Alapon

শয়তানের প্রথম ফাঁদ, যা আজও আমাদের ভ্রান্তিতে ফেলছে!



আল্লাহ তা'য়ালার আদম (আঃ) কে সৃষ্টির সেই ঘটনা সব মুসলিমই জানি, জানি ইবলিসের শয়তান হওয়ার ঘটনা। আদম আলাইহি ওয়া সাল্লামের শয়তানের প্ররোচনায় পরে নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার ঘটনাটিও জানি। তার পরেও আরেকবার এ ঘটনাটি মনে করছি, কেননা এখানেই রয়েছে শয়তানের প্রথম ফাঁদ, যে ফাঁদে পড়েছিলেন আমাদের আদি পিতা আদম (আঃ), বুঝে না বুঝে আমরাও সেই একই ফাঁদে পরাস্থ হচ্ছি প্রতি নিয়ত।

আদম (আঃ) কে বানানোর পরে আল্লাহর আদেশে আদম (আঃ) কে সিজদা না করায় আল্লাহ শয়তানকে বিতাড়িত করলেন, আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ) কে দিলেন জান্নাত। আর জান্নাত হচ্ছে পরম সুখ ও প্রশান্তিকর স্থান। সেখানে আল্লাহ তাদের শুধু একটা গাছ বাদে জান্নাতের বাকি সব নিয়মত ভোগের অনুমুতি দিলেন।

"এবং আমি আদমকে হুকুম করলাম যে, তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করতে থাক এবং ওখানে যা চাও, যেখান থেকে চাও, পরিতৃপ্তিসহ খেতে থাক, কিন্তু এ গাছের নিকটবর্তী হয়ো না। অন্যথায় তোমরা যালিমদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়বে।"
-(২.সূরা আল বাকারাঃ ৩৫)

কিন্তু তারপর মানুষের চির শত্রু শয়তান তাদের সামনে এতো এতো নিয়ামত থাকতেও প্রলুব্ধ করলো সেই একমাত্র নিষিদ্ধ গাছের দিকেই, যেমন টা শয়তান আজও করে আসছে।
আমাদের সামনে ভালো ও হালাল হাজারো পথ থাকতেও সেই সব হালাল ও সৎ পথকে সরিয়ে রেখে অল্প কিছু হারামের দিকে ডাকছে। সেই হারামকেই আমাদের সামনে সুন্দর ও আকর্ষনীয় ভাবে উপস্থাপন করছে, আমাদের বার বার এই বলে ধোকা দিচ্ছে যে হারাম পথ অবলম্বল ছাড়া আমাদের কোনো পথ নেই।

" সে (শয়তান) বলল, হে আমার প্রতিপালক! আপনি যে আমাকে পথভ্রষ্ট করলেন, সে জন্যে আমি পৃথিবীতে পাপকর্মকেকে মানুষের সামনে শোভন করে উপস্থাপন করব এবং আপনার মনোনীত বান্দাদের ছাড়া সবাইকে বিপথগামী করে ছাড়বো। "
-(১৫.সুরা আল হিজরঃ৩৯)

তবে এই লিখার প্রতিপাদ্য বিষয় এটা নয়, বরং শয়তান কিভাবে কি বলে আদম আঃ কে ফাঁদে ফেলেছিলো, এবং কিভাবে আমাদেরও প্রতিনিয়ত এই ফাঁদ ফেলছে সেটা নিয়েই বলার চেষ্টা করছি। তার আগে এটা ভালো ভাবে বুঝা জরুরী যে আদম (আঃ) কে শয়তান ফাঁদে ফেলবে সেটা মহান জ্ঞানি ও প্রজ্ঞাশীল আল্লাহ তা'য়াল বৃহৎ পরিকল্পনারই একটা অংশ ছিলো, এটা ছিলো মানব জাতির পরিক্ষার ক্ষেত্র সৃষ্টির একটা মাধ্যম মাত্র। কুরআন ও একাধিক হাদীসে তার দলিল রয়েছে। আর আদম (আঃ)-এর এই শয়তানের ধোকায় পরার ঘটনাতে আমাদের জন্যে রয়েছে দৃষ্টান্ত ও বিরাট শিক্ষা। তারই একটা অংশ নিয়েই আজ কিছু কথা বলার চেষ্টা করছি।

