Alapon

যে দোয়া ১ বার পাঠ করলে রাত দিন অনবরত জিকিরের চেয়েও বেশি সওয়াব পাবেন...



আবূ উমামাহ আল-বাহিলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি বসা অবস্থায় আমার ঠোঁট নাড়াচ্ছিলাম, এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আসলেন। তিনি (সাঃ) আমাকে বললেন: তোমার ঠোঁট নাড়াচ্ছো কেন? আমি বললাম, আল্লাহর যিকির করছি; হে আল্লাহর রাসূ্ল! তিনি (সাঃ) বললেন : আমি কি তোমাকে এমন কিছু জানাবো না, যখন তুমি তা বলবে তোমার রাত-দিনের অনবরত যিকির পাঠও এর সওয়াব পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না? আমি বললাম, হাঁ, বলুন। রাসুল (সাঃ) তখন এই দোয়া শিখিয়ে দিলেন


اَلْحَمْدُ لِلَّه عَدَدَ مَا أحْصَى كِتَابُهُ، وَالْحَمْدُ لِلَّه عَدَدَ مَا فِي كِتَابِهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّه عَدَدَ مَا أحْصَى خَلْقُهُ، وَالْحَمْدُ لِلَّه عَلَي ماَ فِي خَلْقِهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّه مِلْءَ سَمَاوَاتِهِ وَأرْضِهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّه عَدَدَ كُلِّ شَيْءٍ وَالْحَمْدُ لِلَّه مِلْءَ كُلِّ شَيْءٍ


سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا أحْصَى كِتَابُهُ، وَ سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا فِي كِتَابِهِ، وَ سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا أحْصَى خَلْقُهُ، وَ سُبْحَانَ اللَّهِ عَلَي ماَ فِي خَلْقِهِ، وَ سُبْحَانَ اللَّهِ مِلْءَ سَمَاوَاتِهِ وَأرْضِهِ، وَ سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ كُلِّ شَيْءٍ وَ سُبْحَانَ اللَّهِ مِلْءَ كُلِّ شَيْءٍ


اَللهَ أَكْبَرعَدَدَ مَا أحْصَى كِتَابُهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ عَدَدَ مَا فِي كِتَابِهِ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ عَدَدَ مَا أحْصَى خَلْقُهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ عَلَي ماَ فِي خَلْقِهِ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ مِلْءَ سَمَاوَاتِهِ وَأرْضِهِ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ عَدَدَ كُلِّ شَيْءٍ وَاللَّهُ أَكْبَرُ مِلْءَ كُلِّ شَيْءٍ


উচ্চারনঃ “আলহামদুলিল্লাহি আদাদা মা আহস্ কিতাবুহ্, ওয়াল হামদুলিল্লাহি আদাদা মা ফী কিতাবিহ্, ওয়াল হামদুলিল্লাহি আদাদা মা আহস্ খলকুহ্, ওয়াল হামদুলিল্লাহি আ’লা মা ফী খলক্বিহ্, ওয়াল হামদুলিল্লাহি মিলআ সামাওয়াতিহি ওয়া আরদিহ্, ওয়াল হামদুলিল্লাহি আদাদা কুল্লি শাই-ই, ওয়াল হামদুলিল্লাহি মিলআ কুল্লি শাই-ই


“সুবহানাল্লহী আদাদা মা আহস্ কিতাবুহ্, ওয়া সুবহানাল্লহী আদাদা মা ফী কিতাবিহ্, ওয়া সুবহানাল্লহী আদাদা মা আহস্ খলকুহ্, ওয়া সুবহানাল্লহী আলা মা ফী খলক্বিহ্, ওয়া সুবহানাল্লহী মিলআ সামাওয়াতিহি ওয়া আরদিহ্, ওয়া সুবহানাল্লহী আদাদা কুল্লি শাই-ই, ওয়া সুবহানাল্লহী মিলআ কুল্লি শাই-ই,


