Alapon

মৌলিক অসৎ গুণাবলি



ইমাম মওদূদী রহঃ সফলতার জন্যে কিছু গুণ অর্জন এবং কিছু গুণ বর্জন করার কথা বলেছেন। এরমধ্যে যেসব গুণাবলি বর্জনের কথা বলেছেন তারমধ্যে কিছু অভ্যেস বা গুণকে মৌলিকভাবে অসৎ বলেছেন। এই অসৎ গুণগুলো যদি কারো ভেতর থাকে, তাহলে সে দল বা সে ব্যক্তি ব্যর্থ হবে। সাফল্যের চূড়ায় আরোহণ করতে পারবেনা সে। সেই মৌলিক অসৎ গুণগুলো কী? মওদূদী রহঃ বলেছেন সেগুলো হচ্ছে-

১. গর্ব-অহংকার
২. প্রদর্শনেচ্ছা
৩. ত্রুটিপূর্ণ নিয়ত

গর্ব-অহংকার :
আসলে নির্মম সত্য হচ্ছে কারো ভেতর যদি গর্ব-অহংকার বাসা বাধে, সে আর মানুষকে মানুষ মনে করেনা। তার কাছে ভালো কোনো উপদেশ ভালো লাগেনা। কোনো ভালো উপদেশ কেউ প্রদান করলেও তার শরীর জ্বলতে থাকে। তার কাছে তা অসহ্য লাগে। সহ্য হয়না । কোথাও যেনো পড়েছিলাম যে, অন্যের উপদেশ সহ্য করতে না পারার নামই হলো অহংকার!
এই যে উপদেশ সহ্য করতে না পারার মানসিকতা, এর কারণ কী? কারণ হচ্ছে উক্ত ব্যক্তি নিজেকে অন্যের চেয়ে উত্তম এবং অন্যকে তার চেয়ে অধম মনে করে। তাই তো সে অপরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে তৃপ্তি পায়।
সে ব্যক্তি সর্বদা নিজের বড়ো আর বীরত্বই শুনতে চায়। কেউ ভালোবেসে তার দুর্বলতা ধরিয়ে দিলেও সে তা মানতে পারেনা।
এভাবেই সে নিজেকে অবনতির নীচুস্তরে নামিয়ে নেয়। নিজের অহংকারের দরুন সে ধীরে ধীরে ইবলিশের কাতারে কখন যে চলে যায়, তা টেরও পায় না। উপলব্ধিও করতে পারেনা। এভবাবেই সে নিজের সময়-শ্রম দিয়ে করা আমলগুলোকে বিনষ্ট করে ফেলে।

প্রদর্শনেচ্ছা :

এটা হচ্ছে এক স্মার্ট ব্গুদণ। সে যখন-তখন, যেই সেই বিষয়েরই প্রদর্শনের মনোভাব রাখে। যতো কাজই করুক না কেনো, সব কাজেরই উদ্দেশ্যই যেনো বাহবা পাওয়া, অন্যের প্রশংসা পাওয়া। অপরের সামনে নিজের কর্মতৎপরতাকে উপস্থাপন করে মানুষের সন্তোষ অর্জনের চেষ্টা করা। এভাবে এবং এই মনোভাবের কারণেই একজন মানুষের কাজগুলো নিরেট আল্লাহর জন্যে না হয়ে হয় অন্যদের সামনে উপস্থাপনের জন্যে। তখন আল্লাহর সন্তুষ্টির তুলনায় মানুষের সন্তুষ্টিই বড়ো হয়ে দেখা দেয়।

ত্রুটিপূর্ণ নিয়ত :
নিয়তের ত্রুটি তো হচ্ছে এক নীরিহ বদ গুণ। এটার জন্যেই একজন মানুষের হাজারো সময় শ্রম আর কষ্টের আমলগুলো নিমিষেই নিঃশেষ হয়ে যায়।
এভাবে করেই একজন মানুষ ব্যররথতার চোরাবালিতে তলিয়ে যেতে থাকে। আখেরাতের পাশাপাশি একজন মানুষের দুনিয়াও এক পর্যায়ে ধ্বংস হয়ে যেতে থাকে।


~রেদওয়ান রাওয়াহা

পঠিত : ৬৫৩ বার

মন্তব্য: ০