শয়তান যখন আদম আঃ কে ধোকায় ফেললো, তখন এই বলে ধোকায় ফেললো যে সেই নিষিদ্ধ গাছের ফল ভক্ষণকারী পাবে 'ফেরেসশতা হওয়ার ক্ষমতা' এবং 'অনন্ত জীবন'।
"...শয়তান তাদের কুমন্ত্রনা দিল এবং বলল, পাছে তোমরা উভয়ে ফেরেশতা হয়ে যাও, কিংবা তোমরা হয়ে যাও চিরকাল বসবাসককারী, এজন্যেই তোমদের প্রতিপালক এ বৃক্ষ সম্বন্ধে তোমাদের নিষেধ করেছেন।"
-(৭.সুরা আল আরাফঃ ২০)

" অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রনা দিল, বললঃ হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্তকাল জীবিত থাকার বৃক্ষের কথা এবং অবিনশ্বর রাজত্বের কথা?"
-(২০.সুরা ত্বোহাঃ ১২০)

কিন্তু আদম আঃ তখন পূর্ব হতেই যথারিতী জান্নাতেই অবস্থান করছিলেন এবং জান্নাতের নিয়ামত সমূহ ভোগ করছিলেন!! আর অনন্ততা বা eternity তো জান্নাতের নিয়ামতেরই একটা অংশ!

"তোমাকে (আদমকে) এই (জান্নাত) দেয়া হল যে, তুমি এতে ক্ষুধার্ত হবে না এবং বস্ত্রহীণ হবে না। এবং তোমার পিপাসাও হবে না এবং রৌদ্রেও কষ্ট পাবে না।"
-(২০.সুরা ত্বোহাঃ ১১৮-১১৯)

“...যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হল বিরাট সাফল্য।”
-(৪.সূরা আন নিসা, আয়াত: ১৩)

"...যার তলদেশে প্রস্রবণ প্রবাহিত-তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আর রয়েছে পরিচ্ছন্ন সঙ্গিনীগণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখেন।” -(৩.সূরা আল ইমরান, আয়াত: ১৪-১৫)

"“আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, অবশ্য আমি প্রবিষ্ট করাব তাদেরকে জান্নাতে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ। সেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল।”
-(৪.সূরা আন নিসা, আয়াত: ৫৭)

“যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, আমি তাদেরকে উদ্যানসমূহে প্রবিষ্ট করাব, যেগুলোর তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হয়। তারা চিরকাল তথায় অবস্থান করবে। আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সত্য; কথায় আল্লাহর চাইতে অধিক সত্যবাদী কে?”
-(৪.সূরা আন নিসা, আয়াত: ১২২)

“আল্লাহ বললেনঃ আজকের দিনে সত্যবাদীদের সত্যবাদিতা তাদের উপকারে আসবে। তাদের জন্যে উদ্যান রয়েছে, যার তলদেশে নির্ঝরিনী প্রবাহিত হবে; তারা তাতেই চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট। এটিই মহান সফলতা।”
-(সূরা আল মায়িদাহ, আয়াত: ১১৯)

অর্থাৎ শয়তান যখন আদম (আঃ) কে নিষিদ্ধ বৃক্ষের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে তখন সে প্রলুব্ধ করে এমন এক নিয়ামতের প্রতি যা আদম (আঃ) যদি শয়তানের ধোকায় না পড়তো তবে এমনিতেও পেত!!!! মানে আগে থেকেই প্রাপ্য একটা নিয়ামতে প্রলভন দেখিয়ে হরামের দিকে আহব্বানই ছিলো শয়তানের প্রথম ফাঁদ!

