Alapon

ডা. মুরাদের মতো মানুষেরা রাজনৈতিক নেতা হয় যেভাবে...?



ডা. মুরাদ হাসান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী! ২০১৯ সাল থেকে তিনি এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অথচ ২০২১ সালের পূর্বে মিডিয়ায় তাকে নিয়ে খুব একটা সংবাদ করতে দেখা যায়নি। মূলত, তিনি নিজেকে সংবাদের আইটেম হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেননি। যার কারণে প্রথমে পরিবার ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পরও ময়দানে নিজেকে খুব একটা মেলে ধরতে পারেননি। ২০২১ সালের শেষ দিকে এসে ডা. মুরাদ নিজেকে সংবাদের আইটেম বানাতে সক্ষম হলেন!

ডা. মুরাদ প্রথমে আলোচনায় আসলেন রাষ্ট্রীয় ধর্ম নিয়ে। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম নেই। কাজেই বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রীয় ধর্ম ‘ইসলাম’ ধাকার সুযোগ নেই। এই বিষয় নিয়ে তিনি একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য প্রদান করতে থাকেন। আর নিজের মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়েও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। আর এই বক্তব্য দিয়েই তিনি মূলত প্রথমবারের মতো সংবাদ পত্রিকার শিরোনাম হবার সৌভাগ্য অর্জন করেন! এরপর থেকে ডা. মুরাদের পাগলামো চলছে!

ডা. মুরাদ শেষ যে দুটি পাগলামো করে, তার একটি হলো তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীণ মন্তব্য। আর দ্বিতীয়ত, চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে তার একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। সেই ফোনালাপে মুরাদ বলেন, তিনি পুলিশ, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই কে দিয়ে মাহিয়া মাহিকে তুলে আনবেন এবং রেপ করবেন!

ডা. মুরাদের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করলে মনে হবে, এগুলো কোনো সুস্থ মানুষের কার্যকলাপ হতে পারে না। কিন্তু ডা. মুরাদ সুস্থ। তিনি সুস্থ মস্তিষ্কে এসব কাজ করছেন। কারণ, এটাই মূলত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বৈশিষ্ট। এই বৈশিষ্টগুলো প্রকাশ পায় না, কিন্তু ডা. মুরাদ এগুলোকে প্রকাশ করে দিয়েছে। সে ক্ষমতার ভারসাম্য বুঝতে না পেরে ভারসাম্যহীণ আচরণ করতে শুরু করেছে। আর তার এসব অসালীণ আচরণকে সে জাস্টিফাই করতেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম নিয়ে। অর্থাৎ ডা মুরাদের শারীরিক ভাষা বলছে, আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা এসব জানেন। আর তার কাছে এগুলো নতুন কিছু নয়। তাই হাসিনার অবাক হওয়ারও কিছু নেই।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, মুরাদের মতো থার্ড ক্লাস মানুষগুলা দেশের মন্ত্রী হচ্ছে কীভাবে?

মূলত ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে, ভোটারবিহিণ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাটাই ধ্বংস করে ফেলেছে। যার কারণে এখন আর কেউ রাজনীতির ময়দানে পরীক্ষা দিয়ে নেতা হয় না। এখন নেতা হয় তেলবাজি করে এবং পয়সা খরচ করে। পয়সা খরচ করলেই যদি জাতীয় নেতা হওয়া যায়, তাহলে রাজনীতির মাঠের কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হওয়ার কোনো মানেই হয় না। যার ফলে শুধু পকেটের পয়সা খরচ করে মুরাদের মতো গর্ধবেরা আওয়ামী লীগের মতো একটি দলের নেতা হয়ে যাচ্ছে। এবং পরিশেষে সরকারের মন্ত্রীও হয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ রাজনীতির ময়দান ধ্বংস করে শুধু বিএনপিকেই ধ্বংস করেনি, একই সাথে তারা নিজেদের রাজনীতিকেও হত্যা করেছে!

পঠিত : ৪১৫ বার

মন্তব্য: ০