Alapon

“মাতাপিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব”




বাবা মায়ের আদরে বড় হওয়া মেয়ে। যে কিনা কিছুদিন আগেও ভাত খাওয়া নিয়ে বাহানা করতো মায়ের সাথে, মা নিজে খাইয়ে দিলে তবেই তার পেটপুরে খাওয়া হতো। সেই মেয়েটি ই যখন ছোট্ট এক শিশুর জন্মের মাধ্যমে মাতৃত্ব লাভ করলো, নিমিষেই মমতাময়ী মায়ের রূপ ধারণ করে হাজার কষ্ট সহ্য করার এক অলৌকিক ক্ষমতা লাভ করলো।

বাবার কাছ থেকে হাতখরচের টাকা পেয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে ওঠা ছেলেটা ই কিছুদিন পর যখন ‘বাবা’ হবার সংবাদ পায়, যেনো দু'অক্ষরের শব্দটি ই দায়িত্ব হয়ে তাঁর কাঁধে চেপে বসে। তার ছোট্ট সোনামণির জীবনের সকল স্বাচ্ছন্দ্য, আয়াসের ব্যবস্থা করতে গিয়ে সে নিজের সকল শখ আহ্লাদ বিসর্জন দেয় হাসিমুখে।

এই যে এত ত্যাগ সন্তানের জন্য, এত স্বপ্ন দেখা, এত কষ্ট স্বীকার তার জীবন সাজিয়ে দেবার জন্য- সেই বাবা মায়ের প্রাপ্য সঠিক মর্যাদা ই আল্লাহ দিয়েছেন পবিত্র কোরআনে ঘোষণার মাধ্যমে। তিনি বলেন,


وَ قَضٰى رَبُّكَ اَلَّا تَعْبُدُوْۤا اِلَّاۤ اِیَّاهُ وَ بِالْوَالِدَیْنِ اِحْسَانًاؕ اِمَّا یَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ اَحَدُهُمَاۤ اَوْ كِلٰهُمَا فَلَا تَقُلْ لَّهُمَاۤ اُفٍّ وَّ لَا تَنْهَرْهُمَا وَ قُلْ لَّهُمَا قَوْلًا كَرِیْمًا

وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَ قُلْ رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّیٰنِیْ صَغِیْرًاؕ


“তোমার রব ফায়সালা করে দিয়েছেনঃ (এক) তোমরা কারোর ইবাদাত করো না, একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করো। (দুই) পিতা-মাতার সাথে ভালো ব্যবহার করো। যদি তোমাদের কাছে তাদের কোন একজন বা উভয় বৃদ্ধ অবস্থায় থাকে, তাহলে তাদেরকে “উহ্” পর্যন্তও বলো না এবং তাদেরকে ধমকের সুরে জবাব দিয়ো না বরং তাদের সাথে মর্যাদা সহকারে কথা বলো। আর দয়া ও কোমলতা সহকারে তাদের সামনে বিনম্র থাকো এবং দোয়া করতে থাকো এই বলেঃ হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া করো, যেমন তারা দয়া, মায়া, মমতা সহকারে শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।”

[ সূরা বনী ইসরাইল, আয়াতঃ২৩-২৪ ]


বাবা-মা এই নশ্বর দুনিয়ায় আমাদের সবচেয়ে আপনজন। সন্তানের সুখের জন্য নিজেদের সমস্ত জীবন বিলিয়ে দিতে তারা এতোটুকুও কার্পণ্য করেন না। বিনিময়ে আমরা তাদের কি দিই? আজীবন অবহেলা, চাহিদামতো সবকিছু না পেলেই রাগারাগি করা, বৃদ্ধবয়সে যখন আমাদেরকে তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তখন ই আমরা তাদের একাকীত্বের মাঝে ছেড়ে দিই। এর মাধ্যমে আল্লাহকে, বাবা মা কে প্রতিনিয়ত নারাজ করতে থাকি। একবার ও ভেবে দেখি না এই অসন্তুষ্টির পরিণাম।


