Alapon

রাসুল (সঃ) যেভাবে সমালোচনার মোকাবেলা করতেন


কোনো একজন মানুষ যথেষ্ট কোমল, খুবই ভদ্র, শান্ত এবং বিনয়ী; হাজারো কথায়ও যিনি কর্ণপাত করেন না, যেকোনো সমালোচনাকেই হাসিমুখে নির্দ্বিধায় যিনি স্বাগত জানায়; এমন মানুষটির জন্যও কখনো কখনো কিছু কিছু সমালোচনার মোকাবেলা করাটা দেখা যায় কঠিন থেকে কঠিন হয়ে ওঠে। হয়ে ওঠে দুঃসাধ্য। সমালোচনার তীক্ষ্ণ তীর তার জীবনকে বিষিয়ে তুলতে পারে। তার জীবনজুড়ে নামিয়ে আনতে পারে আঁধার-অমানিশা । কী সেই সমালোচনা, যা মানুষের জীবনের ওপর এতোটা প্রভাব ফেলতে পারে? তা হচ্ছে অন্যায় সমালোচনা। আবার হতে পারে ন্যায্য সমালোচনায়-ই, কিন্তু সেটা করা হচ্ছে ভুল পদ্ধতিতে তথা ভুল পদ্ধতির সমালোচনা।
অন্যায় কিংবা ভুল পদ্ধতির সমালোচনা মানুষের হৃদয়ে কখনো কখনো ভয়ংকর-গভীর এক বিষাক্ত ক্ষতের সৃষ্টি করে। নিকটজনদের সাথে সম্পর্কের ফাটল তৈরি করে । মন-মানসিকতা থেকে শান্তি-স্বস্তি নামক বস্তুগুলোকে দূর করে ফেলে।
এই যে ভুল পদ্ধতির সমালোচনা, এটা আল্লাহর রাসূলেরও করা হতো। অন্যায় সমালোচনার তীক্ষ্ণ তীরে এই মহান মানবকেও বিদ্ধ করা হতো। তিনি সেসব অবাঞ্ছিত সমালোচনায় কি মুষড়ে পড়তেন? ভেঙে যেতেন ? নাকি স্বাভাবিকভাবেই মোকাবেলা করতেন?
আমরা তাঁর মহান জীবনী থেকে যতোটুকুন জানি, তা হচ্ছে সমালোচনাকে রাসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম খুবই চমৎকারভাবে বিনয়ের সাথে গ্রহণ করতেন। শুধু বিনয়ের সাথে গ্রহণের মধ্যেই তিনি সীমাবদ্ধ থাকতেন না, বরং এই যে অবাঞ্ছিত সমালোচনা, এই সমালোচনা থেকে ইতিবাচক ফলাফলও বের করে আনতেন। নেতিবাচক সমালোচনা থেকে ইতিবাচক ফলাফল অর্জনের ক্ষেত্রেও মহানবি মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আমাদের জন্যে এক অনন্য উদাহরণ।

একদিনের কথা, জায়েদ ইবনে সানা নামক এক ইহুদি ধর্ম-গুরুর কাছ থেকে রাসূলে আরাবি মুহাম্মাদ (সা.) কিছু অর্থ ঋণ নিলেন। সে ব্যক্তি মহানবি (সা.)-এর কাছে ঋণ শোধ করার নির্ধারিত সময়ের তিন দিন পূর্বে এলো ঋণের অর্থ আদায়ের জন্য। উক্ত ইহুদি শুধু এসেই থেমে থাকেনি। সে নবি (সা.)-এর কাঁধ বরাবর তাঁর চাদর ও জোব্বা ধরে খুব জোরে টান দিলেন এবং তিক্ত ভাষায় বললো, আল্লাহর কসম! হে বনী আব্দুল মুত্তালিব! তোমরা তো এক টালবাহানাকারী গোত্র। আমার আগে থেকেই জানা আছে, তোমাদের এই টালবাহানার স্বভাব! ঋণ নিলে তোমাদের আর কোনো খবর থাকে না! তুমি আমার পাওনা পরিশোধে টালবাহানা করছো।’’

এ সময়ে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে ছিলেন উমার ইবনুল খত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু। তিনি উক্ত ইহুদি যাজকের এমন বাজে আচরণ দেখে ভীষণভাবে ক্রুদ্ধ হলেন। তাকে শাসিয়ে ভর্ৎসনা করলেন। বললেন, ‘হে আল্লাহর দুশমন, তুমি আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর সাথে এমন আচরণ করছো? যিনি তাকে সত্যসহকারে পাঠিয়েছেন, তাঁর কসম খেয়ে বলছি, যদি বেহেশত হারানোর আশঙ্কা না থাকতো, আমি তরবারি দিয়ে তোমার গর্দান থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলতাম। ’

