Alapon

ক্রাশ !



আমাদের বর্তমান সমাজে বিশেষ করে যুবক যুবতীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে পরিচিত এবং বহুল ব্যবহ্নত একটি শব্দ হলো ক্রাশ।এমন শব্দ ব্যবহারে তাদের মধ্যে আলাদা এক ভালো লাগা কাজ করে যেন তারা এ থেকে অন্য রকম এক শান্তি খুঁজে পায়।মূলত,ক্রাশ বলতে মুহূর্তের ভালো লাগাকে বোঝায়।অন্যভাবে, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি এক নজরে তাকানোতে মুহূর্তের যে ভালো লাগা কাজ করে সেটাকেই ক্রাশ বলে।

মূল আলোচনায় যাওয়ার পূর্বে,কোরআন- হাদীসের আলোকে কিছু বিষয় জেনে নেই।আল্লাহ তা'য়ালা পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট করেই বলেছেন যে,হে নবী আপনি মুমিনদেরকে বলুন,তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে।এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে।নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত রয়েছেন। [১]

একইভাবে ঠিক পরের আয়াতের প্রথমাংশে বলেছেন, ঈমানদার নারীদেরকে বলুন,তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে।তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে। [২]

অপরদিকে,রাসূল (সাঃ) বলেছেন,মহান আল্লাহ তা‘য়ালা আদম সন্তানের জন্য তার ব্যভিচারের অংশ লিখে রেখেছেন,সে তা নিশ্চয়ই করবে।দুই চোখের যিনা হলো তাকানো,কানের যিনা যৌন উদ্দীপ্ত কথা শোনা,হাতের যিনা (বেগানা নারীকে খারাপ উদ্দেশ্য) স্পর্শ করা,জিহবার যিনা কথা বলা (যৌন উদ্দীপ্ত কথা বলা)।আর পায়ের যিনা যিনার উদ্দেশ্য অগ্রসর হওয়া এবং মনের যিনা হলো চাওয়া ও প্রত্যাশা করা(বাজে চিন্তা করা)।আর গুপ্তাঙ্গ তা সত্য বা মিথ্যায় প্রতিপন্ন করে। [৩]

যেহেতু পর পুরুষ বা পর নারীর দিকে তাকানো এবং তাতে ভালো লাগা অনুভব করাতে চোখের যিনা হয় আর ঐরকম কারো দিকে তাকানোতেই মূলত ক্রাশের সফলতা নিহিত রয়েছে সেহেতু ক্রাশের সহজ অর্থই হচ্ছে চোখের যিনা।ফলে ক্রাশ শব্দটিকে চোখের যিনার একটি পরিবর্তিত এবং আধুনিক রূপ বলা চলে।এখন একটু চিন্তা করুন তো,আমরা যারা এমন বিষয়ের প্রতি একটুও লজ্জা বোধ না করে, গোনাহ মনে না করে অনায়াসে বলে বেড়াই যে,অমুক-তমুক হচ্ছে আমার ক্রাশ।তার মানে কি এর অর্থ এমন দাঁড়ালো না যে,অমুক আমার চোখের যিনায় পরিণত হয়েছেন?নাউজুবিল্লাহ!কি সাংঘাতিক কথা!তা কতই-না জঘন্য বিষয়।

আবার,যিনা সম্পর্কে মহান আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন,‘তোমরা যিনার ধারে কাছেও যেয়ো না।কেননা তা অত্যন্ত অশ্লীল এবং খারাপ কাজ।’ [৪]

আল্লাহ তা'য়ালা যেখানে আমাদেরকে যিনার ধারে কাছেও যেতে নিষেধ করেছেন সেখানে আমরা ক্রাশ খেয়ে আরও যিনার কাছাকাছি চলে যাই। আর যিনা মূলত শুরুই হয় চোখ দ্বারা তথা কারো প্রতি ক্রাশ খাওয়ার মাধ্যমে।অর্থাৎ বেগানা পুরুষ বা নারীর দিকে চোখ তুলে তাকানোর মাধ্যমেই গুনাহের সূচনা হয় এবং ব্যভিচারের মাধ্যমে শেষ হয়।

ক্রাশ হচ্ছে যিনার প্রথম দরজা।এই দরজাকে একবার ব্যবহার করে ফেললে সহজে আর বেরিয়ে আসা যায় না।এই দরজাই যিনার চূড়ান্ত দরজায় নিয়ে পৌঁছে দেয়।ফলে ক্রাশ নামক যিনা থেকে বেঁচে থাকতে হলে চক্ষু হেফাজতের কোনোই বিকল্প নেই যা মহান আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়েছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে যে,এমন সতর্কবার্তাও আজ আমাদের নিকট বড় উপেক্ষিত!

