“সমাজ সংস্কার চিন্তা-(০২)”
তারিখঃ ৮ এপ্রিল, ২০২১, ১৬:৩৩
শিশুদের মধ্যে
(সাধারনত ৪/৫ বছরের) কিছু কিছু বাচ্চার স্মৃতি শক্তি খুবই প্রখর হয়ে থাকে! যে বিষয়গুলো একবার এদের স্মৃতিতে গেঁথে যায় সহজে এরা এগুলো ভুলে না। বলা হয়ে থাকে যে, আজকের শিশুরাই আগামি দিনের ভবিষ্যৎ। তাই ছোটদের সাথে কখনোই খারাপ ব্যাবহার করবেন না। হতে পারে আজকের আপনার একটি খারাপ ব্যাবহারের কারনে (সে যখন বড় হবে) সুযোগ থাকা সত্বেও আপনাকে কোনো কাজে সাহায্য নাও করতে পারে। তাই তাদের সাথে সবসময় আপনার বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন। এই বয়সে এদের অনেক জিজ্ঞাসা থাকে, আপনি তাদেরকে সেই বিষয়গুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে বুঝিয়ে দিন। এতে আপনার প্রতি তাদের ছোট থেকেই সম্মান বাড়বে, শ্রদ্ধা বাড়বে। আপনি সহজেই তাদের ভালবাসার পাত্র হয়ে উঠতে পারবেন।
বাবা মা হিসেবে ছোট থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি দ্বীনি শিক্ষার প্রতি সমান গুরুত্ব দিন। তাই ছোট থেকে কৈশোরে উপনিত হবার আগেই এদেরকে সালাত, অযু, গোসল, তায়াম্মুম, সমস্ত ফরজ বিষয়গুলোর সঠিকভাবে শিক্ষা দিন
(কারন আমার পরিচিত এক বড় ভাই ছিল যে কিনা দুই কন্যার জনক, এতবছর পর্যন্ত নাকি সে ফরজ গোসল কি সেটাই জানতো না! OMG!)। সাথে আমাদের মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর জীবনী সংবলিত সীরাত বই কিনে দিতে পারেন। এতে তারা ছোট থেকেই নিজের আখলাককে সুন্দর করার একটা পথ যেমন পাবে তেমনি ইসলাম সম্পর্কে স্পস্ট ধারণাও পাবে। মেয়ে হলে ছোট বেলা থেকেই পর্দা করাতে শিখান, পর্দার গুরুত্ব বুঝান। যথা সম্ভব ছোটদের থেকে মোবাইল দূরে রাখুন, বাহিরে মাঠে খেলার সুযোগ দিন। এতে তাদের মানষিক দিকটার যেমন প্রবৃদ্ধি ঘটবে তেমনি শারীরিক দিকটারও পরিবর্তন হবে। কখনোই যাতে মোবাইল গেমসে আসক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। যদি ইতোমধ্যে আসক্ত হয়ে যায় তাহলে আস্তে আস্তে এই বদ অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য যথাসাধ্য ব্যাবস্থা নিন। কখনোই যাতে দ্বীনবিমুখ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
তাদের খাদ্যভ্যাস সম্পর্কে খেয়াল রাখুন। বাহিরের ভাজা পুরার চেয়ে বাড়িতে তৈরী হাতের খাবার শতগুনে ভাল। খাবারের তালিকায় যাতে সবসময় পর্যাপ্ত পরিমানে সবুজ শাক সবজি থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিৎ করুন। ছোটবেলা থেকে এরকম খাদ্যাভ্যাস অনেক বড় বড় রোগের হাত থেকে থেকে রক্ষা করতে পারে।
তারা কোনো ভুল করলে প্রথমেই শাসন না করে বরং আদর করে বুঝান যে বিষয়টি কেন ভুল। এরা
(সাধারনত ২/৩ বছরের বাচ্চারা) অনুকরনপ্রবণ, তাই তাদের সামনে এমন কোনো কাজ করবেন না যেটা এদের জন্য নেতিবাচক কিছু ডেকে আনতে পারে৷ এদের সামনে পারলে প্রমিত ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করুন। ভুলেও এদের সামনে খারাপ কোনো ভাষায় কাওকে গালি গালাজ করবেন না। এই বয়সে একবার যেটা শিখে যাবে সেটা ভুলাতে আপনার অনেক বেগ পেতে হবে।
এদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন। পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমানো সুযোগ দিন। প্রতিদিন নবী (সঃ) এর সীরাত থেকে নতুন কিছু শেখানোর চেষ্টা করুন।
✍️
শামীম,
✉️
[email protected]
সমাজ সংস্কার চিন্তা, পর্বঃ -(০২),
সমাজ সংস্কার চিন্তা, পর্বঃ (০১)
২৬/০৩/২১ইং।
মন্তব্য: ১