Alapon

আল্লাহ চান তার প্রত্যেক মুমিন বান্দাই জান্নাতে প্রবেশ করুক।



কিয়ামতের দিন মুমিনরা একটি ব্রিজে থাকবে। এটা জান্নাতে প্রবেশ করার আগের ব্রিজ। মুমিনদের মধ্যে পারস্পরিক যেসব দ্বন্দ্ব আছে, আল্লাহ সেখানে সেগুলো মিটিয়ে দিবেন। কারো যদি কারো কাছে পাওনা থাকে, তাহলে সেখানে সেটা সে দাবী করবে।

দুজন লোকের একটি ঘটনা। একজন আল্লাহকে বলবে, “ও আল্লাহ! এই লোকটি আমার উপর যুলুম করেছে।” আল্লাহ তখন তাকে বলবেন, “তার নেক আমলগুলো তুমি নিয়ে নাও।” এভাবে প্রথম লোকটি দ্বিতীয় লোকটির নেক আমল নিয়ে নেবে।

আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন, “আরো বাকি?” সে বলবে, “হ্যাঁ।” দ্বিতীয় লোকের নেক আমল প্রথম লোকটির আমলনামায় যোগ হতেই থাকবে। তবুও প্রথম লোকটির উপর করা অন্যায়ের শোধ শেষ হবে না। এই পর্যায়ে আল্লাহ বলবেন, “তুমি এবার তোমার গুনাহগুলো তার আমলনামায় দাও।” প্রথম লোকটি দ্বিতীয় লোকটির আমলনামায় তার গুনাহগুলো দিতে থাকবে।

এক পর্যায়ে দেখা যাবে, দ্বিতীয় লোকটির আমলনামায় শুধুমাত্র গুনাহ, প্রথম লোকটির আমলনামায় শুধুমাত্র নেক আমল।

তবুও প্রথম লোকটি সন্তুষ্ট হবে না। তখন আল্লাহ বলবেন, “জান্নাতে তোমার মর্যাদা এই, আমি তোমার মর্যাদা আরো বাড়িয়ে দিলাম, তোমার এটা প্রাপ্য, তোমাকে আরো বাড়িয়ে দিলাম।” প্রথম লোকটি জিজ্ঞেস করবে, “ও আল্লাহ! আপনি আমাকে এতোকিছু কেনো দিচ্ছেন?” আল্লাহ বলবেন, “মাত্র একটি শর্তে।”
- কী শর্ত?
- তুমি তোমার ভাইকে ক্ষমা করে দাও।
প্রথম লোকটি কাঁদতে কাঁদতে বলবে, “আপনার ইজ্জতের কসম! আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম।”

হাদীসটি এখানেই শেষ নয়। প্রথম লোকটি দ্বিতীয় লোককে ক্ষমা করে দেওয়া সত্ত্বেও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না! তার আমলনামায় শুধু নেক আমল থাকা সত্ত্বেও জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি সে পাবে না। সে আল্লাহকে বলবে, “ও আল্লাহ! আমার আমলনামায় তো শুধু নেক আমল, আর আমি আমার ভাইকে তো ক্ষমা করে দিয়েছি। তবুও আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারছি না কেনো?”

আল্লাহ তখন বলবেন, “তুমি তোমার ভাইয়ের হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করো।” [মুস্তাদারাকে হাকিম: ৮৭১৮]

[শায়খ তৌফিক চৌধুরীর ‘In the Spirit of Love’ লেকচার থেকে]

পঠিত : ৩১৭ বার

মন্তব্য: ০