Alapon

মৃত্যুর সময়টা যেমনটা হতে পারে...



[১]
দুনিয়ার কোনো রাষ্ট্রপ্রধান বা সেলিব্রেটিকে যখন রিসেপশন দেওয়া হয় তখন আয়োজনের কোনো শেষ থাকে না।চারিদিকে গ্লেমার আর গ্লেমারে ভরপুর থাকে।আমরা প্রায়ই দেখতে পাই লাল গালিচা বিছিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রীবর্গ,উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এমনকি প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টসহ সবাই একত্রিত হয়ে ফোলার তোড়া হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানকে সম্মান প্রদর্শন করে থাকেন।

এছাড়া, গার্ড অব অনার তো আছেই।এ তো কেবল দুনিয়ায় সামান্য এক রিসেপশন তথা অভ্যর্থনার কথা বললাম যা আমরা অনেকেই অসামান্য চোখে দেখি, হয়তোবা আফসোসও করে বলে বসি,ইশ!আমাকে যদি কখনো এভাবে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া হতো তবে আমি কতোই-না সম্মানিত বোধ করতাম।

দুনিয়ার কারো উষ্ণ অভ্যর্থনা পাওয়া দেখে আমরা যারা এমনটা মনে করে থাকি যে,ইশ!আমার মতো হতভাগারা বুঝি এ জীবনে কখনোই এমন রিসেপশন পেতে পারবে না।নাহ,ভাই!আপনি হতাশ হবেন না।আজ আমি আপনাকে এমন এক রিসেপশনের কথা বলবো যে রিসেপশন তার চেয়েও বহুগুণে দামি এবং সম্মানজনক।এমন রিসেপশন আপনি যে কোনো দিন যে কোনো মুহূর্তেই পেয়ে যেতে পারেন।বলা যায়, এটি এক অ্যাস্টনিসিং রিসেপশন।কেবল নিজেকে সে রিসেপশনের উপযোগী করে তুলতে পারলেই হলো।আর এ এমন এক রিসেপশন যে রিসেপশনের কথা শুনলে আপনি রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে যাবেন,যে রিসেপশনের কথা শুনলে আপনার ঈমান বৃদ্ধি পাবে এবং নিজেকে সে রিসেপশনের উপযোগী করে তোলার তীব্র ইচ্ছা জাগবে।এমন রিসেপশন আপনাকে কতোটা আনন্দিত করবে,কতোটা সম্মানিত করবে তা আপনি ভাবতেই পারবেন না।

দুনিয়ার জীবনে এটি এমন এক রিসেপশন যার চেয়ে পরম সম্মানজনক রিসেপশন আর কিছুই হতে পারে না।মজার বিষয় হচ্ছে,দুনিয়ার জীবনযাত্রায় যেখানে উত্তম রিসেপশনের মানদন্ড হচ্ছে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ, শিক্ষা,ক্ষমতা,যশ-খ্যাতি ইত্যাদি সেখানে এমন রিসেপশনের ক্ষেত্রে এগুলোর কিছুর-ই প্রয়োজন নেই।এমন রিসেপশন যেমন একজন বিত্তশালী পেতে পারে তেমনি একজন হত দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষও পেতে পারে।

ভাবছেন,এটা আবার কেমন রিসেপশন?আর এ রিসেপশনের মানদণ্ডই-বা কেমন?
হ্যাঁ,বলছি।এটা এমন এক স্পেশাল রিসেপশন যে রিসেপশনের উপযোগী হতে হলে আমাদেরকে মাত্র দুটো কাজ নিশ্চিত করতে হবে।হ্যাঁ,দুটো কাজ।আর এ দুটো কাজ ধনী গরিব সবাই-ই করতে পারে।সবার সাধ্যের মধ্যেই এমন দুটো কাজ রয়েছে।জানেন,সে দুটো কাজ কী?

