Alapon

|| চোখের চাহনি যখন ধ্বংস আনে ||



চোখের চাহনি যখন ধ্বংস আনে

চোখের জিনা আধ্যাত্মিক দিক থেকে আপনার অন্তরকে মেরে ফেলে। তখন আপনি আর যথাযথভাবে নামাজ পড়তে পারবেন না। আপনার জীবনে কোনো বারাকাহ থাকবে না। আমি আমার নিজেকে এবং আপনাদের সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আল্লাহ আমাদেরকে দুটি চোখ উপহার দিয়েছেন। আপনি কী জানেন কতগুলো সেনসেটিভ নার্ভ (আবেগজনিত অনুভুতি ও স্নায়ুকোষ) এই চোখের সাথে যুক্ত আছে?
আল্লাহ যদি শুধু একটি নার্ভ (স্নায়ুকোষ) কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন, তখন আপনি কি করতে পারবেন?

কোটরের ভেতরের তারগুলো খুব বেশি বিস্তৃত নয়।
আপনি আল্লাহর দেওয়া চোখ দিয়ে অশ্লীল কিছু দেখেন, অথচ আল্লাহ বলেন, "أَلَمْ نَجْعَل لَّهُۥ عَيْنَيْنِ ﴾আমি কি তার জন্য দুটি চোখ বানাইনি? ﴿[সূরা আল-বালাদ: ৮]। তো, আপনার অশ্লীলতা দেখার সময় যদি আল্লাহ নার্ভগুলো কেটে দেন, যদি আপনার চোখের আলো কেড়ে নেন—তখন আপনি কি করবেন? আল্লাহর তো আপনার চোখের আলো কেড়ে নেওয়ার এই ক্ষমতা আছে।

পরেরবার যখন খারাপ কিছু দেখতে যাবেন, তখন এই ব্যাপারটা চিন্তা করে দেখুন। এই চোখগুলো আপনাকে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করার জন্য প্রদান করা হয়নি। এগুলো আমাদেরকে আল্লাহর অবাধ্যতা করার জন্য দেওয়া হয়নি। খারাপ কিছু দেখা থেকে চোখ সরিয়ে রাখুন।

আর কথা বলার সময় অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করবেন না। কারণ অকথ্য ভাষা মনের মাঝে নোংরা ছবি তৈরি করে। এমন বলবেন না যে আমার রাগ হয়েছিল বলে অমন ভাষা ব্যবহার করেছি। না। আপনি যদি নোংরা ভাষা ব্যবহার করেন, নিশ্চিতভাবেই এর একটি প্রভাব আপনার চিন্তায় পড়বে। এই দুটো সরাসরি যুক্ত।

চোখের খারাপ দৃষ্টি মাধ্যমে আপনি ধর্মীয় দিক থেকে নিজেকে ধ্বংস করে ফেলছেন। আপনি আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরী করতে পারবেন না। আল্লাহর শপথ! আপনি যদি আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে না পারেন, তাহলে আপনি অন্য কোনো মানুষের সাথেও সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন না; স্ত্রী, পরিবার, পিতা-মাতা সবার সাথে সত্যিকারের সম্পর্কের কথা ভুলে যান। কারণ আল্লাহর সাথে আপনার সত্যিকারের কোনো সম্পর্ক নেই। সবকিছু ভেঙে পড়বে, সবকিছু। আপনার জীবনে ভালো কিছু আর অবশিষ্ট থাকবে না।

তাই, এটা ছোট কোনো ব্যাপার নয়। এ ব্যাপারে সাবধান থাকুন।

- ওস্তাদ নোমন আলী খান

পঠিত : ৫২৭ বার

মন্তব্য: ০