দৈনন্দিন জীবনের পথচলায় কখনো কোন ব্যক্তি আমাদের প্রতি কৃপা প্রদর্শন করলে তাঁকে কোন কঠিন কথা বলবার প্রয়োজন হলে আমরা শতোবার ভাবি। অথচ কতোই না দুর্ভাগ্য আমাদের, নিজ বাবা মায়ের সাথে উচ্চবাচ্য করতে আমাদের বিবেকে একটুও নাড়া দেয় না। অনেক সময় অনেকে হয়তো পরবর্তীতে অনুতপ্ত হই। নফসের ধোঁকায় পড়ে আবারো দুর্ব্যবহার করে ফেলি। এ সমস্যা থেকে উত্তরণ পেতে হলে, সর্বক্ষেত্রে মনে এই চিন্তা জাগরুক রাখতে হবে যে, বাবা মায়ের সাথে আমাদের হৃদয়ের যে বাঁধন, নিছক তার প্রতিদান স্বরূপ আমরা ভালো আচরণ করবো- বিষয়টি এমন নয়। বরং আমাদের সর্বপ্রকার আনুগত্য কেবল এবং কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য। মাতা পিতার আনুগত্য এবং তাদের সাথে উত্তম আচরণ ও এজন্য ই করতে হবে যে, আল্লাহ মাতাপিতার অধিকার বর্ণনা করে তা মেনে চলার জন্য আদেশ দিয়েছেন।

উত্তম আচরণ গুলো ঠিক কেমন হবে? তার অনেকটুকুও হাদীস থেকে জানা যায়।
আবু হুরাইরা(রাঃ) একজন ব্যক্তিকে পিতার সাথে করণীয় সম্বন্ধে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছিলেন,
“দেখো কখনো তার নাম ধরে ডাকবে না। তার আগে আগে কখনো পথ চলবে না এবং কোন মজলিসে তাঁর আগে বসার চেষ্টা করবে না।”
[ আল আদাবুল মুফরাদ ]


রাসূল(সাঃ) ইরশাদ করেন,
“ যে সুসন্তান ই মাতা-পিতার প্রতি ভালোবাসার দৃষ্টিতে একবার তাকাবে তার বদলায় আল্লাহ তাকে একটি কবুল হজ্জ্বের সমান সওয়াব দান করবেন।” ( মুসলিম শরীফ)

সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ কতোই না মহান এবং পবিত্র।

জীবনের যেকোন কাজ করতে গেলে আমরা সর্বপ্রথম রাসূল(সাঃ), এরপর সাহাবায়ে কেরাম(রাঃ) এবং পর্যায়ক্রমে তাবে' তাবে'ঈ দের অনুসরণ করে থাকি। তাহলে চলুন জেনে আসা যাক, তারা কেমন করে পিতামাতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতেন।

রাসূল(সাঃ) তাঁর দুধমাতা উপস্থিত হলে ই তৎক্ষনাত নিজের গায়ের চাদর বিছিয়ে দিয়েয়ে তাঁকে সেখানে বসতে দিলেন।

প্রখ্যাত সাহাবী আবু হুরায়রা(রাঃ) যখন ই বাইরে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করতেন, মায়ের কাছে উপস্থিত হতেন এবং সালাম পেশ করতেন। জবাবে তার মা উত্তর দেবার পর তিনি বলতেন, “মা জননী! শৈশবকালে যেমন আপনি স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে আমাকে লালন পালন করেছিলেন তেমনি যেন আল্লাহ তা'আলা আপনার উপর রহম করেন।” এবং তাঁর মা প্রত্যুত্তরে বলতেন, “স্নেহের ছেলে! এ বৃদ্ধ বয়সে তুমি আমার সাথে যে সুন্দর আচরণ করেছো এবং আরাম দিয়েছো, আল্লাহ ও যেন তোমার প্রতি সে ধরনের রহমত নাজিল করেন।”

বিখ্যাত তাবে'ঈ উয়াইস আল কুরনী(রহঃ) ছিলেন এমন একজন ব্যক্তি, স্বয়ং রাসূল সাঃ এর যুগের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও যিনি রাসূলের পবিত্র দর্শন লাভ করতে পারেন নি কেবলমাত্র বৃদ্ধা মা'কে একাকী রেখে না যাওয়ার বাসনায়৷ হজ্জ্ব আদায়ের বড় ইচ্ছে থাকার পরেও মা জীবিত থাকাকালীন তিনি হজ্জ্ব আসতে পারেন নি মায়ের দেখাশোনা করবার দায়িত্ব পালনের জন্য। আল্লাহ ও তাকে সম্মানিত করেছেন। রাসূল সাঃ সাহাবীদের বলেন, “যদি তার থেকে মাগফেরাতের দু'আ নিতে পারো, তবে অবশ্য ই নিবে। কেননা তা কবুল হবে ই।”


