Alapon

ব্রেইনে পর্ণের প্রভাব



✅ যুক্তরাজ্যের টেলিগাফ নিউজের ২০১৪ সালের মে ২৯ তারিখের ইস্যুতে একটি রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় যেখানে বলা হয়েছে, পর্ণোগ্রাফি দেখার কারণে ব্রেইন সংকুচিত হয়ে যেতে পারে এবং সেক্সুয়ায় স্টিমুলেশনও দুর্বল হতে পারে। যেসব মানুষেরা খবরাখবর রাখেন তাদের কাছে পর্ণোগ্রাফির ক্ষতিকর দিকসমূহ অজানা নয়।

✅ বার্লিনের ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউটের মত অনুসারে, তারা ব্রেইনে একটি অংশ খুঁজে পেয়েছেন যা সক্রিয় হয়ে যায় যখন মানুষ মোটিভেটেড হয়, এই অংশটিই সংকুচিত হয়ে যায় এবং কর্মক্ষমতা অনেকটাই হারিয়ে ফেলে যখন মানুষ নিয়মিত পর্ণোগ্রাফিক কন্টেন্ট দেখে। আর আমাদের দেহের জন্য ব্রেইনের চাইতে গুরত্বপূর্ণ আর কি আছে? আমাদের কি এধরণের ফলাফল দেখে সাবধান হওয়া উচিত নয়?

✅পর্বে বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, শৈশব পেরোনোর পর ব্রেইনও বর্ধিত হবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তারা মনে করতেন ভয়ংকর আঘাত অথবা ইনজুরি পরিপক্ক ব্রেইনে পরিবর্তন আনতে পারে।

✅ কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা যতদিন বেঁচে থাকব ততদিনই আমাদের ব্রেইন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে। শুধু তাই না, ব্রেইন নিয়মিত তাঁর গঠন পরিবর্তন করতে সক্ষম যাকে রিওয়্যার বলে। এর মাধ্যমে সে নতুন অভ্যাস গ্রহণ করে, নতুন নতুন প্যাথওয়ে তৈরী করে, বিশেষত যুবা বয়সে। আর এভাবেই পর্ণোগ্রাফি ব্রেইনে তাঁর স্থায়ী দখল নেবার চেষ্টা করেন।
কারণ পর্ণ অত্যন্ত আসক্তিপ্রবণ, এর প্রভাবও অনেক বেশী। পর্ণোগ্রাফির কারণে ব্রেইনে যে প্যাথওয়ে তৈরী হয় তা দীর্ঘদিন থাকতে পারে। আর এটা সঙ্গিনীর সাথে যৌনক্রিয়ার সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে পারে। অর্থাৎ সঙ্গিনীর সাথে যৌন ক্রিয়ার চাইতেও পর্ণোগ্রাফি অধিক তৃপ্তিকর মনে হতে পারে। ভাবা যায়?
পর্ণোগ্রাফি পুরো ব্রেইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবার চেষ্টা করে, এবং স্ত্রীর সাথে যৌন মিলনের ইচ্ছা/চাহিদা দুটোই নষ্ট করে দেয়/কমিয়ে দেয়।

✅ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক গবেষণায় ড. নরম্যান ডয়েজ ব্যাখ্যা করেন কিভাবে পর্ণ ব্রেইনের গঠনে স্থায়ী পরিবর্তন আনতে পারে।
তিনি বলেন, পর্ণোগ্রাফি দেখার ফলে ব্রেইনে একধরণের কন্ডিশন বা অবস্থার সৃষ্টি হয়। এই কন্ডিশন গুলো হচ্ছে ফোকাস এবং মনোযোগ যা কোন পর্ণো ছবিকে দেয়া হচ্ছে। সেই ছবি দেখতে দেখতে এমন অবস্থা হবে যে সেই মানুষটির পক্ষে অন্য কিছুতে মনোযোগ দেয়া অসম্ভব হবে, তাঁর কাছে অন্য সবকিছু অর্থহীন মনে হবে সেই নির্দিষ্ট সময়ে।

পঠিত : ৪৭০ বার

মন্তব্য: ০