Alapon

আনলাকি থার্টিনের কালো ইতিহাস




সহস্র বছর ধরে মানুষকে মোহাচ্ছন্ন, বিমোহিত করে রেখেছে জেরুজালেম। এ যেন এমন এক তরুণী যার সৌন্দর্যে মুগ্ধ সবাই,যাকে পেতে অকাতরে তাজা রক্ত ঢেলে দিতে প্রস্তুত বিমোহিত জনতা। সহস্রকাল ধরেই বিশ্বাসী মনোফাইটদের সংঘাত আর দ্বন্ধের কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে জেরুজালেম। ব্যবিলনের নেবুচাদনেজার থেকে ক্যানাগুলি অথবা উমর বিন খাত্তাব(রা),দ্য গ্রেট সালাহুদ্দিন, সোলায়মান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট বা হাল আমলের থিওডোর হারজেল বা বেঞ্জামিন ডিস্রাইলি সবার চোখই জেরুজালেমে নিবদ্ধ হয়েছিলো। ফলে আমরা ইতিহাসে দেখতে পাই এ নগরী দুইবার ধ্বংস হয়, তেইশবার অধিকৃত হয়, বায়ান্নবার আক্রমণ করা হয় ও ৪৪ বার উদ্ধার করা হয়। এখান থেকেই আমরা জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে সংঘাতের ভয়াবহতা আচ করতে পারি।
.
জেরুজালেম ভূমধ্যসাগর থেকে দূরে ও জুদাইন পাহাড়ের শুষ্ক আবহাওয়ায় অবস্থিত। গরমের মওসুমে প্রচন্ড গরম আর শীতের সময়ে প্রচন্ড শীত পরে সেখানে। এমন একটি রুক্ষ জায়গা যা ভৌগলিকভাবে দুর্গম, কৌশল্গতভাবে অগুরুত্বপূর্ণ সেখানেই সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে তিন ধর্মের অনুসারীরা। ফলে নিঃসন্দেহে বলা যায় জেরুজালেম কেন্দ্রিক লড়াই জাগতিক কোন লড়াই নয় বরং অতীন্দ্রিয় বিশ্বাস আর নিজেদের ঐতিহ্য সংরক্ষণই এ লড়াইয়ের উদ্দেশ্য। ফলে অতীন্দ্রিয় বিশ্বাসীদের রক্তে বারবার সিক্ত হয়েছে জেরুজালেমের মাটি।
.
খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দীর দিকে দাউদ (আ) মূর্তিপুজারীদের হাত থেকে সর্বপ্রথম জেরুজালেম উদ্ধার করেন। খ্রিস্টপূর্ব ৫৮৬ সালে ব্যবিলনের সম্রাট নেবুচাদনেজার জেরুজালেম আক্রমণ করেন এবং সোলায়মান (আ) এর নির্মিত টেম্পল অফ সলোমন যা ইহুদিদের কাছে ‘ফার্স্ট টেম্পল’ নামে পরিচিত সেটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেন। এরপর ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা জেরুজালেম দখল করে নেয়। অতঃপর ৬৩৭ সালে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর বিন খাত্তাব (রা) এর সময় আমর ইবনুল আস (রা) ও খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা) এর নেতৃত্বে স্বপ্নের জেরুজালেম বিজিত হয়। ঐসময় টেম্পল মাউন্টের দায়িত্বে থাকা পেট্রিয়ার্ক সফ্রোনিয়াস সরাসরি খলিফা উমর (রা) এর হাতে বায়তুল মাকদিস আত্মসমর্পণ করার প্রস্তাব করেন। ফলে খলিফা উমর (রা) মদিনা থেকে বায়তুল মাকদিসে যান এবং তিনি সেই দরজা দিয়ে বায়তুল মাকদিস চত্বরে প্রবেশ করেন যে দরজা দিয়ে মেরাজের দিন রাসুল (সা) প্রবেশ করেছিলেন। বিশপ সফ্রোনিয়াস তখন খ্রিস্টানদের চার্চ হলি সেপাল্কারে নামাজ পরার জন্য উমর (রা) কে অনুরোধ করেন কিন্তু তিনি এ দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে তিনি নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা একটি মসজিদ তৈরি করেন যার সম্প্রসারিত রূপ হচ্ছে আজকের মসজিদে কিবলি।
.