রাসূলুল্লাহ (সা.) উমরের এমন আচরণও বা প্রতিক্রিয়াও কি মেনে নিয়েছেন ? নাহ, তিনি তা-ও মেনে নেননি। বরঞ্চ তিনি উমর (রা.)-কে বললেন, এই মানুষটি তোমার কাছ থেকে উত্তম আচরণ লাভের যোগ্য। তোমার উচিত ছিলো আমাকে দ্রুত ঋণ পরিশোধের জন্য তাগাদা দেয়া এবং তাকে তার দাবি নম্রভাবে পেশ করার জন্য বলা। এরপর ঋণদাতার দিকে ফিরলেন রাসূলুল্লাহ (সা.)। বললেন, ঋণ শোধ করার নির্ধারিত সময়ের এখন পর্যন্ত তিন দিন বাকি আছে। এবার তিনি উমর (রা.)-এর দিকে ফিরলেন, এবং তাঁর পক্ষ ঋণের অর্থ শোধ করে দিতে বললেন । শুধু কি পাওনা অর্থ-ই পরিশোধ করে দিতে বলেছেন? নাহ, সাথে এ-ও বললেন যে, জায়েদের যা প্রাপ্য, তাকে তার চেয়েও বেশি দাও। বেশি দিতে বলার কারণ হচ্ছে জায়েদ বিন সানা’র প্রতি তাঁর হুমকির ক্ষতিপূরণ। (সুনানে কুবরা বায়হাকী, হাদীস ১১২৮৪; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ২৮৮)
আমরা জানি যে আল্লাহর রাসূল কখনো নিজ স্বার্থে কারো থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করতেন না। কেবল আল্লাহ সুবহানাহু ওতাআলার সীমা কোনোভাবে লঙ্ঘন করা হলে তখনই তাঁর থেকে ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটতো, এবং নিতেন প্রতিশোধও । আমরা উম্মুল মুমিনীন আয়িশা (রা.)-এর মুখেই তা জানতে পারি। তিনি বলেছেন, রাসূল (সা.) কখনো নিজের জন্য প্রতিশোধ নেননি; যে পর্যন্ত না আল্লাহতায়ালার মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। আল্লাহর সীমা লঙন হলে তখন তিনি আল্লাহর স্বার্থে প্রতিশোধ নিতেন। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪২৯৬)

এই যে মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের সাথে ওই ইহুদি আলিমের এমন আচরণ, তাকে এমন তীর্যক ভাষায় বাজে ও নির্দয় সমালোচনা, আমরা তো দেখলাম এতেও কিন্তু তিনি ক্রুব্ধ হননি। সমালোচনার মোকাবেলায় সীমালঙনের তো আশ্রয় নিলেন-ই না, বরং বাজে সমালোচনা আর রূঢ় ব্যাবহারের পরিণামে তিনি তাকে আরো উত্তম আচরণ-ই উপহার দিলেন। সমালোচনার ফলাফলকে পজিটিভলি কাজে লাগালেন।
উক্ত ইহুদি জায়েদ বিন সানা আল্লাহর রাসূলকে একভাবে নয়, নানানভাবে কদর্য সমালোচনা করেছে। ব্যক্তিগত অপমান যেমন করেছে তেমনি বংশের উল্লেখ করেও অপমান করেছে। ওথচ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমন নির্দয় সমালোচনা যখন করা হয়েছে, তখন কিন্তু তিনি সহায়-শক্তিহীন দুর্বল ছিলেন না, তিনি ইচ্ছে করলেই তার থেকে কড়ায়গণ্ডায় এমন অবাঞ্ছিত আচরণের প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারতেন, তবুও কিছুই করলেন না। উল্টো আরো এমন উত্তম আচরণ করলেন, যে আচরণে ইহুদি ধর্মপ্রচারক-আলিম হয়ে গেলেন ইসলামের একনিষ্ঠ অনুসারী। (আল-মুজামুল কাবীর তবারানী : ৫১৪৭)