সাথে আরেকটা প্রলভন ছিলো ফেরেশতা হওয়ার, অথচ ফেরেশতার উপরে ছিলো আদমের অবস্থান। আল্লাহ আদম (আঃ) কে ফেরেশাতাদের চাইতেও বেটার ক্রিয়েশন তথা আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছিলেন। আল্লাহ ফেরেশতাদের উপর আদমের শ্রেষ্ঠত্বর ঘোষণা করেছিলেন, ফেরেশতারাই আদমকে সিজদা করেছিলো। অর্থাৎ শয়তানের ধোকাটি ছিলো বর্তমানের চাইতে অনুত্তম কিছুর প্রলভন!! যার উপস্থাপন এতো সুন্দর ছিলো যে সেই অনুত্তমই আদম (আঃ) এর চোখে উত্তম বলে মনে হয়েছিলো। এবং আশ্চর্য বিষয় সেই পুরনো ফাঁদেই শয়তান প্রতিনিয়ত আমাদেরকেও ফেলছে বার বার । সেই যে প্রথম ফাঁদ তা আজও চলমান।

এবার আমরা যদি একটু আমদের দিকে তাকাই, শয়তানের চলমান ফাঁদ গুলোর সাথে সেই আদি ফাঁদ মিলিয়ে দেখি তো তাজ্জব বনে যেতে বাধ্য, কেননা ফাদের কোনো পরিবর্তনই হয়নি! আমারা সবচেয়ে বেশি যে পাপ করে চলেছি তার প্রায় সবই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দুটো জিনিসের সাথে সংশ্লিষ্ট। এক-টাকা বা ধন সম্পদ, দুই- ক্ষমতা তথা প্রভাব প্রতিপত্তি। চুরি, ছিনতাই, দুর্নীতি, পণ্যে ভেজাল মেশানো, ভোগ দখল বা আত্নস্যাৎ করার মূল মোটিভই এই সম্পদ। আর এই সম্পদের প্রতি মোহ আসার মূল কারন অভাবের ভয়। হয় নিজের অথবা নিজ সন্তানের কিংবা আর কারো বেঁচে থাকার, খাওয়া পড়া ও সকল সুখ ও সুবিধা নিশ্চিত করতেই কিন্তু মানুষ এইসব অনৈতিকতার পথ বেছে নেয়। ক্যাপিটালিস্ট সামজিক ব্যবস্থার মাধমে শয়তান আমাদের অন্তরে সম্পদের অপরিহার্যতা ও অভাবের ভয় দেখায়, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুঃচিন্তায় ফেলে।
"শয়তান তোমাদেরকে অভাব (ও দারিদ্র্যত)-এর ভয় দেখায়"
-(২.আল-বাক্বারাহঃ২৬৮)

আর ফলাফল আমরা টাকা-ক্যারিয়ারকে নিজের সেইফটির একমাত্র অবলম্বন এই বিশ্বাস মনে গেঁথে নেই। ঐদিকে সেই পুরোনো পদ্ধতিতেই শয়তান আবার আমাদের সামনে হালাল গুলোকে সংকীর্ণ করে দেয়, হালাল গুলোকে সহজ ও সহজলভ্য হিসেবে উপস্থাপন করে, আমরা সেই ফাঁদেই পা দেই যেই পুরোনো ফাঁদ শয়তান পেতে রেখেছিলো মানুষ তার সৃষ্টির পরপরই। অথচ মানুষের রিজিক পূর্ব নির্ধারিত। এবং তা সরাসরি রাব্বে কারীমের হাতেই,
"পৃথিবীতে চলমান সকল প্রাণীর জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর। তিনি তাদের অবস্থানস্থল ও সংরক্ষণস্থল জানেন। সবকিছুই এক স্পষ্ট গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে।"
-(১১.সূরা হুদঃ ৬)

"তোমার রব যাকে চান জীবিকা বাড়িয়ে দেন, আবার সংকুচিত করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি তাঁর বান্দাদের সব খবর রাখেন এবং সবকিছু দেখেন"
-(৩০. সুরা রোমঃ ১৭)

