Alapon

"হ্যালো" চন্দ্রমুখী



তুমি সাগরে গিয়েছিলে, সেখানে নিশ্চয় সাগরের ঢেউ দেখেছিলে? দেখেছিলে কিভাবে তা স্বশব্দে আছড়ে পরে আবার সাগরের বুকে। তোমার প্রথম "হ্যালো" ধ্বনিটা শুনা মাত্র আমার এমনটা মনে হয়েছিল। যেন বুকের ভেতরটায় ঢেউয়ের লহরি বয়ে যাচ্ছিল। কেন এমন এক অচেনা অনুভুতি লেগেছিল জানি না। হয়তবা এর আগে কখনো কারো সাথে এমন করে কথা বলা হয়ে উঠেনি। কিন্তু কিয়ৎক্ষণ পরে বুঝতে পারলাম নাহ্ এটাতো এক আবেগের উচ্ছ্বলতা মাত্র। একটু পর আস্তে আস্তে সেই ভাবটা কেটে যেতে লাগলো। আর তুমি ভাবছিলে আমি ভিতুর ডিম! আসলে প্রথম প্রথম এসব ব্যাপারে সব ছেলেদেরই এমন হয়। আমি কোথায় যেন পড়েছিলাম।
যাইহোক, এই ভয়টা আবেগের উচ্ছ্বলতা যখন কিছুটা কমে গিয়ে আসক্তিতে পরিণত হতে লাগল, মনে হলো আমি যেন কোনো এক হাজার বছরের পরিচিত মানবীর সাথে কথা বলছি।
তখন অবশ্য ইচ্ছে করছিল তোমায় তুষার শুভ্রের ন্যায় আলতো করে ছুয়ে দিই। কিন্তু ভয় ঐ একটাই, যদি তুমি সামনে পেলে আমায় ধপাস ধপাস করে কয়েকটা কিল বসিয়ে দাও।আমার বেচারা মাস্টারির সম্মানটুকু রক্ষায় সেই ইচ্ছেটাকে আপাদত দমিয়ে রেখেছি। যদি আমি তোমার সামনে গেলে লজ্বায় লাল হতে, তাহলে হয়তোবা ভাল হত। সেই লজ্বা মাখা লাল মুখ খানা দেখতে আমার ভাল লাগতো।
ভাল থেকো হে পরমাসুন্দরী। আর কখনোবা আমায় মনে পরলে মেসেঞ্জারে "হ্যালো" লিখো।

৩০/১০/১৯ ইং,
শামীম

পঠিত : ৩১৭ বার

মন্তব্য: ০