Alapon

তবে কি পদ্মা সেতু নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে...?



সাম্প্রতিক সময়ে পদ্মা সেতুর পিলারে দু’টো ফেরি আঘাত করে। খুব আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, ফেরি দুটি একই পিলারের একই স্থানে আঘাত হানে। অর্থাৎ ১০ নাম্বার পিলারে আঘাত করেছে। প্রথম ফেরি ধাক্কা দেওয়ার চারদিন পরই দ্বিতীয় ফেরিটি পিলারে ধাক্কা দেয়। সাদা চোখে ব্যাপারটাকে খুব সাধারণ মনে হলেও, ঘটনা কি আদৌ সাধারণ? চলুন একটু বিচার বিশ্লেষণ করে দেখি।

পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই। আর পিলার নির্মাণ হয়েছে এক বছরেরও বেশি সময় আগে। তখন থেকেই পিলারগুলো পদ্ধা নদীর বুকে দাড়িয়ে আছে। কিন্তু এতোদিন পিলারগুলোতে কোনো ফেরি ধাক্কা দিলো না, আর এতোদিন পরে এসে পরপর দুটো ফেরি ধাক্কা দিলো-ব্যাপারটা সত্যিই ভাবার মতো। আর নদীর স্রোত এখনো যেমন আছে, পূর্বেও তেমনি ছিলো। কিন্তু পূর্বে তো কখনো কোনো ফেরি পিলারে আঘাত করেনি। তাহলে কি পিলারে ধাক্কা দেওয়ার বিষয়টি পরিকল্পিত?

অসম্ভব নয়। অসম্ভব নয় কারণ, পদ্মা সেতুকে ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরেই রহস্যজনক ঘটনা ঘটছে।


বিগত কয়েকমাসে পদ্মা সেতু নির্মাণ এলাকা থেকে ১১ জন পাগলকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাদের গ্রেফতার করে জাজিরা থানা পুলিশের হাতে ন্যাস্ত করে। জাজিরা থানা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, সেই ১১ জনের প্রত্যেকেই ভারতের নাগরিক। বেশভূষায় তাদের পাগল বলে মনে হলেও জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা পাগল নয়। পরনের জামাকাপড় এলোমেলো ময়লা হলেও, তাদের হাত পায়ের নখ বেশ পরিপাটি করেই কাটা ছিলো-যা পাগলদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নয়। আর ধরা পড়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করে। এমনকি তারা তাদের নিকট আত্মিয়দেরও নাম বলতে পারে।

কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয়, জাজিরা থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করেই ছেড়ে দিয়েছে। অথচ উচিত ছিলো, তাদের রাষ্ট্রের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ ডিজিএফআই-এর হাতে ন্যাস্ত করা। ডিজিএফআই জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই ছদ্মবেশধারী পাগলদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদায় করতে পারতো। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে কিছুদিন আগেই পদ্মা সেতুতে কাজ করার সময় এক চীনা নাগরিক নদীতে পড়ে যান। ঘটনার কয়েকদিন পর তার লাশ পাওয়া যায়। অন্যদিকে পিরোজপুরে কাজ করার সময় এক চীনা নাগরিক দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে সাত হাজার চীনা নাগরিক বিভিন্ন কাজে বসবাস করেন। দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অবকাঠামোর সাথে সম্পৃক্ত তাদের মধ্যে কেউ কেউ হামলার স্বীকার হচ্ছেন। এটাও কি কাকাতালীয়?

মোটেও না। বরং পূর্বপরিকল্পিত। বাংলাদেশের উন্নয়ন অবকাঠামোর সিংহভাগই চীনা অর্থায়নে তৈরি হচ্ছে। আর এই উন্নয়ন কাজের শুরু থেকেই বিরোধীতা করে আসছে প্রতিবেশি দেশ ভারত। কিন্তু শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের বিরোধীতা উপেক্ষা করে দিনকে দিন চীনের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করেই যাচ্ছে। আর সেই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার নিমিত্তেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা হয়তো চীনা নাগরিকদের উপর হামলা চালাচ্ছে। এই হামলা মূলত চীনা নাগরিকদের উপর নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের উপর!

পঠিত : ৩২০ বার

মন্তব্য: ০