এবার আরেকটি বিষয়ে আসা যাক।আমরা যখন সোস্যাল মিডিয়ায় কিংবা কাউকে বলে বেড়াই যে, অমুক-তমুক আমার ক্রাশ তখন কিন্তু দুইটি-দুইটি গোনাহ হয়ে যাচ্ছে।প্রথমত,পর পুরুষ বা নারীর দিকে চোখ দিয়ে তাকানোর যিনা তথা ক্রাশ খাওয়ার মতো কবিরা গোনাহ হচ্ছে। দ্বিতীয়ত,যখনই আমরা তা মানুষদের সামনে প্রচার করে কিংবা বলে বেড়াচ্ছি তখনই কিন্তু আমাদের সেই গোনাহ প্রকাশ করা হয়ে যাচ্ছে। আর আমরা কি জানি,গোনাহ প্রকাশ করা কতটা ভয়নাক কাজ?

রাসূল (সাঃ) বলেছেন যে,আমার সকল উম্মাতকে মাফ করা হবে,তবে পাপ প্রকাশকারী ব্যতীত।আর নিশ্চয় এ বড়ই অন্যায় যে,কোন লোক রাতের বেলা অপরাধ করলো যা আল্লাহ গোপন রাখলেন।কিন্তু সে সকাল হলে বলে বেড়াতে লাগলো,হে অমুক!আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি।অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটালো যে,আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন।আর সে ভোরে উঠে তার উপর আল্লাহর দেয়া আবরণ খুলে ফেলল। [৫]

এবার একটু ভাবুন তো,আমরা যারা গর্বের সাথে একেবারে বুক ফুলিয়ে বলে বেড়াই যে,অমুক তমুক হচ্ছে আমার ক্রাশ তাতে কী মারাত্মক ভুলটাই না হয়ে যাচ্ছে।এগুলো কি এবার আমাদের উপলব্ধিতে আসছে?তার চেয়ে হতভাগা আর কে হতে পারে যে এসব বিষয় জেনেশুনেও উপলব্ধি না করে,এগুলো থেকে ফিরে না এসে বরং এসবের বৈধতার পক্ষে মনগড়া কোনো বিষয় দাঁড় করায় কিংবা এক গোনাহকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে অন্য কোনো গোনাহের বিষয় সামনে নিয়ে আসে?

দুঃখজনক হলেও সত্য,আজকের আধুনিক সমাজে আমরা চোখের যিনাকে অনবরত ক্রাশ বলে চালিয়ে দিচ্ছি।বন্ধুদের আড্ডায় এমন ঘৃণিত বিষয় নিয়ে আলোচনা না করলে যেমন আলোচনাই জমে না।নিলর্জ্জের মতো যখন তখন মুখে আনতেও দ্বিধা বোধ করি না।এছাড়া,এমন শব্দের ব্যবহার কেউ-বা বুঝে করছে আবার কেউ-বা না বুঝেই করছে।আমরা যারা বুঝে শুনেও এসব করে যাচ্ছি তা নিঃসন্দেহে আমাদের অরুচিকর মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ এবং নির্লজ্জ হয়ে যাওয়ার একটি কঠিন বার্তা বটে।

আবার,অনেকের মুখে তো এরকমও বলতে শুনা যায় যে,ঐ দেখ,দেখ!আমার ক্র্যাশ যাচ্ছে অথবা ছবি দেখিয়ে বলা হয়,ঐ দেখ!আমার ক্র্যাশের ছবি।আসলে ঐসব যারা করেন তাদের যতোটানা দোষ তার চেয়ে কোনো অংশেই তাদের গার্ডিয়ানদের কম নয়।কেননা তারাই তো তাদেরকে নৈতিকতা,শীলনতা শিখাচ্ছেন না,তাদেরকে ছোটবেলা থেকে ভালো পরিবেশে রাখছেন না,ইসলামিক মূল্যবোধ শিখানোর প্রতি সচেতন হচ্ছেন না।ফলে তারা নাটক মুভি,গান-বাজনা, বাজে ফ্রেন্ড সার্কেল ইত্যাদি মাধ্যম থেকে এসব অশ্লীল বিষয় শিখে নিচ্ছে এবং সমাজের অন্যদেরকেও মারাত্নকভাবে প্রভাবিত করে চলছে।আর তাতে পরবর্তী প্রজন্মরাও হুমকির মুখে পড়বে।কেননা তারা তো এদেরকে দেখে দেখেই শিখবে।তাই না?