যা আমার রিজিকে রয়েছে তা সৎ পথে পরিশ্রমের ফলেই আসবে, তাহলে শয়তানের ধোকায় আমরা সম্পদের তালাশে হারাম পন্থা অবলম্বন করে কি নিজ রিজিকের বাইরেই সামান্য কামাই করতে পারবো? যা আমার রিজিকে নেই তা জোড় করে জুলুম করে এনেও কি ভোগ করে যেতে পারবো? অবশ্যই না, বরং এর ফলে আমরা ইহকাল পরকাল সবই হারাবো।

এরপর যদি ক্ষমতা বা প্রভাব প্রতিপত্তির কথা বলি সেখানেও একই যুক্তি খাটে, এই ক্ষমতা কখনোই বিপদকে ঠেকাতে পারে না। কেননা বিপদ মূল মোটামুটি দুইটা। হয় নিজ হাতের কামাই নয় পরীক্ষা।

“পৃথিবীতে ও তোমাদের জানের উপর যে বিপদই আসুক না কেন আমরা তা সৃষ্টি করার আগেই কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে।”
-[সূরা হাদীদ, আয়াত: ২২]

“আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন বিপদই আপতিত হয় না। যে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, আল্লাহ্‌ তার অন্তরকে সৎপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।”
-[সূরা তাগাবুন, আয়াত: ১১]

"যে বিপদ-আপদই তোমাদের ওপর আসুক না কেন, তা হচ্ছে তোমাদের নিজেদের হাতের কামাই, আল্লাহ তা’য়ালা তো অনেক গুনাহ ক্ষমা করে দেন।"
-(সুরা আশ-শুরাঃ৩০)।

"মানুষের কৃতকর্মের দরুন জলে-স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা তাদের কতিপয় কাজকর্মের জন্য তাদের শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাতে চান, যাতে করে তারা ফিরে আসে"
-(সুরা রোমঃ৪১)

"বড়ো আযাবের আগে আমি অবশ্যই (দুনিয়ায়) ছোট খাটো আযাব আস্বাদন করাবো, হয়তো এতে (অনুতপ্ত হয়ে) সে আমার দিকে ফিরে আসবে।"
-(সুরা সিজদাঃ২১)

"আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করাবো ভয়-ভীতি, ক্ষুধা-অনাহার, তোমাদের জান-মাল ও ফসলাদির ক্ষতি সাধন করে (তোমাদের পরিশ্রমের)। যারা ধৈর্যের সাথে এর মোকাবেলা করে, তাদের সুসংবাদ দান করো"
(সুরা বাকারাহঃ ১৫৫)

যে বিপদ তাকদীর কিংবা নিজ পাপের ফল, তার থেকে বাচতে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা অর্জন নির্বুদ্ধিতা ছাড়া কিছুই নয়। অথচ পাপাচারী শয়তান এই বিপদের ভয় দেখিয়ে ভবিষ্যতের ভয় দেখিয়ে আমাদের পাপে লিপ্ত করে ফেলে।

আর যদি শয়তানের আদম (আঃ) ফেরেশতা হওয়ার লোভ দেখানোতে আলোকপাত করি তো সেই ধোকাও আজো চালু। আমাদের ভালো মানুষ হওয়ার চাইতে চালাক হওয়াকে বেটার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, মেয়েদের রাব্বাতুল বাইত বা ঘরের রানী হওয়ার চাইতে চাকরির দাস বা কর্পোরেট স্লেইভ হওয়া কে বেশি উচ্চ স্থানীয় দেখানো হয়, পরদানশিন রমনী হওয়ার চাইতে মডেল ও এক্ট্রেস তথা পিপলস ভারচুয়াল প্রোপার্টি হওয়াকে বড় আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, সৎ ও সত্য কথার চাইতে মিথ্যা ও সত্যি লুকানো কে তথাকথিত ইফেক্টিভ বিজনেস স্ট্রাটেজি হিসেবে দেখানো হয়, পরহেজগার গরিবের চাইতে তাকওয়াহীন ধনীকে অধীক সম্মানী ভাবানো হয়, নাচ-গান ইত্যাদি পাপ কে গুন-কোয়ালিটি কিংবা ট্যালেন্ট হিসেবে দেখানো হয়, যার সবই শয়তানের সেই পুরোনো স্ট্রাটেজি। এবং শয়তান যাদের মাধ্যমে আমাদের এসব ভাবতে বাধ্য করে তারাও সেই শয়তানের মতো শপথ করেই বলতে থাকে, "আমি তোমাদের মঙ্গল কামনা করি।"