আরো একবার রাসূল (সা.) জিহাদের ময়দান থেকে ফিরে এসে জনগণের মধ্যে সে জিহাদের গণিমত বিলি-বণ্টন করতে শুরু করলেন। আল্লাহর রাসূল প্রথমে এই গণিমতের অংশগুলো দিলেন নওমুসলিমদেরকে, এবং অন্যদের তুলনায় তাদেরকে একটু বেশিই দিলেন। তাদেরকে দেয়ার পরে রাসূলুল্লাহ (সা.) কবি সাহাবি জায়েদ বিন সাবিতকে নির্দেশ দিলেন যেনো আরো কিছু গণিমত সংগ্রহ করে লোকজনকে ডেকে আনে। তিনি আল্লাহর রাসূলের কথামতো কাজ করলেন। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামও সুন্দর উপায়ে বিচক্ষণতার সাথে তা বন্টনের কাজও সম্পাদনা করলেন। কিন্তু আল্লাহর রাসূলের এমন বিচক্ষণ বন্টননীতিতে অনেকেই কনভিন্স হলো না। তারা এর মর্ম উপলব্ধি না করে নিজেদের প্রাপ্যের ব্যাপারে অভিযোগ ওঠালেন। করলেন সমালোচনাও।

সাদ ইবনে উবাদা (রা.) রাসূল (সা.)-এর কাছে গেলেন অভিযোগকারিদের অভিযোগ নিয়ে। তিনি রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামকে বললেন, “হে আল্লাহর নবী! গণিমতের মাল বন্টনের বিষয়ে মদিনার অধিবাসী, আনসারদের এই গ্রুপটি খুবই মর্মাহত। আপনি নিজ স্বজনদের এটা-ওটা দিয়েছেন। এই এই গোত্রগুলোকে বহু উপহার দিয়েছেন। অথচ আনসারদের জন্য কিছুই রাখলেন না।

রাসূল (সা.) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কী মনে করো?” সাদ (রা.) জবাবে বললেন, "হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তো জানেন, আমিও আনসারদের একজন সদস্য।" একথা বলার পর রাসূল (সা.) তাঁকে নির্দেশ দিলেন, তিনি যেনো তাঁর লোকজনকে সাথে করে নিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর সাদ ইবনে উবাদা লোকজনকে এনে রাসূল সল্লল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের সামনে জড়ো করলেন। যখন তারা সবাই আল্লাহর রাসূলের সামনে এসে জড়ো হলেন, তখন তিনি তাদের সাথে কিরূপ আচরণ করলেন? কেমন ব্যবহার করলেন? তাঁর সমালোচনা করা, তাঁর বিরুদ্ধে না জেনে অভিযোগ তোলার কারণে কি তিনি তাদের তিরস্কার করেছেন? ভৎর্সণা করেছেন? নাহ, বরঞ্চ যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাদের মুখোমুখি হলেন, তিনি তাদেরকে ধন্যবাদ দিলেন।
অতঃপর আল্লাহ রব্বুল আলামিনের প্রশংসা করে তিনি তাদের বললেন, আমি জানতে পারলাম তোমরা নাকি আমার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছো। তোমরা যখন পথভ্রষ্ট ছিলে, সঠিক পথ যখন তোমরা জানতেনা, তখন কি আমি তোমাদের কাছে আসিনি? এবং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনও কি তোমাদের সুপথ দেখাননি? তোমরা তো একটা সময়ে গরীব ছিলে; আল্লাহ তোমাদের সাবলম্বী করেছেন । তোমরা কি একে অন্যের শত্রু ছিলে না এবং এখন তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক কি তিনিই তৈরি করে দেননি? তারা হ্যাঁ সূচক জবাব দিলো, এবং বললো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল-ই উত্তম এবং অধিক দয়ালু।
মহানবি (সা.)-এর ওপর আনিত যে অভিযোগ, সে অভিযোগের বিষয় পরিষ্কার করে বললেন, ‘হে আনসারগণ! তোমরা যে দ্বীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত, সেই দ্বীনের দিকে আকৃষ্ট করতেই ওদেরকে আমি তা দিয়েছি। এখন সেই লোকগুলোকে যা দিয়েছি, তোমরা কি দুনিয়ার সে ধনসম্পদেরই আকাঙ্ক্ষা করো? তারা ভেড়া ও উট নিয়ে নিজেদের গৃহে ফিরে যাবে, অপরদিকে তোমরা এখান থেকে ফিরে যাবে আল্লাহর রাসূলকে নিয়ে; এতে কি তোমরা সন্তুষ্ট নও?’
এরপর নবি করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম আরো বলেন, সে আল্লাহর কসম! যাঁর হাতে আমার জীবন, তার কসম খেয়ে বলছি, যদি কোনো হিজরত না ঘটতো, আমি হতাম আনসারদেরই একজন। যদি সবাই একটি উপত্যকার পথ ধরে চলতো, আর আনসাররা চলতো ভিন্ন একটি পথে; তবে আমি আনসারদের উপত্যকার মধ্য দিয়েই চলতাম এবং তাদের পথটাই গ্রহণ করতাম। হে আল্লাহ! আনসারদের প্রতি দয়া করো, তাদের সন্তানাদি এবং তাদের সন্তানদের সন্তানগণের ওপরও করুণা বর্ষণ করো।

