ? আপনার বা আপনাদের সমালোচনা যারা করে, তারা কি কখনো একজন আপাদমস্তক ইসলামকে ধারণকারী কাউকে ব্যবসায়ীক পার্টনার বানায়? কোনো সেক্যুলার নারী কি আদৌ একজন পূর্ণাঙ্গ ইসলামকে ধারণকারি কোনো ছেলেকে বিয়ে করে ? করতে চায়? তারাও তো তাদেরই মতো একজন মানুষকে পার্টনার বানায় — ব্যবসা-বাণিজ্যে, বিয়ে-শাদিতে; একেবারে সবকিছুতেই। তাহলে হুবহু ওই মানুষদের সমালোচনায় কেনো আপনি হীনমন্যতায় ভুগছেন? কী জন্যে এতো হীনমন্যতায় ভুগতে হবে? আপনার আদর্শের ওপর, আপনার আন্দোলনের ওপর আপনার আস্থা-ভালোবাসা নেই? কী আজিব আপনার চিন্তা আর মন-মেজাজ গো ভাই!! কেনো এতোটা হীনমন্যতায় ভোগেন আপনি ??

মুমিনদের সম্পর্কে তো মুমিনদের সাথেই সবচেয়ে বেশি সুদৃঢ় হবে। আল্লাহর কুরআন খুলে দেখুন, মুমিনগণ হবে "রুহামাউ বাইনাহুম"। তাই না?? সুতরাং আসুন, কারো দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। এদের এমন কিউট কথা-বার্তায় ইসলাম চলে না, এটা আপনার আমার বুঝতে হবে ভাই ! যারা এসব বা এইসংক্রান্ত কথাবার্তা বলে, এদের দ্বারা বিভ্রান্ত হবেন না। এদের থেকে সচেতন থাকুন, কারণ এরা মতলববাজ!!

~রেদওয়ান রাওয়াহা

পঠিত : ৫৪৩ বার

মন্তব্য: ০