প্রথম কাজ হচ্ছে,এক আল্লাহকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করা তথা পরিপূর্ণ ঈমান আনা।দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে, সেই আনিত ঈমানের ওপর মৃত্যু অবধি অটল অবিচল থাকা।এগুলো তো খুব সহজ কাজ-এমনটা ভাবছেন বুঝি?ফিতনার যুগে যেখানে মানুষ শিরক কী তা ঠিকমতো বোঝেই না সেখানে আমরা এমন বিষয় যতোটা সহজ মনে করি না কেনো ততোটা কিন্ত মোটেও সহজ নয়।কিন্তু কেউ যদি আল্লাহর রহমতে এমন বিষয়কে নিজের জীবনে সহজে পরিণত করে ফেলতে পারে তবেই তো সে সত্যিকার অর্থে সফল,তবেই তো সে উত্তম রিসেপশন পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠবে।ইন শা আল্লাহ!

এবার নিশ্চয়ই ভাবছেন,রিসেপশনটা তাহলে কেমন হবে আর কারাই-বা রিসেপশন দিবেন?
এক আল্লাহকে বিশ্বাস করা এবং মৃত্যু পর্যন্ত তাতে অটল থাকা একজন ঈমানদার মানুষের দুনিয়ার জীবনের শেষ মুহুর্তে তথা মৃত্যুর মুহুর্তে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তাআলার তার কিছু স্পেশাল ফেরেশতা নাযিল করবেন।তারা এসে যা বলবে তা সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন,
এরা হচ্ছে তারা, ফেরেশতারা যাদের পবিত্র অবস্থায় মৃত্যু ঘটাবে,তারা (তাদের উদ্দেশ্য) বলবে,তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক(আসসালামু'আলাইকুম),(দুনিয়ায়) তোমরা যে আমল করতে তারই কারণে আজ তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করো। [১]

অন্যদিকে,একজন ঈমানদারের জন্য স্পেশাল ফেরেশতা নাযিল প্রসঙ্গে আল্লাহ নিজেই এভাবে বলেছেন যে, যারা বলে আল্লাহ তা'য়ালাই হচ্ছেন আমাদের মালিক,অতঃপর (এ ঈমানের ওপর) তারা অবিচল থাকে,(মৃত্যুর সময় যখন) তাদের কাছে ফেরেশতা নাযিল হবে এবং তাদের বলবে (হে আল্লাহ তা'য়ালার প্রিয় বান্দারা) তোমরা ভয় পেয়ো না, চিন্তিত হয়ো না;(উপরন্তু) তোমাদের কাছে যে জান্নাতের ওয়াদা করা হয়েছিল (আজ) তোমরা তারই সুসংবাদ গ্রহণ করো (এবং আনন্দিত হও)।আমরা (ফেরেশতারা) দুনিয়ার জীবনেও তোমাদের বন্ধু (ছিলাম) আর আখিরাতেও (আমরা তোমাদের বন্ধুই থাকবো)।সেখানে তোমাদের মন যা কিছু চাইবে তাই তোমাদের জন্য মজুদ থাকবে এবং যা কিছু তোমরা সেখানে তলব করবে তা তোমাদের সামনে (হাজির) থাকবে।পরম ক্ষমাশীল ও দয়ালু (আল্লাহ তা'য়ালা) এর পক্ষ থেকে (এ হচ্ছে তোমাদের সেদিনের) মেহমানদারী। [২]

প্রসঙ্গত,স্পেশাল ফেরেশতা বলার কারণটা বলে রাখি।আমরা জানি,স্পেশাল মানে বিশেষ কিছু।আর বিশেষ কিছু সবার জন্য হয় না।এর জন্য স্পেশাল কোনো গুণ থাকতে হয়।আর উক্ত আয়াতের শুরুতেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে,যারা আল্লাহর ওপর ঈমান আনবে এবং তাতে অবিচল থাকবে অর্থাৎ ঈমানদার হবে কেবল তাদের জন্যই মৃত্যু মুহুর্তে ওইসব বার্তা নিয়ে কিছু ফেরেশতা নাযিল হবে।যেহেতু অন্য কোনো সাধারণ মানুষের জন্য নয় শুধু ঈমানদারের জন্যই ওইসব ফেরেশতাদের নাযিল করা হবে সেহেতু ওইসব ফেরেশতারা একজন ঈমানদারের জন্য স্পেশাল ফেরেশতা তা বলাই বাহুল্য।সুবহান'আল্লাহ!