আজ থেকে প্রায় সহস্র বছর আগে মুসলিমরা যখন দলে দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ভ্রাতৃঘাতী লড়াইয়ে ব্যস্ত্ ঠিক তখনই পোপ আরবান দ্বিতীয় ১০৯৫ সালে পুরো ইউরোপে ক্রুসেডের ডাক দেন যার মূল লক্ষ্য ছিলো খ্রিস্ট ধর্মের পবিত্রস্থান জেরুজালেমকে মুসলিমদের থেকে খ্রিস্টানদের করায়ত্তে নেয়া। পোপের আহবানে সাড়া দিয়ে ইউরোপ থেকে রওয়ানা হওয়া প্রায় ৭০ হাজার খ্রিস্টান যোদ্ধা তিনবছর যুদ্ধ করার পর ১০৯৯ সালে পুনরায় জেরুজালেম দখল করে নেয়।
.
খ্রিস্টানদের জেরুজালেম দখলের পর পুরো ইউরোপ থেকেই খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীরা জেরুজালেম ভ্রমণ শুরু করে। কিন্তু ইউরোপ থেকে জেরুজালেমের দূরত্ব ছিলো বিশাল। ফলে তীর্থযাত্রীরা ইউরোপ থেকে জেরুজালেমে পৌছতে অনেক সময় লাগতো। এসময় তীর্থযাত্রীদের উপর বেদুইন ডাকাতদল আক্রমণ করত ও তাদের থেকে সবকিছু লুট করে নিতো। ১১১৯ সালে এমনই এক তীর্থযাত্রী দলের উপর হামলা চালিয়ে প্রায় শতাধিক খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীকে হত্যা করা হয়। ব্যাপারটা তখন এতই ভয়াবহ রূপ ধারণ করে যে জেরুজালেমের খ্রিস্টান কর্তৃপক্ষ তখন তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভাবতে বাধ্য হয়। তারা বুঝতে পারে তীর্থযাত্রীদের উপর হামলা রোধ করতে না পারলে চার্চ কর্তৃপক্ষের দুর্নাম ছড়িয়ে পরবে ইউরোপে।
.
ফলে ১১১৯ সালেই তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য হিগ ডি পায়ন নামে এক ফরাসির নেতৃত্বে মাত্র ৯ জন সদস্য মিলে একটি অর্ডার প্রতিষ্ঠা করেন যারা দারিদ্র,আনুগত্য ও চিরকুমার হিসেবে থাকার শপথ নেন। চার্চ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই অর্ডারের হেডকোয়ার্টার স্থাপন করা হয়েছিলো আল আকসা মসজিদে কেননা খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করতো এই মসজিদের স্থানেই জেসাস ক্রিস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করানো হয়। এই অর্ডারের নাম রাখা হয় “the poor fellow soldiers of Christ and the temple of Solomon” বা সংক্ষেপে “knight templar”।
.
তখন তীর্থযাত্রীদের সুবিধার জন্য ইউরোপ থেকে জেরুজালেমের পথকে চারটি অংশে ভাগ করা হয়-ওডেসা, এন্টিয়ক, ত্রিপোলি ও জেরুজালেম। এই অঞ্চলগুলোতে নাইট টেম্পলারদের নিজস্ব দুর্গ নির্মাণ করা হয়। ফলে একদিকে ইউরোপ থেকে আগত খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা অন্যদিকে মুসলিমদের ছোট ছোট দলগুলোর সাথে লড়াইয়ের দায়িত্ব টেম্পলারদের উপর বর্তায়।
.
প্রতিষ্ঠার প্রায় ১০ বছর পর ফ্রান্সের ট্রয়েস শহরে অনুষ্ঠিত হওয়া ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের কাউন্সিল অফ ট্রয়েসে নাইট টেম্পলারদেরকে প্যাপাল আইনের আওতাভুক্ত করা হয় যার ফলে নাইটরা পুরো ইউরোপেই স্বাধীনভাবে চলাচল করার অনুমতি লাভ করে ও তাদেরকে শুধুমাত্র পোপ ব্যতীত অন্যকারো নিকট দায়বদ্ধতা বা জবাবদিহিতা করতে হতো না। ১১৩৯ সালে নাইট টেম্পলারদের জন্য করও মাফ করে দেয়া হয় ও তাদেরকে পোপের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়।
.
