Alapon

কুমিল্লায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের দ্বারা কোরআন অবমাননা


কুমিল্লার রানীর দীঘিরপাঁড়ে পূঁজা মন্ডপে কোরআন অবমাননা করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। পূঁজার মূর্তি হনুমানের পায়ের উপর কোরআন রেখে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ইসলাম অবমাননা করে এই নাপাক মুশরিকরা। কারণ এরা জানে, বাংলাদেশে এদের কোনো বিচার হবে না।

মূহুর্তেই এই ঘটনা স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফুঁসে উঠে কুমিল্লার তাওহিদি জনতা। আল্লাহু আকবার ধ্বণিতে প্রকম্পিত হয় কুমিল্লার আকাশ বাতাস। হয় ব্যাপক প্রতিবাদ। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের মনে রাখা উচিৎ যে এটা মোদির ভাঁড়ত (ভারত) না। এটা শাহজালাল, বখতিয়ার খিলজি, জালালুদ্দীন মোহাম্মদ শাহ ও কালা পাহাড়দের বাংলা। এখানে ইসলাম অবমাননা হবে আর শরীরে রক্ত থাকতে মুসলিমরা এর প্রতিবাদও করবে না, এটা অসম্ভব।
যেসকল তাওহিদি ভাইয়েরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কোরআনের সম্মান রক্ষায় এভবে এগিয়ে এসেছিলেন, সেসব ভাইদের জন্য অনেক দোয়া রইলো।
পরবর্তীতে স্থানীয় থানা ওসি সাহেব গিয়ে কোরআনটি সেখান থেকে উদ্ধার করেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আইনে সাংবিধানিক ভাবে ধর্ম অবমাননার শাস্তির কথা উল্লেখ থাকলেও মুসলিমদের ক্ষেত্রে এসে এই আইন অচল হয়ে পরে। এই দেশের অন্য যেকোনো ধর্মের অবমাননা হলেই হই হই রই রই পড়ে যায়। দালাল মিডিয়া, কথিত সুশীল সমাজ, কথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ে। দোষীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা হয়। কিন্তু ইসলামের বেলায়ই সবাই নিশ্চুপ থাকে।

জানি এর কোনো বিচার হবে না। আজ পর্যন্ত এই ধরণের কোনো ঘটনারই কোনো দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয় নি। উল্টো ইসলাম অবমাননাকারী অনেক ব্লগারদেরই রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। তাদের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সেইফ প্যাসেজ নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদেরকে জনরোষ থেকে বাঁচানোর জন্য গ্রেফতার করা হলেও পরে তারা জামিন নিয়ে ঠিকই বুক ফুলিয়ে চলা ফেরা করেছে।

এই ঘটনারও বিচার হবে না। আর আমরা সাধারণ মুসলিমরা প্রতিবাদ ছাড়া কিই বা করতে পারি। আমাদের হাতে পায়ে তো গোলামীর জিঞ্জির। আল্লাহ এই নাপাক মুশরিকদের মাটিতে ধ্বসিয়ে দিক। তাদের উপর তাঁর আজাব গজবকে বাড়িয়ে দিন, তাদের উপর মহামারীকে প্রবল করুণ। আমাদেরকে তাদের দাসত্ব থেকে মুক্ত করুন। আমিন

পঠিত : ৭৫৭ বার

মন্তব্য: ০