মা-বাবার সঙ্গে উত্তম আচরণ করলে মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের দুনিয়া এবং আখেরাতের কল্যাণ ও মর্যাদা দান করবেন। কোরআন ও হাদিসের আলোকে মা-বাবার প্রতি সন্তানের অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো হলো-

১. পিতা-মাতার সঙ্গে সর্বোত্তম ব্যবহার করা এবং তাদের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করা।

২. সুন্দর ও মার্জিত ভাষায় কথা বলা।

৩. যখন তারা আমাদের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন, তখন তাদের আরাম আয়েশের জন্য আমাদের ধনসম্পদ ব্যয় করা।

৪. তাদের সঙ্গে বিনম্রভাবে চলাফেরা করা।

৬. যে কোনো বিষয়ে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করা। ৭. তাদের সঙ্গে কর্কশ ও বিশ্রী বাক্যে কথা না বলা।

৮. পিতা-মাতার মৃত্যুর পর তাদের জন্য আল্লাহতায়ার কাছে মাগফিরাতের দোয়া করা। তাদের ঋণ পরিশোধ করে ওসীয়ত সমূহ পূর্ণ করা।


আনাস বিন মালিক(রাঃ) বর্ণনা করেছেন-
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

“যদি কোন ব্যক্তি নিজের হায়াত দীর্ঘায়ন এবং প্রশস্ত রিজিক কামনা করে, তাহলে সে যেনো নিজের পিতা মাতার সাথে ভালো আচরণ এবং আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখে।”

বাবা মা যখন নিজেদের শক্তি হারিয়ে ফেলেন, ক্রমশঃ সন্তানের প্রতি নির্ভরশীল হতে শুরু করেন, তাদের প্রতি সন্তানের দায়িত্ব কর্তব্য পালনের সর্বাধিক উপযুক্ত সময় সেটি ই। কেননা, ঠিক আপনি ই একসময় বাবা মায়ের প্রতি পরিপূর্ণ নির্ভরশীল ছিলেন। হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিতেও মা ক্লান্ত হতেন না। তেমনি, তারা যখন একই কথা, একই প্রশ্ন বারংবার করবেন, তিরিক্ষি মেজাজের বশবর্তী হয়ে যদি বকা ও দেন, তবু তা হাসিমুখে সহ্য করতে হবে। তাদের সেবায় সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে। কেননা, মাতা পিতার সাথে সদাচরণ, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা অপেক্ষাও আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয়। এটিই ইসলামের বিধান, যা সবাইকে ন্যায্য অধিকার পাইয়ে দেয়।

যেই বাবা মা আপনার তুচ্ছ বায়না গুলোকে পূরণ করবার জন্য নিজের কোন একটি প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হতে বিরত থাকেন, বড় হয়ে তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, টুকিটাকি শখের খাবার ক্রয় করতে আমাদের বড্ড অনীহা জাগে। বিরক্তি প্রকাশ করি, কতো কথা ই না বলি। অথচ আল্লাহ সুস্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন,

یَسْــٴَـلُوْنَكَ مَا ذَا یُنْفِقُوْنَؕ قُلْ مَاۤ اَنْفَقْتُمْ مِّنْ خَیْرٍ فَلِلْوَالِدَیْنِ
“লোকজন আপনাকে জিজ্ঞেস করে থাকে, আমরা কি ব্যয় করবো। জবাবে বলুন, যে মালই তোমরা ব্যয় করো, তার প্রথম হক্বদার হলো মাতা-পিতা।”
( সূরা বাক্বারাহ, আয়াতঃ২১৫ )


তবে হ্যা, তাদের প্রতি আমাদের এতো সব আনুগত্য ও গুরুত্বপূর্ণ হক্বসমূহের দাবী হচ্ছে এই যে, আপনার নিজের ভালোবাসা, ইচ্ছে-অনিচ্ছে, ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ ত্যাগ করে বাবা মায়ের সন্তুষ্টির মাঝেই পরম আত্মতুষ্টি অনুভব করবেন। কিন্তু যদি পিতামাতা কখনো আল্লাহর অথবা আল্লাহর কোন বিধানের অবাধ্যতা করবার জন্য অথবা অন্য কোন বান্দার হক্ব লংঘনের জন্য আদেশ দেন, যেমন হতে পারে, অন্যায়ভাবে ছেলেকে স্ত্রীকে তালাক দেবার আদেশ দেয়া, অথবা মেয়েকে নিজেদের জেদের বশে মেয়ে জামাইর সাথে বিচ্ছেদ করতে বলা- প্রভৃতি কাজ সমূহ কখনোই করা যাবে না। কেননা, আল্লাহর বিধান, বিধিনিষেধ কে ই সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিতে হবে।