টেম্পলার নাইটদের কর মওকুফ করে দেয়ার পর থেকেই নাইটরা সম্পদশালী হয়ে ওঠতে থাকে। হাজার বছরের মধ্যে নাইট টেম্পলাররাই ছিলো প্রথম ইউরোপীয় দল যারা টেম্পল অফ সলোমনে অবস্থান করেছে ও টেম্পলকে খুব কাছ থেকে দেখেছে। টেম্পলের ধ্বংসাবশেষ থেকে রহস্যময় সলোমনের জ্ঞান ও অতীন্দ্রিয় অধিবিদ্যার অধিকারী হয়ে ওঠে নাইটরা। একই সময় তারা রেলিক(প্রাচীন নিদর্শন) ব্যবসা শুরু করে। কেননা সেই সময় ইউরোপের চার্চ কর্তৃপক্ষগুলো বড় অংকের বিনিময়ে রেলিক সংগ্রহ করতো। ইউরোপেও অর্থ বিনিয়োগ শুরু করে তারা। অন্যদিকে তীর্থযাত্রীদের সম্পদ বেদুইন আক্রমণকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে টেম্পলাররা এক নতুন নিয়মের প্রচলন করে। যেহেতু ইউরোপ থেকে জেরুজালেম সর্বত্রই নাইটদের দুর্গ ছড়িয়ে ছিলো তাই কোন খ্রিস্টান তীর্থযাত্রী চাইলে ইউরোপে নাইটদের কোন দুর্গে তার সম্পদ গচ্ছিত রাখতে পারতেন এবং নাইটরা প্রমাণস্বরূপ সেই তীর্থযাত্রীকে একটা সিলমোহর দিতো। তখন সেই সিলমোহরসহ প্রমাণ অন্য যেকোন জায়গার যেকোন টেম্পলার দুর্গে দেখালেই সেখান থেকে তারা প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলন করতে পারতেন। আর এভাবেই টেম্পলার নাইটদের হাতেই পত্তন ঘটে পৃথিবীর প্রথম ব্যাংকিং সিস্টেমের, একই সাথে টেম্পলাররাও হয়ে ওঠে সম্পদশালী।
.
শতাধিক বছর ধরে চলা ক্রুসেড যুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে নাইট টেম্পলাররা। টেম্পলার নাইটদের উপাখ্যান ব্যতীত ক্রুসেডের ইতিহাস লেখা অসম্ভব। খ্রিস্টানদের সবচেয়ে এলিট ফোর্স হিসেবে তারা ছিলো বিখ্যাত। যুদ্ধের ময়দানে তাদের দ্রুতগতির আক্রমণ ও ব্যতিক্রমী মিলিটারী ট্যাকটিক্স “স্কোয়াড্রন চার্জ” এর জন্য তারা মুসলিমদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি জেরুজালেম পুনরুদ্ধারের অভিযানে সুলতান সালাহউদ্দিনের হাতে আটক সকল নাইট টেম্পলারকে হত্যা করা হয়।
.
১১৮৭ সালে সুলতান সালাহউদ্দিন ক্রুসেডার ক্রিস্টান বাহিনীকে পরাজিত করে পুনরায় জেরুজালেম উদ্ধারের পরেও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন জায়গায় টেম্পলার নাইটদের সাথে মুসলিমদের খন্ড যুদ্ধ চলতে থাকে। জেরুজালেম মুসলিমদের হাতে চলে যাওয়ার পর নাইটদের গুরুত্ব ইউরোপে হ্রাস পেতে থাকে কেননা নাইটদের মূল কাজই ছিলো তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা বিধান করা ও জেরুজালেমকে রক্ষা করা।
.
সুলতান সালাহউদ্দিন জেরুজালেম দখলের প্রায় শতবছর পর ১২৯১ সালে উত্তর-পশ্চিম জেরুজালেম ও ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী আক্রা শহরে অবস্থিত নাইট টেম্পলারদের শেষ দুর্গটিও মুসলিমরা দখল করে নেয়। ফলে নাইটরা ইউরোপে তোপের মুখে পরে ও তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ হয়ে যায়।
.
আক্রা দুর্গের পতনের পর টেম্পলার নাইটরা তাদের সামরিক উপযোগিতা হারায় যদিও তারা যুদ্ধে ছিলো খুবই দক্ষ ও প্রথম সারির যোদ্ধা।নাইটদের সামরিক শক্তি ছিলো তৎকালীন ইউরোপীয় খ্রিস্টান শাসকদের জন্য ভীতিপ্রদ ও নাইটদের অর্থ-সম্পদের প্রতি ইউরোপীয় রাজা-বাদশাহদের ছিলো অসীম লোভ।
.