রাসূলে কারিম (সা.)-এর এ কথাগুলো শুনে আনসাররা ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন। চোখের পানি দাড়ি বেয়ে বেয়ে গড়িয়ে পড়তে লাগলো তাদের। এরপর তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! হ্যাঁ, আমাদের এ সম্পদ ও সৌভাগ্য নিয়েই আমরা সন্তুষ্ট। আমরা পরিতৃপ্ত। আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।
দেখুন, তারা একজন রাষ্ট্রপ্রধানের বন্টননীতি নিয়ে সমালোচনা করেছে। রহমাতাল্লিল আলামিনের ইনসাফকে সন্দেহ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে । এই যে সমালোচনা, এই যে সন্দেহ, এই যে অভিযোগ উত্থাপন; এর ফলে তিনি কিন্তু তাদের ভর্ৎসনা করেননি। করে গেছেন তাদের সাথে বিনম্র আচরণ । তাদের কাছে নিজ-অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন । অথচ আল্লাহ প্রদত্ত রিসালাতের দায়িত্ব ন্যাস্ত তাঁর ওপরে। তিনি আল্লাহ ছাড়া কারো কাছেই জবাবদিহি করতে বাধ্য নয়। তিনি একজন রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী। সেদিক থেকেও তিনি কারো কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য ছিলেন না। তবুও তিনি তাদের কাছে নিজ কর্মের ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন। তাদেরকে হৃদয়ছোঁয়া কথা দিয়ে নিজের আরো কাছে টেনে নিয়েছেন। সমালোচনার ফলাফলকে পজিটিভলি কাজে লাগিয়েছেন। আনসারদের ক্ষোভের প্রকৃত কারণটি উপলব্ধি করে তিনি তাঁর সাহাবিদের জন্য তাঁর স্নেহ-ভালোবাসা ও দয়ার ডানাটাকে আবারো আরো প্রশস্ত করে বিছিয়ে দিয়েছেন।
হ্যাঁ, এভাবেই রাসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম সমালোচনার মোকাবেলা করতেন। অন্যায় আর অন্যায্য সমালোচনায় তাঁর কলিজাটাকে ক্ষতবিক্ষত করে ফেললেও তিনি ভেঙে যেতেন না। মুষড়ে পড়তেন না। বরং সমালোচককে আরো আপন করে নিতেন। সমালোচনার ফলাফলাকে ইতিবাচকভাবেই কাজে লাগাতেন। সমালোচনাকারী থেকে পজিটিভ ফিডব্যাক আদায় করতেন। তিনি যদি প্রতিক্রিয়াশীল হতেন, ওভার রিয়েক্ট করতেন, কিংবা সামান্য সমালোচনাতেই ভড়কে যেতেন; তাহলে কিন্তু এভাবে পজিটিভ ফিডব্যাক আদায় করতে সক্ষম হতেন না তিনি। আমরাও যদি দ্বীন-দুনিয়ার সকল কাজে সফল হতে চাই, তাহলে আমাদেরও এভাবে আর এরকমই সমালোচনার মোকাবেলা করা উচিৎ। আর রাসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের উম্মত হিসেবে তো আমাদের সব কর্মপন্থা তাঁকে দেখেই নির্ধারণ করা প্রয়োজন। যদি আমরা রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের মতো সমালোচনা মোকাবেলা করতে পারি, তবেই আমাদের কপালে জুটবে ইতিবাচক ফল। নয়তো সমালোচনা থেকে শুরু হবে শত্রুতা ও বিদ্বেষ, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

// রাসুল (সঃ) যেভাবে সমালোচনার মোকাবেলা করতেন//
~রেদওয়ান রাওয়াহা

পঠিত : ৯৫১ বার

মন্তব্য: ০