Alapon

এই দেশকে আমরা আবার আযাদ করবো ইনশা আল্লাহ।



দেশের ইতিহাসের একজন শ্রেষ্ঠ মনীষী ড. মুঈনুদ্দীন আহমেদ খান স্যার এই ঝড়ো সময়ে ইন্তিকাল করলেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন।

নব্বই বছরের ওপর বয়স হয়েছিল ওনার। কাজ করেছেন প্রচুর। ওনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে মুসলিম স্ট্রাগল ফর ফ্রিডম ইন বেঙ্গল একটা।

আজকে বাংলাদেশে যে লড়াই চলছে, তা মূলত পলাশীর অসমাপ্ত যুদ্ধেরই ধারাবাহিকতা। দেশকে জনগনের বিরুদ্ধে গিয়ে যারা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে তুলে দিয়েছিল, তাদেরই অংশবিশেষ এখন দেশকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাকসেসর পলিটির কাছে তুলে দিয়েছে।

ধর্মীয় পরিচয় এদের ক্ষেত্রে যাই হোক, এদের রাজনৈতিক ধর্ম হচ্ছে গেরুয়া সন্ত্রাসবাদ, এটি ভিন্ন এদের আর কোন রাজনৈতিক পরিচয় নাই। আওয়ামী মানেই সংঘী, দিস ইজ প্লেইন এন্ড সিম্পল। যাদের ঈমান আছে, তাদের পক্ষে আওয়ামী লীগ করা সম্ভব না।

গতকাল সংঘীদের মুরতাদ ঘোষনা করে যে ইনফরমাল ফাতওয়া জারি করা হয়েছে, তা আরো রেটোরিক্যাল হওয়া উচিত ছিল। গণহত্যাকারী এক মুশরিকের পক্ষে ঈমানদারদের ওপর যারা অস্ত্র ব্যবহার করে তারা কোনমতেই মুসলিম হতে পারে না। মুসলিমের রক্তকে মুশরিকের পক্ষে যে হালাল মনে করে সে কোনভাবেই মুসলিম হতে পারে না।

মামুনুল হক, হারুন ইজহার, জুনায়েদ বাবুনগরী প্রত্যেকেই যার যার জায়গা থেকে ঠিক আছেন। আল্লামা নুর হোসেইন কাসেমীর অভাব খুব বেশি বোধ হচ্ছে এই সময়ে। তিনি ছিলেন এমন একজন মানুষ যাকে পয়সা দিয়ে কেনা সম্ভব ছিল না।

মামুনুল হককে হয়তো অনেকে গালি দেবেন, কিন্তু উনি বিপদে পড়লে নিজের ক্ষমতার দৌড় সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠেন। এতে অনেক ছাত্রের জীবন রক্ষা পাচ্ছে।

হারুন ইজহার সাহেবের প্রশংসা না করে পারছি না। তার মধ্যে আমি দেখতে পাই ইবনে তাইমিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহির মত দৃঢ়তা, আল্লাহু আকবার!! যদিও তাকে খুব একটা ফলো করি না এবং যখন করি তখন প্রায়শই তার কথার সাথে আমি একমত হতে পারি না, কিন্তু তার নিয়ত নিয়ে আমার ধারনা স্পষ্ট।

হেফাজতের বোঝা উচিত, বাংলাদেশে যে সংঘাত এখন চলছে তা পলাশীর অসমাপ্ত লড়াইয়ের লেগ্যাসি। এই লড়াই বাংলাদেশের জনগনের ফাতেহর মাধ্যমে খতম হবে ইনশা আল্লাহ।

লড়াইটা নেহায়েত জিওপলিটিক্যাল না, থিওপলিটিক্যাল অলসো।
পুরোদস্তুর রাজনৈতিক পক্ষের আবির্ভাব ছাড়া মাদরাসা শিক্ষক, মাদরাসা ছাত্রদের নেতৃত্বে কৃষক-শ্রমিকরা এই লড়াই ফাতেহ করতে পারবেন না।
তাই আমাদের বোঝা উচিত কখন, কোথায় থামতে হবে।
ছাত্র অধিকার পরিষদও গতকাল থেকে কিছুটা নমনীয় হতে বাধ্য হয়েছে, এবং এটা হওয়ার দরকার ছিল।

সমস্ত পক্ষকে এখন ধৈর্য ধরতে হবে এবং সংযমী হতে হবে।
এবং এইখান থেকে, বাংলাদেশের আইডেনটিটি পলিটিক্সকে নতুন করে দাড় করাতে হবে।
আযাদ বাংলাদেশের পরিচয়ের বয়ান এইখান থেকে শুরু হল।
১) কোন রাজনৈতিক সন্ত্রাসী, মুসলমান হতে পারে না।
২) কোন রাজনৈতিক সন্ত্রাসী যে আল ওয়ালা ওয়াল বারা'তে বিশ্বাসী নয়, সে মুসলমান হতে পারে না।
৩) কোন পেশাজীবী, হোক ব্যবসায়ী, ডাক্তার, সরকারী বা বেসরকারী চাকরিজীবী, যদি তার মধ্যে আল ওয়ালা ওয়াল বারা না থাকে, সে মুসলমান হতে পারে না।
৪) ভিনদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে যারা নিজ দেশের মানুষকে গুলি করে, তারা এই বাংলাদেশের কেউ না।
৫) যে স্বাধীনতা দিবস আমাদের ইজ্জত ও ইনসাফের গ্যারান্টি দিতে পারে না, সে স্বাধীনতা দিবস আমাদের নয়।
৬) ইনসাফ ও জুলুমের মধ্যে হওয়া লড়াইয়ে জুলুমের পক্ষে, ইনসাফের বিপক্ষে যাদের অবস্থান, তারা আমাদের কেউ না।

এই বয়ান সাধারনকে জানায়ে দিতে হবে, যারা এখনো বোঝে নাই, এক নব্য-উপনিবেশ কায়েম হয়ে বসে আছে এখানে।

এই দেশকে আমরা আবার আযাদ করবো ইনশা আল্লাহ।

পঠিত : ৩৭৭ বার

মন্তব্য: ০