অন্যদিকে,আরও আশ্চর্যের একটি বিষয় হচ্ছে, কারো সামনে যদি বলা হয় যে,তুমি আমার ক্রাশ কিংবা crush and confessions নামক অশ্লীল ও বেহায়ামি গ্রুপগুলোতে তার রূপ নিয়ে,গুণ নিয়ে মেতে থাকা হয় তখন সে আরও মিটমিট করে হাসে,নিজের মধ্যে গর্ববোধ চলে আসে,সবার সামনে নিজের সাজগোজ করে চলাটাকে সার্থক মনে করে।একবার ভাবলো না যে,ওরা আমাকে এসব কী বলছে?ওদের কাছ থেকে কি আমার রূপের কিংবা গুণের প্রশংসা পাওয়ার কথা ছিল?একবারও চিন্তা করা হল না যে,ওদের ঐসব মন্তব্যের আড়ালে লুকিয়ে থাকা আসল বিষয়টি বা রহস্যটি আসলে কী?

সত্যি কথা বলতে কি!এমন কথা শুনলে কোনো আত্নমর্যাদাবান লোকের কান্না চলে আসার কথা।
হ্যাঁ,কান্না চলে আসার কথা।কারণ সরাসরি যিনা না করেও সে যে অন্যের যিনার স্বীকার হয়ে গেছে,অন্য যে তার দিকে কামনার দৃষ্টিতে তাকিয়ে ফেলেছে।আফসোস!আজ এসব বোধটুকুই তো আমাদের মধ্যে নেই।যেখানে এসব বিষয় আত্মসম্মানবোধে চরমভাবে আঘাত হানার কথা,অপমানবোধ হওয়ার কথা সেখানে কিভাবে একজন মানুষ কারো মুখ থেকে এসব শুনে মনে মনে আনন্দ অনুভব করতে পারে,মিটমিট করে হাসতে পারে?এরপরও কি আমাদের আত্মসম্মানবোধ আছে এমনটা মনে করার কোনো অবকাশ থাকতে পারে?

দেখুন,যেখানে যিনা শব্দ উচ্চারণ করলে আমাদের রুচিবোধে লাগে সেখানে ক্রাশ বলতে আমাদের রুচিবোধে লাগে না।আর এখানেই মূলত শয়তানের কারসাজি।শয়তান যিনা শব্দকে ক্রাশে রূপান্তরিত করে দিয়ে আমাদেরকে বোকা বানিয়ে সে মূলত যিনাকেই ঢাকতে চেয়েছে যেন এসব ব্যবহারে আমাদের মনে যিনার বিষয় উপলব্ধি না হয়।আর এভাবেই সে তার কাজ ঠিকই চালিয়ে নিচ্ছে।কাজের কোনো পরিবর্তন করে নি।কেবল শব্দকে একটু ঘুরিয়ে দিয়েছে।আর আমরা তার বোকার পাত্র হয়ে আছি।

শয়তান মানুষকে পথভ্রষ্ট করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে।আর তার কৌশলের অংশ হিসেবে বর্তমান সময়ে এই ক্রাশ শব্দটিকে যুবক যুবতীদের নিকট চোখের যিনার আরেকটি আধুনিক নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে যেন ঐ শব্দের সাথে যিনা শব্দটি আর সংযুক্ত না থাকে।কেননা যিনা শব্দ শুনলেই তো মানুষের কাছে একটু খারাপ শুনায়।তাই সে এমন একটি শব্দ ইয়াং জেনারেশনের নিকট সহজলভ্য করে দিলো যাতে তারা যিনা মনে না করে অনায়েসেই এই শব্দটি যখন তখন মুখে নিতে পারে।আর এভাবেই যুবক যুবতীদেরকে প্রতিনিয়তই পাপের সাগরে ডুবিয়ে রেখে তার নিজের চূড়ান্ত পরিণতির দিকে তাদেরকেও সঙ্গী বানিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু যারা আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করেছে, আল্লাহকে আপন করে নিয়েছে তারা শয়তানের এ ধরণের অপকৌশলকে বুঝতে পেরে শয়তানের শয়তানীর স্বীকার হওয়া থেকে নিজেদেরকে হেফাজতের মাধ্যমে শয়তামের গালে একটি চড় খসিয়ে দেয়।অর্থাৎ নিজেরাই তখন শয়তানের ওপর ডমিনেট করে।

