Alapon

তুরস্কের থেকে আরও ১০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ!



তুরস্কের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সামরিক সরঞ্জাম নির্মাতা কোম্পানি রকেটসান থেকে লেজার গাইডেন্স মিসাইল কিট কেনার চুক্তি করলো বাংলাদেশ!

গত ২৯ জুন তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন তুরস্কের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট ইসমাইল দেমির, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ুদ মান্নান এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাশেদ ইকবাল।

তুরস্ক ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট ইসমাইল দেমির চুক্তি সইয়ের পর এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘রকেটসান থেকে বিভিন্ন সরঞ্জাম রপ্তানির জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।’

দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অস্ত্র কেনার বিষয়টি আমাকে নিশ্চিত করেছেন।

যদিও অস্ত্রের ধরণ, চুক্তির পরিমাণ এবং অস্ত্র হস্তান্তরের মেয়াদ সম্পর্কে কোন পক্ষই মুখ খুলতে নারাজ।

তবে সংশ্লিষ্ট অন্য একটি সূত্র থেকে জানতে পারলাম, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ যুদ্ধ বিমানে ব্যাবহার করার জন্য প্রায় ৫০ টি LASER GUIDANCE KIT এবং বোমা কেনার চুক্তি হয়েছে।

চীন থেকে কেনা এই যুদ্ধ বিমানগুলোতে কেন তুরস্কের তৈরি লেজার গাইডেন্স কিট এবং বোমা ব্যবহার করতে চাইছে বাংলাদেশ, জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা জানান, তুরস্কের এই অস্ত্র অনেক বেশি এক্যুরেট এবং ন্যাটো মান সম্মত। তিনি বলেন এই অস্ত্র বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আরেকটি সূত্র থেকে জানতে পারি, এই চুক্তির পরিমাণ মোট ১০ মিলিয়ন ডলার। গুনগত মানের পাশাপাশি কম দামের কারণেই বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে অস্ত্র কিনতে আগ্রহী।

এছাড়াও ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যে যৌথভাবে অস্ত্র উৎপাদনের বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে জানান অন্য এক কর্মকর্তা। তার মতে তুরস্ক রকেটসান থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশে বন্দুকের গুলি, গোলাবারুদ, বোমা এবং অন্যান্য ছোট ছোট অস্ত্র এবং যন্ত্রাংশ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে সরকার।

এ পদক্ষেপ গুলো নেয়া হচ্ছে বাংলাদেশের ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ পূরণের অংশ হিসেবে।

রকেটসান স্থল, সুমদ্র ও আকাশে ব্যবহারযোগ্য ন্যাটোর মানদণ্ড অনুযায়ী অস্ত্র তৈরি করে থাকে। বিশ্বের ডিফেন্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালে রকেটসানের অবস্থান ছিল ৮৯তম।

তুরস্কের এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ এবছর তুরস্ক থেকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি কারক প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। এবছর তুরস্ক থেকে বাংলাদেশে আমদানিকৃত অস্ত্রের পরিমাণ প্রায় ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট-সিপরি’র তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ইতিমধ্যে তুরস্ক থেকে কোবরা এপিভি গাড়ি ও শর্ট-রেঞ্জ মিসাইল কিনেছে।

পঠিত : ৪৩৩ বার

মন্তব্য: ০