Alapon

তাগুত শাসকের আনুগত্য

তাগুত শাসকের আনুগত্য

ইবাদত অর্থ আনুগত্য করা। আল্লাহ যা হারাম করেছেন, তা হালাল করার ক্ষেত্রে যারা শাসকদের আনুগত্য করে আর আল্লাহ যা হালাল করেছেন, তা হারাম করার ক্ষেত্রে যারা শাসকদের আনুগত্য করে, তারা মূলত শাসকদের আনুগত্য করে, শাসকদের ইবাদত করে। আল্লাহর ইবাদত করে না।
.
কেউ যদি শরী'আতের বিধি বিধানের ক্ষেত্রে সন্তুষ্টচিত্তে আল্লাহর হুকুম না মেনে শাসকের হুকুম মানে, তাহলে তা কুফরী। এর কারণে মুসলমান আর মুসলমান থাকে না।
.
আল্লামা ইবনে তাইমিয়া ( রহঃ ) বলেছেন- কেউ যদি বেগানা নারীর দিকে তাকানােকে হালাল বলে, তাহলে সে কুফরী করল।’’ এটা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। শরী'আতের একটি নীতি হল- “যে ব্যক্তি হারামকে হালাল করল, সে কাফের হয়ে গেল আর যে ব্যক্তি হালালকে হারাম করল, সেও কাফের হয়ে গেল। ”
.
তাই যদি কোন শাসক মুসলমানদের জন্য মদ ক্রয় - বিক্রয় ও পানের অনুমতি প্রদান করে, তাহলে সে কাফির হয়ে যায়। সে ধর্ম থেকে বের হয়ে যাবে। যদি কোন শাসক আইন জারি করে যে, চোরের শাস্তি হল চোরকে দু'মাস জেলে বন্দী করে রাখা, তাহলে সে কাফির হয়ে গেল। এ কারণে সে ধর্ম থেকে বের হয়ে যাবে। কারণ, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন - তাদের হাত কেটে দাও ।
.
ফিকাহ বিশারদ হাকীম বলেন , আল্লাহ তা'আলা চোরের বিধান বর্ণনা করে বলেছেন : তােমরা পুরুষ ও মহিলা চোরের হাত কেটে দাও। সুতরাং কেউ যদি এমন আইন করে - “ পুরুষ ও মহিলা চোরকে দু'মাস জেলে বন্দী করে রাখ, তাহলে এটা নতুন ধর্ম হবে। এর কারণে সে ধর্ম থেকে বের হয়ে যাবে। মুসলমান থাকবে না। ”
.
বিষয়টিকে আমি উদাহরণ দিয়ে আরাে স্পষ্ট করছি । যদি কোন শাসক এ হুকুম জারি করে যে, শাওয়াল মাসে রােজা রাখতে হবে- রমজানে রাখা যাবে না, তাহলে কি সে কাফির হয়ে যাবে না ? নিশ্চয় সে কাফির হয়ে যাবে। যদি কোন শাসক এ হুকুম জারি করে, মাগরিবের নামাজ চার রাকাত পড়তে হবে, তাহলে কি সে কাফির হবে ? নিশ্চয় কাফির হয়ে যাবে। কিন্তু মানুষ বুঝে না যে, চোরের শাস্তিকে পরিবর্তন করা এমন পাপ, যার কারণে মানুষ কাফির হয়ে যায়। মুসলমান মুসলমান থাকে না। কারণ, নামাযের রাকাতে কম বেশি করা বা চোরের শাস্তি পরিবর্তন করা আল্লাহর নির্দেশ লংঘন করে নতুন আইন জারি করার শামিল - তাই তা কুফরী।
.
- শাইখ ড. আ ব্দু ল্লা হ আ য যা ম (রহ.)
???? তাফসিরে সুরা তওবাহ

পঠিত : ৪১২ বার

মন্তব্য: ০