Alapon

বিপ্লবের সবুজসংকেতঃ মুরাদের পলায়ন

বাংলাদেশের রাষ্ট্র– ব্যবস্থা যখন উন্নয়নের ঢামাঢোলে জয়জয়কার করছে ঠিক সে- সময়ই কোনো এক অদৃশ্য কারণে জনমনে ক্ষোভের অগ্নিশিখা দাউদাউ করে জ্বলছে। দেশ এগিয়ে যাওয়ার সাথে সমান তালে এগিয়ে চলেছে দূর্নীতির চাকাও। দূর্নীতি আর অনিয়মের আঁকড়া এখন পঞ্চদশ-বর্ষী এই রাষ্ট্র-টি।

দিন বদলের পরিক্রমায় ইস্যুর পরে ইস্যু, সংকটের সুরাহা হতে না হতেই গতিপথ পাল্টে ঘটনা প্রবাহিত হচ্ছে অন্যদিকে। সংকট নিরসনের দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণতা, অনাচার, অপরাধ, বৈষম্য, দূর্নীতি ইত্যাদি নতুন বিপ্লবের সংকেত দিচ্ছে। এর মূল কারণ উদ্ঘাটন করতে গেলে অযোগ্যতা, সেচ্ছাচারিতাকেই পাওয়া যায়। যিনি নিজের খেয়াল খুশি মতো তার অধঃস্তন সবকিছু পরিচালনা করার মতো ধৃষ্টতা দেখান তিনিই স্বেচ্ছাচার বা স্বৈরাচারী। এমনই একজন সময়ের আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি ডাঃ মুরাদ হাসান।

তিনি ব্যক্তিগত ধৃষ্টতার কারণে পদবী ও ক্ষমতার বলে জাতির সাথে চরম ঔদ্ধত্য সূলভ আচরণ করেছেন। সম্প্রতি তার চলন- বলনে দেশবাসী স্পষ্ট বুঝতে পেরেছেন যে, তিনি ব্যক্তি হিসেবে প্রচন্ড অহংবাধী ও হীনমন্য।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুনজরে পড়ায় দয়াবৎসল্য হয়ে তাকে প্রতিমন্ত্রীর পদে স্থলাভিষিক্ত করেন। ঐ যে, কথায় বলে, 'কুকুরের পেটে ঘি হজম হয়না।' তার স্বভাবটাও ঠিক তেমনি। ডাঃ মুরাদ হাসানের মতো অযোগ্য, স্ত্রৈণ (নারী বিলাসী), হীনমন্য, সর্বেসর্বা ভাবাপন্ন শাসকের পক্ষে এ গুরুদায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয়নি। বিধায় তার পতন অনিবার্য হয়। উটপাখি যেমন মরুভূমিতে ঝড়ের কবল থেকে নিজেকে বাঁচাতে বালির মধ্যে মুখ গুজে দেয় তেমনি পদ-পতিত প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান সংকটময় অবস্থা থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য ক্ষমতাচ্যুত হয়ে রাতের আধারে দেশবাসীর অগোচরে কানাডা পলায়ন করে।

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর এরূপ ক্ষমতাচ্যুত্তী, ইন্দুরের মতো বিদেশ পলায়নে অযোগ্য, স্বৈরাচারী, দূর্নীতিপরাণ শাসকদের দুর্বলতার প্রকাশ পায়। শাসকের এই দুর্বলতায় বিক্ষুব্ধ জনগণ অত্যন্ত সাহসী হয়ে উঠবেন। এই শঠ শাসকদের উচ্ছেদ করে নিজেদের কাঁধে তুলে নিবেন শাসনভার।

'পদ-পতিত মুরাদ হাসানের বিড়ালের ন্যায় পশ্চাৎপদতা এক নতুন বিপ্লবের সবুজ সংকেত।'

পঠিত : ২৯৮ বার

মন্তব্য: ০