এখন একবার কল্পনা করুন তো,আপনি যদি মৃত্যু পর্যন্ত ঈমানের উপর ঠিকে থাকতে পারেন তবে আপনি যখন আপনার মৃত্যুর সময় চরম অসহায় হয়ে পড়বেন,যখন ভাববেন এই মুহূর্তে যদি আল্লাহর রহমতে কেউ আমাকে সাহায্য করতো,কেউ আমার পাশে এসে আমাকে সাহস যোগাতো,কেউ আমার সাথে উত্তম ব্যবহার করতো তবে তা আমার জন্য কতোই-না ভালো হত।

ঠিক তখন যদি ওইসব স্পেশাল ফেরেশতারা মৃত্যু পথযাত্রী অর্থাৎ আপনার মাথার কাছে এসে চমৎকার ভঙ্গিতে বলেন,হে আল্লাহর প্রিয় বান্দা,তুমি আজ কোনো ভয় করো না,কোনো চিন্তা করো না।তোমার মালিক তোমার কাছে যে জান্নাতের ওয়াদা করেছিলেন সেটির সুসংবাদ তুমি নাও এবং আনন্দিত হও।আমরা তোমার দুনিয়ার জীবনে সঙ্গী ছিলাম।আজ তোমার মৃত্যুর মুহূর্ত থেকে শুরু করে আখিরাতের জীবনেও তোমার সঙ্গী হয়ে থাকবো।সেখানে তুমি যা চাইবে তা-ই তোমার জন্য প্রস্তুত থাকবে।এই হচ্ছে তোমার দয়ালু ও পরম ক্ষমাশীল মালিকের পক্ষ থেকে তোমার জন্য মেহমানদারী।

এবার ভাবুন তো,আপনার মৃত্যুর মতো কঠিন সময়ে পরকালীন যাত্রায় এর চেয়ে উত্তম রিসেপশন আর কী হতে পারে?এর চেয়ে বড়ো সম্মান আর কী হতে পারে?

একজন ঈমানদার বান্দার মৃত্যুর মতো কঠিন সময়ে ফেরেশতাদের সঙ্গ পাওয়া,তাদের কাছ থেকে সাহস যোগানো কিছু কথা শুনা,সর্বোপরি জান্নাতের মতো পরম সুখময় স্থানের সুসংবাদ পাওয়া কতোটা সম্মানের,কতোটা আনন্দের তা কি আমরা অনুধাবন করতে পারছি?পরকালের জীবনে পা রাখার মুহুর্তে এমন অভূতপূর্ব অভ্যর্থনার চেয়ে উত্তম এবং মর্যাদাবান রিসেপশন আর কিছুই হতে পারে না।সত্যিই,এমন রিসেপশন পাওয়া অনেক বড়ো সম্মানের বিষয়,অনেক বড়ো ভাগ্যের বিষয় বটে।

যাইহোক,কেউ আমাকে রিসেপশন দিবে সেটা শুনতেই তো অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করে।আর সেটা যদি হয় আল্লাহর আদেশে স্বয়ং ফেরেশতাদের রিসেপশন তবে সে ভালো লাগার আর অন্ত থাকে না।সে এক চমৎকার ভালো লাগা, সে এক অভূতপূর্ব অনুভূতি!যাদেরকে জীবনে একবারও দেখা হয় নাই সেই তারাই কিনা আমাকে রিসেপশন দিবেন।ভাবতেই তো অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করে।সুবহান'আল্লাহ!

এতোক্ষণ তো আমরা অসাধারণ এক রিসিপশনের কথা শুনলাম।এখন আমরা কি সে রিসিপশন পাওয়ার জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলার ব্যাপারে তৎপর হবো নাকি নিশ্চিন্তমনে যেমন চলছি সেভাবেই চলতে থাকবো?