যখন এ দুনিয়া ছেড়ে মা-বাবা চলে যাবেন, তখনো কিন্তু এ দায়িত্ব কর্তব্য আদায় করবার মাধ্যমে যে বরকত প্রাপ্তি, তা থেকে আল্লাহ আমাদের বঞ্চিত করবেন না। এ সময়ের করণীয় নিয়ে রাসূল(সাঃ) চারটি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন৷

(১) মাতা পিতার জন্য ইস্তেগফার এবং দু'আ পাঠ।
~ আবু হুরায়রা(রাঃ), রাসূল(সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
“যখন কোন ব্যক্তি মারা যায়, তখন তার আমলের সব রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ে। শুধু তিনটি বিষয় এমন যা তার মরণের পরেও জারি থাকে। প্রথম, সাদাকায়ে জারিয়া। দ্বিতীয়, সেই বিস্তৃত ইলম যা থেকে মানুষ উপকৃত হয়। এবং সেই সৎ ছেলেমেয়ে যারা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে।”
( মুসলিম শরীফ, মিশকাত, কিতাবুল ইলম)

(২) তাদের কৃত প্রতিশ্রুতিসমূহ এবং বৈধ ওসিয়ত পূরণ।
(৩) পিতামাতার বন্ধু-বান্ধবদের ইজ্জত এবং যত্নআত্তি।
~ এ ব্যাপারে রাসূল(সাঃ) বলেন, পিতার বন্ধুদের সাথে ভালো ব্যবহার করা সবচেয়ে উত্তম।

(৪) তাঁদের আত্মীয়দের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এবং সদাচরণ করা।

মাতা পিতার অবাধ্যতা নিঃসন্দেহে ঘৃণ্য কাজ। অথচ তা আমাদের তরুণ প্রজন্ম অবলীলায় করে যাচ্ছে। আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) বলেন,

রাসূল সাঃ এরশাদ করেছেন,
“ আল্লাহ যে গুনাহের শাস্তি চান তা কিয়ামতের দিন পর্যন্ত বিলম্বিত করেন। কিন্তু পিতা মাতার অবাধ্যতার শাস্তি মরণের পূর্বে জীবিতাবস্থায় তড়িঘড়ি করে প্রদান করেন। ”

বাবা মা ও কিন্তু পাথর সৃষ্ট কেউ নন, যে তারা সব কষ্ট মুখ বুজে সয়ে নেবেন। হয়তো মুখ ফুটে বদ দুয়া না করলেও অন্তরে ব্যাথা তারা ঠিক ই অনুভব করেন। তাদের একটি দীর্ঘশ্বাস ও যদি আল্লাহ কবুল করে ফেলেন, তবে তা সন্তানের দুনিয়া আখিরাতকে ধ্বংস করে ফেলার জন্য যথেষ্ট!

আল্লাহ তা'আলা যাকে মাতাপিতার সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন তাকে আসলে জান্নাতের পথে চলারই সুযোগ দিয়েছেন। আমাদের উচিত হবে, আল্লাহ প্রদত্ত এই নেয়ামতের যথাযথ শুকরিয়া আদায় করে বাবা মায়ের সব কথা মেনে চলা এবং তাদের বিন্দুমাত্র কষ্টের ও কারণ না হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা। মাতা পিতার আনুগত্য করলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের প্রতি রাজি খুশি থাকবেন। এবং ফলস্বরূপ তিনি আমাদের পার্থিব জীবনে বারাক্বাহ এবং রুজি রোজগারের পথ সুগম করে দিবেন। আখিরাতে দান করবেন প্রতিশ্রুত জান্নাত, যা চিরস্থায়ী শান্তির আবাস। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমীন।


। মাতাপিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ।
-সাবিহা সাবা
২৫ মে' ২০২১

পঠিত : ৯৭৮ বার

মন্তব্য: ০