Alapon

কনিষ্ঠার জিজ্ঞাসা (মনুষত্ব)



মিতানু,
বয়স তাহার বারো-তেরো, হবে বড়জোর,
এ বয়সেই পাকা কথা মুখে ঝরোঝর।
কথার পৃষ্ঠে উচিৎ জবাব দেয় সবসময়,
তাই হইতো পাড়ার লোকে অকালপক্ব কয়।
সহসা আসিয়া একদা জিজ্ঞাসিল মোরে,
''দাদা'' বল, "মনুষত্ব" কহে কাহারে?
আকস্মিক এ প্রশ্নে আমি বিচলিত হলাম,
অপক্ক মস্তিস্কের প্রশ্নে অবাক চেয়ে রইলাম!

ক্ষানিক ভাবিয়া আমি শুধিলাম তাহায়,
ভগ্নি তুমি এ বর্ণগুচ্ছ পাইয়াছিলে কোথায়?
জবাবে বক্তব্য তাহার ছিল যে এমন,
এটা তো এমন বিষয়, অতি সাধারন।
যেখানেই যাই শুনি, সর্বলোকে গায়,
মানবতা মনুষত্ব নাকি দেশে এখন নাই।

বর্ণিলাম তারে তখন নিজ মত করে--
"সুশিক্ষা লয়ে যারা মানবব্রতে রহে,
আসল মনুষত্ব তবে তাহারেই কহে।
ব্যাক্তিস্বার্থ না দেখিয়া চলে যেই জন,
তার মনেই মনুষত্ব-বীজ করিছে বপন।
কিংবা দশের হিতে যে করে কাজ
মনুষত্ব তাহাতেই করে যে বিরাজ।"

আচমকা ক্রোধিত কন্ঠে জবাবে সুধাল--
"মনুষত্ব তবে কি এদেরকেই বলে,
দেশটাকে খাচ্ছে নেতায়, শিক্ষিতের দলে?
ডাক্তার-নার্স এরা সবে মানব ব্রতের লাগি,
টাকা ছাড়া কয় না কথা লাভটা হলো কি?
পুলিশ যেখায় কয় না কথা "টাকা-মামা" ছাড়া,
সবে না, গুটিকয়েক, তারা কি বোধছাড়া?
কেনইবা দেশে এখন বাড়ছে খুন ধর্ষণ,
তারমানে কি মনুষত্ব শুধু বুলির'ই মতন।"

জবাবে কহিলাম তারে---
সু-শিক্ষা নেয়নি তারা নিয়েছে কু-শিক্ষা,
জ্ঞানপাপি তারা, তাদের নেই কোনো দীক্ষা।
পরিবার থেকে পায়নি তারা যত্ন যথার্থ
বাবা-মা'রা হয়তো ছিল আপনাতে ব্যস্ত।
যাহারা সর্বদা করে এ ধরনের কাজ,
থু-থু ছিটাও তাদের মুখে, নেই তাদের লাজ!

শামীম,
০৬/০৪/২০ইং।

পঠিত : ৪৬৫ বার

মন্তব্য: ০