নারিবাদিরা নারীদের প্রতি দরদ দেখিয়ে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেবার কথা বলে, সেকুলার রা ধর্মহীন শান্তিপূর্ন এক সমাজের স্বপ্ন দেখায়, কর্পোরেট মাফিয়ারা দেখায় সুন্দর এক ভবিষ্যতের স্বপ্ন, ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পধারীরে সচ্ছলতার স্বপ্ন দেখায়, ইন্টারটেইমেন্ট মিডিয়া দেখায় নাচ-গান তথা পাপাচারে বিখ্যাত হওয়ার লোভ।

আলহামদুলিল্লাহ, সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ.... আল্লাহ আয্যা ওয়া জাল্লা আমাদের সামনের আদম সৃষ্টির ঘটনা ও শয়তানে ধোকার কৌশল উপস্থাপনের মাধ্যমে ওর সব ফাদ, সব ষড়যন্ত্র, সকল বক্রতা আমাদের সামনে একেবারে দিবালোকের মতো খোলাসা করে দিয়েছেন। আফসোস! তবুও নিজেদের নির্বুদ্ধিতার জন্যে, সমান্যতম সচেতনতা না থাকার কারনে বার বার এই শয়তানের সেই পুরনো শয়তানীর স্বীকার হচ্ছি। সেই একই কথা, একই ধোকায় যুগে যুগে দলে দলে মানুষ বিতাড়িত দের দলে জায়গা করে নিচ্ছে।
যখন শত্রুপক্ষের পরিচয় জেনে যাওয়া যায়, ওদের কূট কৌশল ফাস হয়ে যায়, তখন তাকে পরাস্থ করা অনেক সহজ হয়ে পরে। আল্লাহ কুরআনে শয়তানকে আমাদের প্রকাশ্য শত্রু ঘোষণা করে দিয়েছেন, ওর সকল কৌশল আমাদের সামনে উপস্থাপন করে দিয়েছেন, এবং সর্বদা তার দয়া,ক্ষমা ও সাহায্য নিয়ে আমাদেরকে শয়তানের বিপক্ষে জয়ী করার সকল বন্দবস্ত করে রেখেছেন। আমদের শুধু দরকার একটু সচেতনতা, একটু ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন এবং একগ্র চিত্তে ধৈর্য ধরে আল্লাহর দয়া ও সাহায্য কামনা। আল্লহর সাহায্য থাকলে পাপাচারী শয়তানের বিরুদ্ধে বিজয় ইনশাআল্লাহ আমদেরই হবে।

আল্লাহ আমাদের ঈমান আরো বৃদ্ধি করুন, শয়তানের সকল ধোকা থেকে আমাদের হিফাযত করুন এবং আল্লাহর মনোনীতদের দলে আমাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার তৌফিক দান করুন।
আমীন।

- হামিদ

পঠিত : ১৩৬০ বার

মন্তব্য: ২

২০২১-০৪-২৪ ১৮:১৫

User
আসাদ ফয়সাল

মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে শয়তানের ধোঁকাবাজি থেকে হেফাজত দান করুক আমিন।

submit

২০২১-১০-২৪ ১০:০৮

User
hamdi

লেখকের নাম হামিদ নয়, হামদি। এডিট করে দেয়ার অনুরোধ রইলো, জাযাকুমুল্লাহ।

submit