Alapon

আওয়ামী লীগের সংখ্যালঘু রাজনীতি



বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রক্রিয়া ভয়াবহভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। মিথ্যা ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। এর ধারাবাহিকতায় এখানের রাজনীতি কলুষিত। বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে একনায়কতন্ত্র আর অপরাজনীতির চারণভূমি বাংলাদেশ। গণতন্ত্র যেন প্যারালাইসিস হয়ে আছে। ১৯৯১, ১৯৯৬ (২য় নির্বাচন) ও ২০০১ এর তিন নির্বাচন ছাড়া এদেশে বাকীসব হয়েছে ভাঁওতাবাজির নির্বাচন।

এদেশে অপরাজনীতির আরেক নাম সংখ্যালঘু। নানান অজুহাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা মামলা আর নির্যাতন যেন সংবিধান হয়ে উঠছে আওয়ামী লীগের রাজনীতির। আওয়ামী লীগ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দিয়েছে ও দিচ্ছে। তার কারণ কখনও নির্বাচনে জেতা তো কখনও ক্ষমতায় থাকা। কখনও ব্যর্থতা ঢাকা, তো কখনও মানুষের মনোযোগ বিঘ্নিত করা।

কথিত ‘সংখ্যালঘুবান্ধব’ ও হিন্দুদের আস্থার প্রতীক আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে একনাগাড়ে প্রায় সাড়ে ১২ বছর ক্ষমতায় আছে। দেশে বরাবরই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও এখন মূলত রাজনৈতিক অস্থির অবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এ ধরনের ঘটনা। বাংলাদেশ যতই তার অসাম্প্রদায়িক চরিত্র থেকে সরে যাচ্ছে, ততই ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা-নির্যাতন বাড়ছে৷ আর তার পৃষ্ঠপোষক হয়ে উঠছে সাম্প্রদায়িকতার প্রতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার।

আওয়ামীলীগের পকেট সংগঠন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সূত্র অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল ১,৪৭১ টি৷ ২০১৭ সালে তা কমে হয়েছিল ১,০০৪টি। ২০১৮ সালে আরও কমে যায়। ঘটেছিল ৮০৬টি সহিংসতার ঘটনা।

কিন্তু ২০১৯ সালে সারাদেশে ৩১ হাজার ৫০৫ জন ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হন। নয় হাজার ৫০৭ একর ভূমি জবরদখল করা হয়। ওই বছর সারাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, হত্যা, নির্যাতনসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১০৮টি হত্যা, ১১১টি হত্যার হুমকি, ৮৮ জনকে হত্যাচেষ্টা, নির্যাতনে ৪৮৪ জন আহত, ৭৬ জনকে অপহরণ, ৪২ জনকে ধর্ষণ, ১৮ জনকে গণধর্ষণ, ২৬ জন নিখোঁজ, ১৪৮ জনকে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ, ১৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা চাঁদাবাজি, ২৭৭টি মন্দির লুট, ৩৮৭টি বসতবাড়িতে হামলা, ৯২টি অগ্নিসংযোগ, ৭৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ৪৩৪টি পরিবারকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ, ৬৪১ পরিবারকে দেশত্যাগের হুমকি, ৩৭৯টি পরিবারকে দেশত্যাগে বাধ্যকরণ, ১০৯ জনকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার, ৩৬ জনকে মিথ্যা রাজাকার বানানো ইত্যাদি।

২০২০ সালে আরও বেড়ে যায় নির্যাতনের ঘটনা। হত্যা, হামলা, জমি দখল, অপহরণ, ধর্মান্তর, ধর্ষণ, উচ্ছেদ, দেশত্যাগে বাধ্য করা সহ ৪০ হাজার ৭০৩টি ঘটনা ঘটেছে। হত্যার শিকার হয়েছে ১৪৯ জন, ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৩ জন, দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে দুই হাজার ১২৫ পরিবারকে। এক বছরে হত্যার শিকার হয়েছে ১৪৯ জন। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৩ জন এবং দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে দুই হাজার ১২৫ পরিবারকে। ৩৭০টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

এদিকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা কাজল দেবনাথ বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় মামলার হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। বাকী ঘটনায় সরকারি দলের লোকদের ভয়ে মামলা পর্যন্ত হয় না।

শাসক দলের পরিচিতি বা সমর্থন ছাড়া সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়ে পার পাওয়ার সুযোগ খুবই কম৷ নেই বললেই চলে৷ তাই এই ধরনের অপরাধ যারা করে, তারা সব সময়ই রাজনৈতিক দলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকতে চায়৷ যেহেতু এই মূহূর্তে বাংলাদেশে শাসক দলের বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির তেমন কোনো অবস্থান নেই বললেই চলে, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা সরকারি দলের লোকেরা ছাড়া কেউ করতে পারে না।

এটা শুধু অনুমান নয়, বিগত দিনগুলোতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো এটাই নির্দেশ করে। প্রতিটি ঘটনায় আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা আদালত কর্তৃক প্রমাণিত। এর সত্যতা দেখতে পাওয়া যায় আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক মনোনয়নে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ভাংচুর মামলার চার্জশিটভুক্ত তিন আসামি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এই তিন জন উপজেলার হরিপুর, পূর্বভাগ ও সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

গত মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় দেখা যায়, নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে হরিপুরে হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পূর্বভাগ ইউনিয়ন থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের ভাই মো. আক্তার মিয়া ও নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হাসেমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তারা তিন জনই হামলার পর হওয়া মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।

এই তিন জনকে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে নাসিরনগর ‍উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আখিঁসহ মামলার আসামিদের মনোনয়ন দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এই নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’

ফেসবুকে ইসলাম অবমাননার কারণে ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলার হরিণবেড় গ্রামের এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে একদল যুবক। পরদিন এলাকায় মাইকিং করে উপজেলা সদরে পৃথক দুইটি সমাবেশ থেকে ১৫টি মন্দির, হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক ঘরবাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর ৪ নভেম্বর ভোরে ও ১৩ নভেম্বর ভোরে আবারও উপজেলা সদরে হিন্দুদের অন্তত ছয়টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া মোট আটটি মামলায় দুই হাজারেরও বেশি লোককে আসামি করা হয়। এসব মামলায় ১২৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছিল পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘটনার প্রায় ১৩ মাস পর ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর উপজেলা সদরের গৌরমন্দির ভাংচুর মামলায় নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম, পূর্বভাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আক্তার মিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখিসহ ২২৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে ২২৮ জনের মধ্যে হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখিকে ঘটনার ‘মূল হোতা’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সেসময় দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়ে এই ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিব্রত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। এরপর ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় তাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল। যদিও পরে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে স্বপদে ফিরেছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি।

ইতিহাস ঘাটলে খুব সহজেই আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা বোঝা যাবে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল বরিশালে। এটিকে প্রথমে মিডিয়া হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হিসেবে প্রচারের চেষ্টা চালায়। ওই সময় “বরিশালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৮ ঘরে আগুন, আটক ২৫” শিরোনামে অনলাইন নিউজ সাইট রাইজিং বিডির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, “বরিশাল সদর উপজেলার খানপুরা গ্রামে দুই কলেজ ছাত্রকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের আরো তিন বসত ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ মুসলিম জনতা। এনিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মন্দির ও ঠাকুর ঘরসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৮টি বসত ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।”

অথচ ঘটনার এক সপ্তাহ পর কালের কন্ঠের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে, প্রকৃত তথ্য। ২১ নভেম্বর ২০১৩ কালের কণ্ঠ “বরিশালে মন্দির ও বাড়িতে আগুন দেয় ছাত্রলীগকর্মীরা!” শিরোনামের প্রতিবেদনে লেখে, “বরিশাল নগরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী নৌকায় করে সদর উপজেলার চরকাউয়ায় গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়ি ও মন্দিরে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানেও এমন কয়েকজনের নাম জানা গেছে, তারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যে খুনের ঘটনার জের ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বী ওই পরিবারগুলো হামলার শিকার হয়েছে সেই পারভেজের ভাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি খুনের ঘটনার পর ওই রাতে চরআইচা এলাকায় ছাত্রলীগের একজন নেতাও গিয়েছিলেন। সেখানে হামলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আসল অপরাধীরা ধরা না পড়ায় একই এলাকায় আবারো একই ধরনের ঘটনা ঘটে। ২৫ নভেম্বর, ২০১৩ কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনে বলা হয়, “জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বরিশালের পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে এক হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় গৌরনদী পৌরসভার দক্ষিণ বিজয়পুর এলাকার অধিবাসী রতন ভৌমিকের বাড়িতে এই হামলার ঘ্টনা ঘটে। হামলাকারীরা এ সময় ওই বাড়িতে মনসা মন্দিরের নির্মাণাধীন মনসা প্রতিমা ভাঙচুর ও ২ নারীকে আহত করে বাড়িতে তিনটি সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়। রতন ভৌমিক জানান. গৌরনদী পৌরসভার দক্ষিণ বিজয়পুর এলাকায় তার পৈত্রিক বাড়ির ২ একর ৭৭ শতক জমি স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ আহম্মেদ ও তার স্বজনরা দাবি করে আসছেন। এ নিয়ে বরিশাল আদালতে দেওয়ানি মোকদ্দমা বিচারাধীন রয়েছে।”

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, পরিস্থিতি অ্যালার্মিং৷ ২০১১ সালের শুরুতেও আমরা দেখেছি, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা-নির্যাতন বেড়ে যায়৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, সংখ্যালঘু নির্যাতন-নীপিড়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন সব সময়ই উদাসীন৷ এর একটা কারণ হয়তো ঘটনাগুলাতে অনেক সময়ই শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত বা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেড়ে ওঠা লোকজনই এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে৷

আমি শুধু বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের পরিসংখ্যান বলেছি মানে এই নয় যে, এই দেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা খুবই খারাপ। এরা অপরাজনীতি সৃষ্টিকারী। এরা মিথ্যা ঘটনা প্রচারকারী। তাদের পরিসংখ্যানে প্রচুর মিথ্যা ঘটনা উল্লেখ আছে। সেই সাথে প্রচুর ভিন্ন ঘটনাকে সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে উল্লেখ করা আছে। যেমন তারা আওয়ামীলীগের কোন্দলে কোনো হিন্দু কর্মী আহত হলে সেই ঘটনাকে সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে প্রচার করে। কোনো হিন্দু চুরিতে ধরা খেয়ে এরেস্ট হলেও সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে প্রচার করে। এমনকি শিবির সন্দেহে কোপ খাওয়া বিশ্বজিৎ দাসের ঘটনাকে তারা সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে দেখিয়েছে। এছাড়া রানা দাশ গুপ্তরা দেশের যে কোনো স্থানেই ও যে কোনো মামলাতে কোনো হিন্দু জড়িত হলেই সেটাকে সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে দেখায়। মামলার বাদি হিন্দু হলে তার দাবি অনুসারে ঘটনাকে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছে বলে উপস্থাপন করে। আবার মামলার বিবাদি হিন্দু হলে সেই ঘটনাকে 'মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন' হিসেবে উপস্থাপন করে।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের পরিসংখ্যান উল্লেখ করেছি শুধু এটা বোঝানোর জন্য যে, আওয়ামীলীগের পকেট সংগঠনের দাবি অনুসারেই হিন্দুরা আওয়ামীলীগ আমলে ভালো নেই। বরং অপরাজনীতির শিকার হচ্ছে। রিসেন্ট সবক'টি ঘটনার সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ জড়িত। এটা এবার সঠিকভাবে প্রচার পেয়েছে। আগেই প্রত্যেকটি ঘটনাতে বিএনপি-জামায়াতকে ব্লেইম দেওয়া হয়েছে। তাদের শত শত নেতাকর্মীকে এরেস্ট করা হয়েছে। এবার সেটা ব্যপকভাবে দেখা যায় নি।

পঠিত : ৪৩৪ বার

মন্তব্য: ০