মহাসম্মেলনে মুহাম্মদ সা.-এর উনিশ নির্দেশনা
তারিখঃ ১১ অক্টোবর, ২০২১, ১৪:১৭
আমাদের নেতা মুহাম্মদ সা. মক্কার মহাসম্মেলনে অর্থাৎ বিদায় হজ্জে প্রায় ১০ মিনিটের একটি ভাষণ দেন। সেই বক্তব্যে তিনি ১৯ টি বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।
১. জাহেলী রীতি অনুসারে সকল প্রকার শিরক নিষিদ্ধ হলো।
২. প্রতিশোধের বংশানুক্রমিক ধারা রহিত করা হলো এবং নিরাপরাধ ব্যক্তি হত্যা নিষিদ্ধ হলো।
৩. সকল প্রকার সুদ নিষিদ্ধ হলো।
৪. মুসলিমদের নিজেদের মধ্যে রক্তপাত, সম্পদ দখল, সম্মান নষ্ট করা নিষিদ্ধ হলো।
৫. আমানত রক্ষা করে চলতে হবে।
৬. মানুষের মধ্যে জাতিগত (ভাষা, বর্ণ, গোত্র, এলাকা) ভেদাভেদ চলবে না। শুধু তাকওয়ার ভিত্তিতে মর্যাদা নির্ধারিত হবে।
৭. স্ত্রীদের অধিকার যথাযথভাবে আদায় করতে হবে। স্ত্রীরা সতিত্ব বজায় রাখবে। স্ত্রীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করতে হবে।
৮. মুমিনরা নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক বজায় রাখবে।
৯. কোনো অবস্থায়ই কারো সাথে জুলুম করা যাবে না।
১০. ছোট-খাটো বিষয়ে মতপার্থক্য করতে গিয়ে ফিরকা সৃষ্টি করা যাবে না। ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো (আল্লাহর আনুগত্য, নামাজ, রোজা, যাকাত ও নেতার আনুগত্য) যথাযথভাবে আদায় করতে হবে।
১১. অধীনস্থদের সাথে ভালো আচরণ করতে ও পার্থক্য সৃষ্টি করা যাবে না।
১২. উত্তরাধিকার সম্পত্তি বন্টনের ক্ষেত্রে কমবেশি করা যাবে না। এক তৃতীয়াংশের বেশি ওসিয়ত করে উত্তরাধিকারদের বঞ্চিত করা যাবে না।
১৩. জিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া যাবে না।
১৪. নিজের পিতা ছাড়া অন্য কাউকে পিতা পরিচয় দেওয়া যাবে না।
১৫. প্রত্যেককে নিজের কাজের হিসেব দিয়েই জান্নাতে যেতে হবে। এই ব্যাপারে নবী সা. দায়িত্ব নেবেন না।
১৬. কুরআন ও সুন্নাহকে সর্বক্ষেত্রে অনুসরণ করতে হবে।
১৭. বৈধ নেতার আনুগত্য করতে হবে। অবৈধ নেতার আনুগত্য করা যাবে না। বৈধ/অবৈধ এর মানদণ্ড নির্ধারিত হবে কুরআন সুন্নাহ দ্বারা।
১৮. অমুসলিমকে মুসলিম বানানোর ক্ষেত্রে জোর করা যাবে না।
১৯. রাসূলের এই ভাষণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ, ওয়ালা আলি মুহাম্মদ।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
মন্তব্য: ০