Alapon

বঙ্কিমচন্দ্র- সাহিত্যের অন্তরালে এক ভয়ানক মুসলিম বিদ্বেষী...



সাহিত্য দিয়ে ইসলাম ধর্ম তথা মুসলিম জাতিকে হ্যায় প্রতিপন্ন করার ইতিহাস বেশ পুরণো। সেই আরব্য আমল থেকে শুরু করে যুগোপযোগী ভাবে এখনও অবধি বিভিন্ন সাহিত্যিক তাদের সাহিত্য দিয়ে ইসলামকে অগ্রাহ্যভাবে উপস্থাপনের চেষ্ঠা করে চলছে। কেউ কবিতা দিয়ে, কেউ নাটক দিয়ে, কেউ উপন্যাস দিয়ে কেউ আবার প্রবন্ধ ইত্যাদি দিয়ে। তেমনই একজন সাহিত্যিক বঙ্কিম।

বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষ্যত্র বঙ্কিমচন্দ্র। বাংলায় বