Alapon

মুসলিম বিশ্বের মিসাইল সক্ষমতা কেমন?




একসময় তির তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধ হয়েছে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে যুদ্ধাস্ত্রের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আধুনিক যুগে মিসাইল ছাড়া যুদ্ধ কল্পনাও করা সম্ভব না।
এই মিসাইলের মধ্যেও বিভিন্ন ধরন রয়েছে, ল্যান্ড টু ল্যান্ড এটাক মিসাইল, এয়ার লঞ্চ মিসাইল, শিপ বেজড মিসাইল। এসব মিসাইলের মধ্যেও বিভিন্ন পার্থক্য রয়েছে।
আজকের পর্বে ল্যান্ড টু ল্যান্ড এটাক মিসাইল মিসাইল নিয়ে কথা বলবো।

মুসলিম দেশ সমহের মধ্যে পাকিস্তান ইরান এবং তুরস্ক ভূমি ভিত্তিক ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করে। ইরাক সহ কয়েকটি দেশের মিসাইল প্রজেক্ট আপাতোত বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও সৌদি চীন থেকে বড় সংখ্যায় ব্যালিস্টিক মিসাইল ক্রয় করেছে।

পাকিস্তান: ভূমি ভিত্তিক ব্যালিস্টিক মিসাইলের দিক থেকে পাকিস্তান মুসলিম বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে। তাদের বহরে রয়েছে, হাতিফ, নাসের, গাজনভি এবং শাহিন মিসাইল। ভ্যারিয়েন্ট ভেদে রেঞ্জ ৭০ কি:মি: থেকে শুরু করে ২৭০০ কি:মি: পর্যন্ত। তবে বিভিন্ন সোর্স থেকে জানা যায় শাহিন৩ মিসাইলের রেঞ্জ ৪৫০০ কি:মি: থেকেও বেশি।
এবং এই মিসাইল বহরের বেশিরভাগই পারমানবিক হামলার জন্য উপযোগী।

ইরান: ভূমি ভিত্তিক ব্যালিস্টিক মিসাইল সক্ষমতায় পাকিস্তানের পরের অবস্থানই ইরানের। তাদের মিসাইল বহরে জিলজাল, নাজা, ফাতেহ, রাদ, ইমদাদ, আশুরা, শাহাব মিসাইল রয়েছে। ভ্যারিয়েন্ট ভেদে রেঞ্জ ১০০ কি:মি: থেকে ২০০০ কি:মি: পর্যন্ত। কিছু সোর্স থেকে জানাযায় ২৫০০ কি:মি: পর্যন্ত ইরানি মিসাইলের অপারেশনাল রেঞ্জ রয়েছে।

তুরস্ক: মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক শক্তির দেশটি ভূমি ভিত্তিক ব্যালিস্টিক মিসাইলে পাকিস্তান এবং ইরান থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। তাদের মিসাইল বহরে রয়েছে, কাসিরগা, ইলদিরিম এবং বোরা মিসাইল। ভ্যারিয়েন্ট ভেদে রেঞ্জ ১০০ কি:মি: থেকে ৯০০ কি:মি: পর্যন্ত।
তবে তাদের ইলদিরিম-৪ ব্যালিস্টিক মিসাইল ডেভেলপমেন্ট স্টেজে রয়েছে, যার অপারেশনাল রেঞ্জ ২৫০০কি:মি:। মিসাইল টি ২০১৪ সালে টেষ্ট করার কথা ছিলো। তবে কোন এক অজানা কারনে তুরস্ক এই মিসাইলের সম্পূন্য তথ্য গোপন করে ফেলেছে।

মুসলিম বিশ্বের মিসাইল সক্ষমতা কেমন?

একসময় তির তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধ হয়েছে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে যুদ্ধাস্ত্রের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আধুনিক যুগে মিসাইল ছাড়া যুদ্ধ কল্পনাও করা সম্ভব না।
এই মিসাইলের মধ্যেও বিভিন্ন ধরন রয়েছে, ল্যান্ড টু ল্যান্ড এটাক মিসাইল, এয়ার লঞ্চ মিসাইল, শিপ বেজড মিসাইল। এসব মিসাইলের মধ্যেও বিভিন্ন পার্থক্য রয়েছে।
আজকের পর্বে এয়ার লঞ্চ ক্রুজ মিসাইল মিসাইল নিয়ে কথা বলবো।


মুসলিম দেশ সমহের মধ্যে তুরস্ক, পাকিস্তান এবং কিছু ক্ষেত্রে ইরান এধরনের মিসাইল তৈরি করেছে। এছাড়াও সৌদি, আমিরাত, আজারবাইজান সহ বেশ কিছু দেশ ইউরোপ, আমেরিকা ও তুর্কির এয়ার লঞ্চ ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করে।

তুরস্ক: এয়ার লঞ্চ ক্রজ মিসাইল প্রযুক্তিতে তুরস্ক সবচেয়ে এগিয়ে। তাদের তৈরি SOM ক্রুজ মিসাইল কে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রুজ মিসাইল হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও
তাদের রয়েছে গেম চেঞ্জার ম্যাম মিসাইল। এটি সিরিয়া, লিবিয়া, আজারবাইজান আরমেনিয়া যুদ্ধের গতিপথ বদলে দিয়েছে। এছাড়াও cirit লেজার গাইডেড মিসাইল, Umtas এয়ার লঞ্চ ডেডিকেটেড এন্টি ট্যাংক মিসাইল এবং hassas গাইডেড বোমা রয়েছে।

পাকিস্তান: এয়ার লঞ্চ মিসাইল প্রযুক্তিতে তুরস্কের পরের অবস্থানে আছে মুসলিম বিশ্বের পারমানবিক ক্ষমতাধর দেশটি। তাদের রয়েছে এয়ার লঞ্চ Raad মিসাইল। মিসাইল টি পরমানু বোমা হামলা করতে সক্ষম। এছাড়াও তাদের রয়েছে Barq লেজার গাইডেড মিসাইল এবং takbir গাইডেড বোমা রয়েছে।

ইরান: ইরানের শক্তিশালী এয়ার প্লাটফর্ম না থাকলেও তারা এয়ার লঞ্চ মিসাইল ডেভলপ করেছে। তাদের এয়ার লঞ্চ Ghased বোমা/ রকেট রয়েছে। এছাড়াও zoobin ও bina মিসাইল রয়েছে। মিসাইল গুলো বিপ্লবের পূর্বে সংগ্রহ করা আমেরিকান মিসাইলের ইরানি মডিফাইড। এছাড়াও sadid এন্টি ট্যাংক মিসাইল রয়েছে।

এছাড়াও সৌদি আমিরাত সহ বেশ কিছু মুসলিম দেশ বিদেশ নির্ভর এয়ার লঞ্চ মিসাইল রিজার্ভ গড়ে তুলেছে। তবে বিভিন্ন ক্রাইসিসের সময় বিদেশ নির্ভর সাপ্লাইচেইনে অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে নিজেদের ডেভলপড মিসাইল সবচেয়ে ইফেক্টিভ হয়।

পঠিত : ৪৮৯ বার

মন্তব্য: ০