অন্যদিকে খ্রিস্টাব্দ চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম দশকেই ফ্রান্স অর্থসংকটে নিপতিত হয়। স্পেনের আরাগন রাজ্যের সাথে ফ্রান্সের প্রায় বিশবছরব্যাপী “সিসিলিয়ান ভেসপার” যুদ্ধের কারণে ফ্রান্স প্রায় দেউলিয়া হয়ে পরে। অন্যদিকে একই সময় ফ্রান্সের সাথে ইংল্যান্ডের দ্বন্ধও তীব্র হয়। ফলে ফ্রান্সের রাজা চতুর্থ ফিলিপ অর্থের সন্ধানে অস্থির হয়ে পরেন। কিন্তু কোন দিকেই অর্থ সংগ্রহ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত নাইট টেম্পলারদের সম্পদ দখল করার ফন্দি আটেন তিনি।
.
আক্রার দুর্গ পতনের প্রায় দুই দশক পর ফ্রান্সের রাজা চতুর্থ ফিলিপ টেম্পলার নাইটদের সম্পদ দখল করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সমকামিতা, ধর্মদ্রোহ, ক্রসে থুথু নিক্ষেপ ও শয়তানের উপাসনা করার অভিযোগ আরোপ করেন। যেহেতু নাইটরা ছিলো পোপের নিয়ন্ত্রণে তাই নাইটদের বিচারের জন্য পোপের অনুমতি দরকার ছিলো। তৎকালীন পোপ পঞ্চম ক্লেমেন্ট ছিলো ফরাসি রাজা চতুর্থ ফিলিপের পাপেট। ফিলিপের পরামর্শে তিনি রোম থেকে প্যাপাল রাজধানী ফ্রান্সের এভিগননে স্থানান্তরিত করেন এবং নাইট টেম্পলারদের বিচারের অনুমতি দেন।
.
সেই দিনটি ছিলো ১৩০৭ সালের ১৩ অক্টোবর। খুব ভোরেই ফরাসি রাজা চতুর্থ ফিলিপের সৈন্যরা একে একে গ্রেফতার করতে থাকে নাইট টেম্পলারদের। শুরু হয় নাইটদের বিচার কাজ। যেসব নাইট নির্যাতনের মুখে তাদের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ স্বীকার করেছিলো তাদেরকে নিষ্কৃতি দেয়া হয় আর যারা অভিযোগ অস্বীকার করেছিলো তাদেরকে হত্যা করা হয়। এভাবেই রাতারাতি পতন হয় একসময়ের ইউরোপ কাপানো খ্রিস্টানদের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ এলিট ফোর্স নাইট টেম্পলারদের। সর্বশেষ, ১৩১০ সালে ৫৪ জন নাইটকে একসাথে হত্যা করা হয় এবং ১৩১৪ সালে প্যারিসে জনসম্মুখে উইলো কাঠের আগুনে হত্যা করা হয় নাইটদের শেষ গ্র্যান্ডমাস্টার জ্যাক ডি মলেই কে। তাকে উইলো কাঠে পুড়ানোর উদ্দেশ্য ছিলো তাকে যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করা কেননা উইলো কাঠ খুবই ধীরে ধীরে আগুনে পুড়ে। এভাবেই শেষ হয় দুইশত বছরের খ্রিস্টানদের গর্ব নাইট টেম্পলারদের উপাখ্যান।
.
তবে নাইটদেরকে হত্যা করে তাদের সম্পদ দখল করার যে ফন্দি ফরাসি রাজা এটেছিলেন সেটি সফল হয়নি বরং নাইট টেম্পলারদের কোন দুর্গেই কোন সম্পদের সন্ধান মেলে নি। তবে নাইটদের এতো সম্পদ গেলো কোথায় ?? নাইটদের সম্পদের ইতিহাসের আরেক রহস্যময় অধ্যায় নিয়ে আরেকদিন কথা হবে।
.
১৩০৭ সালের অক্টোবরের ১৩ তারিখ ছিলো শুক্রবার। যেহেতু এ দিনেই নাইট টেম্পলারদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হয় ও পুরো অর্ডারটাকেই ধ্বংস করে দেয়া হয় তাই শুক্রবারকে ‘ব্লাক ফ্রাইডে’ আর ১৩ তারিখকে “আনলাকি” হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অধিকাংশ ঐতিহাসিকদের মতে আনলাকি থার্টিনের মূল উৎস মূলত টেম্পলারদের এই গণবিচার ও তাদের বিলুপ্তি।

~আহমদ ইশতিয়াক মাসুদ

পঠিত : ৩৯২ বার

মন্তব্য: ০