“আল্ল-হু আকবার আদাদা মা আহস্ কিতাবুহ্, অল্ল-হু আকবার আদাদা মা ফী কিতাবিহ্, অল্ল-হু আকবার আদাদা মা আহস্ খলকুহ্, অল্ল-হু আকবার আলা মা ফী খলক্বিহ্, অল্ল-হু আকবার মিলআ সামাওয়াতিহি ওয়া আরদিহ্, অল্ল-হু আকবার আদাদা কুল্লি শাই-ই, অল্ল-হু আকবার মিলআ কুল্লি শাই-ই


অর্থঃ “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য তার কিতাব যা গণনা করেছে সেই পরিমাণ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য তার কিতাব যা গণনা করেছে তা পূর্ণ করে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য তার সৃষ্টি যা গণনা করেছে সেই পরিমাণ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য তার সৃষ্টির মধ্যে যা কিছু আছে তা পূর্ণ করে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য তার আসমান ও জমিন পূর্ণ করে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য সকল কিছুর সংখ্যার সমপরিমাণ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য সব কিছুর উপর।


“আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার কিতাব যা গণনা করেছে সেই পরিমাণ, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার কিতাব যা গণনা করেছে তা পূর্ণ করে, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার সৃষ্টি যা গণনা করেছে সেই পরিমাণ, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার সৃষ্টির মধ্যে যা কিছু আছে তা পূর্ণ করে, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার আসমান ও জমিন পূর্ণ করে, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি সকল কিছুর সংখ্যার সমপরিমাণ, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি সব কিছুর উপর।


“আমি আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করছি তার কিতাব যা গণনা করেছে সেই পরিমাণ, আমি আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করছি তার কিতাব যা গণনা করেছে তা পূর্ণ করে, আমি আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করছি তার সৃষ্টি যা গণনা করেছে সেই পরিমাণ, আমি আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করছি তার সৃষ্টির মধ্যে যা কিছু আছে তা পূর্ণ করে, আমি আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করছি তার আসমান ও জমিন পূর্ণ করে, আমি আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করছি সকল কিছুর সংখ্যার সমপরিমাণ, আমি আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করছি সব কিছুর উপর।


(ত্ববারানী কাবীর হা/৭৫৮৭, ৮০৪৭, দুটি সানাদে হাদিসের শব্দাবলী তার। আলবানি হাদিসটিকে সহিহ লিগাইরিহি বলেছেন সহীহ্ আত তারগিব হা/১৫৭৫। আবু উমামাহ হতে হাদিসটা কিছুটা ভিন্ন শব্দে বর্ণীত হয়েছে আহমাদ, ইবনু আবুদ দুনিয়া, নাসায়ি, ইবনু খুজাইমা, ইবনু হিব্বান এবং হাকিমে। ইমাম হাকিম বলেনঃ বুখারি ও মুসলিমের শর্তে সহিহ। আলবানি বলেছেন সহিহ, সহিহ আত তারগিব হা/১৫৭৫- আহসানউল্লাহ বিন সানাউল্লাহ রচিত- কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে ফাজায়েলে আমাল বইয়ের ৭৮২ নাম্বার হাদিস)


প্রতিদিন যে কোন সময় পড়তে পারেন, ১বার ই পড়তে হবে এমন নয়, যতবার খুশী পড়তে পারেন তবে দিনে কমপক্ষে ১ বারও যদি এটা পড়েন তবে সারাদিন অনবরত জিকিরের সওয়াব পেয়ে যাবেন ইন শা আল্লাহ তবে দিনে রাতে অন্য যেগুলো সুন্নাতি জিকির আজকার রয়েছে সেগুলো আবার ছেড়ে দিবেন না যেন, জান্নাত পাওয়ার জন্য যতবেশি পাথেয় যোগাড় করতে পারব ততই আমাদের জন্য ভালো সুতরাং প্রতিদিন ১বার অন্তত পড়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

- সংগৃহিত

পঠিত : ২৬৮ বার

মন্তব্য: ০