পক্ষান্তরে,যারা এখনো আল্লাহ বিমুখ হয়ে আছে তারা তো ক্রমেই শয়তানের গোলামী করেই যাচ্ছে।তাদের ওপর শয়তানের ডমিনেশন এতোই প্রকট যে, তারা গোনাহকে আর গোনাহ পর্যন্ত মনে করছে না।কেমন জানি অন্তর মৃতের তালিকায় চলে গেছে।ফলে গোনাহের প্রতি তাদের আর অনুতপ্ত হওয়া হয় না।এমন মানুষেরা বুঝি আর ফিরবেন না?এমন মানুষদেরকে বুঝি মৃত্যু প্রত্যাবর্তন করার সুযোগ দিবে?

খুবই দুঃখের বিষয় হচ্ছে,আজকের সিংহভাগ পরিবারগুলো সন্তানদেরকে এতোটাই স্বাধীন করে রেখেছেন যেন সন্তানদের প্রতি তাদের কোনো দায় নেই।সন্তানেরা কী করে বেড়াচ্ছে,কাদের সাথে উঠা-বসা তথা মিশছে ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রাখা এবং নিজেদেরকে উদাহরণ হিসেবে সামনে রেখে তাদেরকে কী করা উচিত আর কী করা অনুচিত তথা আচরণ শিখানো,নৈতিক শিক্ষা দেওয়া এগুলো যেন পরিবারের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে না।তাই তো সন্তানেরা তাদের কাজকর্মে এতোটা বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারছে, ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়ে যা তা করতে পারছে।আর সন্তানদের প্রতি উদাসীনতাই একসময় মা বাবাকে বড় কঠিনভাবে মাশুল দিতে হয়,পস্তাতে হয়।আল্লাহও এসব ব্যাপারে ছাড় দিবেন না।ফলে অন্তত আল্লাহর নিকট জবাবদিহিতার বিবেচনায় আমাদের মা-বাবারা কি তাদের সন্তানদের প্রতি এবার একটু সচেতনতা দেখাবেন?

আজকের যুবক যুবতীরা তথা ইয়াং জেনারেশনরা যেভাবে এসব অশ্লীল শব্দ ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে তাতে এখনি যদি এদের লাগাম টেনে না ধরা হয় তবে আমাদের চূড়ান্ত অধঃপতন আর বেশি বাকি নেই।কেননা অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করতে করতে একসময় অশ্লীলতাকে নিজের সঙ্গী বানিয়ে নিবে।তখন সমাজেও আর শ্লীলতার জায়গা হবে না।

কাজেই আমাদের নিজেদের পাশাপাশি আমাদের পরিবারগুলোকেও এসব ব্যাপারে সচেতন হতে হবে,তৎপর থাকতে হবে।আর সচেতনতার অন্যতম অংশ হিসেবে আমরা যেন নিজেদের চক্ষু হেফজত করে চলি এবং এই জাতীয় শব্দ আর ভুলেও মুখে এনে যেন নির্লজ্জতার পরিচয় না দেই।নিজের লজ্জাই যদি না থাকলো তবে আমি কেমন মানুষ,কেমন মুসলিম?

এছাড়া,আমরা এখন থেকেই মহান আল্লাহ তা'য়ালার ভয় অন্তরে লালন করে এই ক্রাশ নামক যিনা এবং সকল ধরণের যিনা তথা কবিরা গোনাহ থেকে নিজেদেরকে পুরোপুরিই বিরত রেখে জান্নাতে যাওয়ার পথ অনুসরণ করতে থাকি।কখন মৃত্যু হবে সেটা তো বলা যায় না।ফলে নিজেকে গোনাহ থেকে বাঁচিয়ে রেখে এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ায় বিচরণ করাই প্রকৃত জ্ঞানীর কাজ।

ফুটনোটঃ
[১] সূরা আন নূর,আয়াত নং : ৩০
[২] সূরা আন নূর,আয়াত নং : ৩১
[৩] সহীহ বুখারী ৬২৪৩, মুসলিম ২৬৫৭, আবূ দাঊদ ২১৫২, আহমাদ ৭৭১৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৪২০, ইরওয়া ১৭৮৭, সহীহ আল জামি‘ ১৭৯৭
[৪] বনী ইসরাঈল,আয়াত নং: ৩২
[৫] সহীহুল বুখারী,হাদীস নং : ৬০৬৯; মুসলিম,হাদীস নং : ২৯৯০

~ Rakib Ali

পঠিত : ১২০১ বার

মন্তব্য: ০