Alapon

সশস্ত্র বিপ্লবদারীরা ইসলামী আন্দোলনের পলিটিকাল মেজাজ নষ্ট করে

.
হারুন ইযহার ভাই আজকে মানহাযী প্রেমিক হয়ে যে পোস্ট দিয়েছেন সেটা দেখে কাউকেই অবাক হওয়ার কথা না এক্সেপ্ট জামায়াতের ও শিবিরের কিছু ভাই ব্রাদার ছাড়া।

হারুন ইযহার ভাই বরাবরই মানহাযী। আর এদিকে কওমী ও জামায়াতে ইসলামী ২০০৫ সালেই মানহাযী পার্টির বিরুদ্ধে ওলামা মাশায়েখ প্রোগ্রাম করে কসম খেয়েছে যে সশস্ত্র বিপ্লবের সাথে কওমী ও জামায়াতে ইসলামীর কোনো সম্পর্ক নাই।এবং তারা এই পন্থাকে অনৈসলামিক মনে করেন।

জামায়াত আর কওমী সেই জায়গায় এক। অথচ হারুন ইযহার ভাই সেই কওমীর ঘরে বসেই মানহাযীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেন। এবং জামায়াতের সাথেও তিনি সখ্যতা রাখেন।

কওমীর সাথে সম্পর্ক রাখার কারণ হলো, একে ভিত্তি না করলে তার কাজের জায়গা থাকেনা। আর জামায়াতের 'খেলাফতের খোশগল্পের ফ্যান্টাসিতে যে কর্মীরা ভোগছে ' তাদের সাথে সম্পর্ক রাখেন কারণ এদের হাতে না রাখলে দেশের ম্যাক্সিমাম ইসলামপন্থীই তিনি হারাবেন।

মূলত হারুন ভাই জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনো ন্যাগেটিভ কথা বলেন না কারণ; জামায়াত শিবির কর্মীদের তিনি হারাবেন এই জন্য।

নাহয় তার মনে অনেক কষ্ট আছে জামায়াত নিয়ে।কারণ তিনি হরতালকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি মনে করে হারাম ফতওয়া দেন। আর রজামায়াতে একে নিজের হাতিয়ার হিসেবে নেয়।

এখনো অনেকের বুঝা উচিত মূলত হারুন ইযহার ভাই জামায়াতের প্রতি সফটনেস রাখেন না।রাখলে জামায়াতের করা ওলামা মাশায়েখ প্রোগ্রাম অনুযায়ীই চলতেন।

মূলত সশস্ত্র বিপ্লবদারীরা ইসলামী আন্দোলনের পলিটিকাল মেজাজ নষ্ট, ও দেশের মধ্যে প্রকাশ্যে দ্বীনের কাজ করতে বাধা সৃষ্টি করে তারা তাদের কাজ চালিয়ে যেতে চায়। আর আমাদের কথা হলো আমরা দ্বীনের কাজ করবো প্রকাশ্যে।

আমরা সাক্ষী দিব মানবজাতির কাছে। শুহাদা ই আলান্নাস হবে গোপনে নয়- প্রকাশ্যে।আল্লাহ জানতে চাইবেন; কে আছো আমাকে সাহায্য করার জন্য। আমরা প্রকাশ্যে ফাঁসি বরণ করে নেয়া শহীদদের মত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নিব; আর চিল্লাইয়া বলবো-نَحْنُ اَنْصَارُ اللّٰهِ (নাহনু আনসারুল্লাহ)।

অথচ মানহাযীরা চায়না আমরা প্রকাশ্যে কাজ করে মানুষকে দাওয়াত দিয়ে দ্বীনের পথে নিয়ে আসি। এইতো এখন আমাদের দাওয়াতী মৌসুম চলছে। মানহাযীরা দেশে যেকোন এক জায়গায় অপকর্ম করবে, আর আমাদেরকে দাওয়াতী কাজ থেকে এরেস্ট করা হবে। এইই তো মানহাযী কাজ হারুন ভাই- তাই তো?

জামায়াতকে তাঁর কাজ করতে 'তত্ত্বগত বাধাপ্রধান' ও ইউসুফ আল কারযাভীকে গালি দেয়ার পরেও মানহাযীদের আর কোনো গুণ থাকতে পারে নাকি? কারণ রিয়াসাতে ইসলামীয়ার রিভাইভই দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী, ইখওয়ান তাঁর মুর্শিদ ইউসুফ আল কারযাভী।

-সাইফুল্লাহ মুহাম্মদ তোফায়েল

পঠিত : ৭০৮ বার

মন্তব্য: ০