জানেনই তো,সামান্য এই দুনিয়াই যদি আপনি ভালো রিসেপশন পেতে চান তবে তার আগে নিজেকে সেটার যোগ্য করে তুলতে হবে।এমনি এমনি কেউ ভালো রিসেপশন পায় না।যেভাবেই হোক তাকে আগে যোগ্যতা অর্জন করতে হয়।তদ্রুপভাবে,মৃত্যুর রিসেপশনের জন্যও নিজেকে আগে তৈরী করে নিতে হবে।আর এ তৈরির মূল ভিত্তি হচ্ছে ঈমান।ঈমানের বিশুদ্ধতা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারলেই উত্তম রিসেপশন পাওয়া সম্ভব।অন্যথায়,ভয়াবহ আজাবই হবে রিসেপশনের কনক্লুশন।

সেজন্যই বলি দুনিয়ায় ভুঁড়ি ভুঁড়ি রিসেপশন পেয়ে কী লাভ হবে যদি আমি দুনিয়ার জীবনের শেষ সময়ে এবং পরকালীন জীবনের শুরুর সময়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সম্মানজনক কোনো রিসেপশন না পাই।তার মতো বড়ো হতভাগা আর কে হতে পারে যে দুনিয়ার জীবনে রিসেপশনের পর রিসেপশন পেতেই থাকলো কিন্তু মৃত্যুর সময়ে ফেরেশতাদের নিকট চরম বে-ইজ্জত হয়ে অবর্ণনীয় কষ্টের স্বীকার হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিলো এবং জাহান্নামের মতো অতীব ভয়ঙ্কর স্থানের বার্তা পেয়ে পরকালীন যাত্রা শুরু করলো?

[২]
এবার আরেকটা বিষয় বলে শেষ করছি। ঈমানদারের জন্য রিসেপশন ওখানেই তো শেষ নয়।রিসেপশনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাকি রয়েছে।আর সেই রিসেপশনের কথা বলার পূর্বে,একটু ভাবুন তো,আপনার বাবার ভয়ে আপনি ঘরে ফিরছেন না।ভয়ে কাতর হয়ে আছেন।এমন সময় আপনার চাচা আপনাকে মাঠে পেয়ে অভয় দিয়ে মধুমাখা কন্ঠে বললেন,ও আমার প্রিয় ভাতিজা!তুমি তোমার ঘরে ফিরে যাও।আর আপনার বাবার হালত জেনে এসে আপনার বাবার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে সে ব্যাপারেও আশ্বস্ত করে বললেন,তোমার বাবা তো তোমার প্রতি সন্তুষ্ট আছেন এবং তুমি তো তার আদরের সন্তান।সুতরাং ভয় পাওয়ার কী আছে!

তখন কি আপনি খুব খুশি হবেন না?তখন কি আপনি খুশি মনে আপনার বাবার কাছে অর্থাৎ ঘরে ফিরে যেতে চাইবেন না?তখন কি আর আপনার ভয় থাকার কথা?

অতঃপর আপনি আপনার চাচার কথায় আশ্বস্ত হয়ে বাড়িতে গেলেন।সেখানে যাওয়ার পর আপনার বাবা আপনার সাথে কোনো ধরণের দুর্ব্যবহার তো করলেন-ই না বরং আপনাকে রীতিমতো একটি বিশাল সারপ্রাইজ দিলেন যা আপনাকে মুগ্ধ করে দিলো এবং আনন্দে আপনার মনটা ভরে গেলো।

