Alapon

কারো বিরোধিতা করা অপদস্ততা নয়...!!

বিপরীত মতের ব্যক্তির বিরোধিতা তাকে বাতিল করে দেয়া উদ্দেশ্য হয় না। বরং তাকে শুদ্ধ ও সঠিক করে দেওয়া হয়। আর এটাই হচ্ছে মুসলমানের জন্য কল্যাণকামিতা ও হিতাকাংক্ষীতা। কেননা বিষয়টি হচ্ছে দ্বীন।

রাসূল 'আলাইহিস সালাম বলেন, (দ্বীন হচ্ছে হিতাকাংক্ষী হওয়া) এবং ভুলকারীর বিরোধিতা করা দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত। যদিও সে দ্বীনের ক্ষেত্রে অগ্রগামী ও ত্যাগী হয়। কেননা রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) আবু যারকে (রাঃ) বলেছেনঃ (যিনি অগ্রগামী ও ত্যাগীদের অন্তর্ভুক্ত) হে আবু যার! তোমার মধ্যে জাহিলিয়্যাত রয়েছে।

অগ্রগামী ও ত্যাগীরা যখন দ্বীনের ব্যাপারে বড় বা মৌলিক কোন ভুল করে তখন তাদের বিরোধিতায় কঠোরতা তাদের সম্মান ও মর্যাদাকে কমিয়ে দিবে না। কারণ এটা হচ্ছে দ্বীনী বিষয়।

উমর (রাঃ) যখন অগ্রগামী ও ত্যাগীদের অন্তর্ভুক্ত বদরী সাহাবীর ক্ষেত্রে বলেছিলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ আমাকে অনুমতি দেন, এই মুনাফেকের গর্দান উড়িয়ে দেই। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ সে বদরের যুদ্ধে শরীক হয়েছে, আর তুমি কি জান না আল্লাহ তায়ালা বদরীদেকে অবগত করে দিয়েছেন যে, তোমরা যা ইচ্ছা আমল করতে থাক, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি(এটা শুধুমাত্র বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুনাফিকদের ক্ষেত্রে, আমভাবে সবার ক্ষেত্রে নয়)।

এখানে রাসূলূল্লাহু 'আলাইহিস সালাম উমরের কঠোরতা ও বিরোধিতাকে অপছন্দ করেন নাই। বরং হাতেবকে মুনাফেক ও মুরতাদের হুকুম দেয়াকে অপছন্দ করেছেন।

সুতরাং কেহ যত অগ্রগামী ও ত্যাগী হোক না কেন, দ্বীনের উসূল ও মূল বিষয়ের ক্ষতি সাধনের ব্যপারে চুপ থাকা যাবে না।

পঠিত : ৩৮১ বার

মন্তব্য: ০