Alapon

মুসলমানদের আজকের এ অবস্থার জন্য দায়ী কারা”

আজকে আমাদের(মুসলমানদের) এ হীন অবস্থার কারন আমরা নিজেরাই। কোরআন সুন্নাহ থেকে বিরত থাকার ফল। অতীত ইতিহাস থেকে সহজেই বুঝা যায় যে আমরা মুসলমানরা সবদিক থেকেই যে এগিয়ে ছিলাম। মরুপ্রান্তরে যখন থেকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কতৃক ইসলাম ধর্ম নামক অমৃত সুধার প্রচার এবং প্রসার হতে লাগল তখন থেকে প্রায় আঠারো শতক পর্যন্ত ইসলামের জয় সর্বত্রই হয়েছে। সুদূর ইউরোপ থেকে আফ্রিকা, এশিয়ায় ইসলামের পতাকা উড়েছে। এমনকি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে শুরু করে রসায়ন,গনিত, ভুগোল প্রত্যেকটি ইস্যুতে মুসলমানদের অবদান অনস্বীকার্য। যখন থেকেই মুসলমানরা দুনিয়া নিয়ে মত্ত হতে শুরু করেছে তখন থেকেই মুসলমানদের অধপতনের যাত্রা শুরু হয়েছে।

শুধু একটা উদাহরন দিচ্ছি, মমতাজের মৃত্যুতে শাজাহান গভীর শোকে কাতর হয়ে স্বৃতিফলক স্বরুপ তাজমহল বানিয়েছে।যা দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্টেরই নামান্তর।অথচ এরকম টা হওয়ার কথা ছিল না।বরং যদি মমতাজের মৃত্যুতে তিনি দু'রাকাত নফল নামাজ পড়ে মহান আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া চাইতেন এবং তাজমহল বানানোর টাকা গুলো দিয়ে অসহায় গরিব দুঃখীদের সদকা করতেন তাহলে দুনিয়া এবং আখেরাত উভয়ই তার জন্য সফলতা বয়ে আনতো।


পবিত্র কোরআনে কাফির মুসরিকদেরকে মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু বলে উল্লেখ করা হয়েছে।অথচ দুঃখের বিষয় এই যে, মুসলমানরা হাত মিলিয়েছে সেই কাফির মুসরিকদের সাথেই।আজ মুসলমানদের পবিত্র ভুমি সৌদি আরবে মুর্তি পূজার জন্য মন্দির স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে।আর এদিকে ভূস্বর্গ কাশ্মীর রঞ্জিত হচ্ছে মুসলমানদের রক্তে।আর এর নেতৃত্ব যে দিচ্ছে তাকেই সৌদি সরকার বিশেষ সম্মাননা দিচ্ছে। সৌদি আরব, সিরিয়া, তুরস্ক, ইরাক কিংবা ইরান ইস্যুতে সেই কাফির মুসরিকরা আমাদেরকেই (মুসলমানদেরকেই) সেই মুসলমানদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করছে সেটা এখন কারও অজানা নয়।
(এই বক্তব্যে আমাকে যেন আবার কেউ হিন্দু বিদ্ধেষী মনে না করে।কারন আমার অনেক হিন্দু শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধু বড়, ভাই আছে যাদের আমি যতেষ্ট শ্রদ্ধা এবং ভালবাসি।)

তারা(কাফের মুসরিকরা) আসলে আমাদের সাথে গেম খেলছে।আর মাঠের বাইরে থেকে মজা নিচ্ছে।মুসলমানরা যাতে কোনদিনও একতা বদ্ধ হতে না পারে সেজন্য প্রথমেই তাদের মধ্যে বিভিন্ন মতবাদে আলাদা আলাদা দল সৃষ্টি করছে।যার ফল স্বরুপ আজকে ইসলামের মধ্যে সুন্নি,শিয়া,আহলে হাদিস,আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত ইত্যাদি নামে অনেক গুলো দলে বিভক্ত।অথচ পবিত্র কোরআনে ইসলামের রজ্জুকে শক্তভাবে ধরার কথা বলা হয়েছে।আর কেরআন এবং হাদিসকে আকরে ধরার কথা বলা হয়েছে।সে হিসেবে ইসলামে দল হওয়ার কথা ছিল একটি।

যাইহোক যা বলছিলাম,মুসলমানরা যতদিন পর্যন্ত একতা বদ্ধ হতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত মুসলমানদের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আসবে না। রোহিঙ্গা,কাশ্মীর, সিরিয়ার মত অবস্থা সব জায়গায় বিরাজ করবে।আরে ভাই,আল্লাহ তা'আলা ততক্ষণ পর্যন্ত কারো ভাগ্য পরিবর্তন করে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে।


কিন্তু সেই দিন বেশি দূরে নয় যখন সমস্ত পৃথিবী জুরে উড়বে কালিমার পতাকা।এখন শুধু ঈমাম মাহদী (আঃ) এর আগমনের জন্য অপেক্ষা।

শামীম,
✉️ [email protected]
২৯/১১/১৯ ইং।।

পঠিত : ৭০২ বার

মন্তব্য: ০