এবার আমরা মূল বিষয়ে প্রবেশ করি।একজন বান্দার মৃত্যুর সময় যখন জান কবজ করা হয় তখন তার আত্মা বের হয়ে আসতে চায় না,প্রচন্ড রকমের ভয় করে।ভয় করে তার মালিক তার প্রতি কেমন আচরণ করবেন-সেটা নিয়ে।কিন্তু একজন বান্দা যখন পাপিষ্ঠ হয় তখন তার আত্মা বেরিয়ে আসতে না চাইলেও ফেরেশতারা তার মালিকের ক্রোধের কথা জানিয়ে বড়ো নির্মমভাবে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনেন।পক্ষান্তরে,বান্দা যখন ঈমানদার হোন তখন তার মৃত্যুর সময় তার সাথে দুর্ব্যবহার তো করা হয়-ই না বরং এমন ব্যবহার করা হয় যে ব্যবহারে থাকে কেবল মিষ্টতা আর মিষ্টতা।

তখন ফেরেশতারা ঠিক ওই চাচার মতো তাকে অভয় দেখিয়ে মালিকের উত্তম প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করে সুললিত কন্ঠে সম্বোধন করে বলেন, হে প্রশান্ত আত্মা,তুমি তোমার মালিকের কাছে ফিরে যাও সন্তুষ্টচিত্তে ও তার প্রিয়ভাজন হয়ে।অতঃপর মালিকের কাছে ফিরে গেলে মালিক তার বান্দার ওপর খুশি হয়ে বলেন,তুমি আমার প্রিয় বান্দাদের দলে শামিল হয়ে যাও,(আর পুরস্কার হিসেবে) প্রবেশ করো আমার (অনন্ত) জান্নাতে। [৩]

সুবহান'আল্লাহ!আর এটাই একজন মু'মিনের জন্য দুনিয়ার জীবনের সর্বশেষ এবং সর্বোত্তম রিসেপশন।এই রিসেপশনের মাধ্যমেই পরকালীন যাত্রা শুরু হয়ে যায়।এভাবেই একজন নেক্কার তথা ঈমানদার বান্দা তার মৃত্যুর সময় উত্তম রিসেপশন পেয়ে থাকেন।

সবশেষে বলবো,দেখুন,আমি যতোই এক আল্লাহর উপর দৃঢ় বিশ্বাসী কিংবা আমলদার হই না কেনো আমি কিন্তু নিজেকে কখনো ঈমানদার হিসেবে দাবি করতে পারি না।কেননা কারো মধ্যে ঈমানদারের সমস্ত গুণাবলী থাকার পরও দুনিয়ায় স্বাভাবিক চলা অবস্থায় সে ঈমানদার হিসেবে স্বীকৃতি পায় না।আল্লাহই ভালো জানেন কে ঈমানদার আর কে ঈমানদার নয়।ফলে নিজেকে ঈমানদার মনে করে উল্লসিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।আর এজন্য নিজেকে ঈমানদার মনে করে তৃপ্তির ঢেঁকুর না তুলে নিজে নিজে চিন্তা করা উচিত যে,আমি কি আদৌ ঈমানদার হতে পেরেছি।আমি কি আদৌ ঈমানদারের গুনাবলী ধারণ করতে পেরেছি।আমি কি আল্লাহর ঈমানদার বান্দাদের একজন হতে পেরেছি?

আমাদের উচিত ঈমানদার হতে হলে যা যা করার প্রয়োজন তা ঠিকঠাক করে যাওয়ার পাশাপাশি নিজেদের ঈমানদারিত্বের বিষয় নিয়ে খুব চিন্তা করা,চিন্তিত থাকা।এভাবে ঈমান নিয়ে যতো বেশি চিন্তা করা যাবে ততো বেশি ঈমান মজবুত হবে।ইন শা আল্লাহ!

একইসাথে,আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা যেনো আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে মৃত্যু অবধি ঈমানদার হিসেবে কবুল করে নেন এবং মৃত্যুর সময়ে উত্তম রিসেপশন পাওয়ার যোগ্য করে তুলেন।আমিন!

রেফারেন্সঃ
[১] সূরা আন নাহল,আয়াত নং : ৩২
[২] সূরা হা-মী-ম আস সাজদা,আয়াত নং : ৩০-৩২
[৩] সূরা আল ফজর,আয়াত নং : ২৭-৩০

- রাকিব আলী

পঠিত : ৩০৮ বার

মন্তব্য: ০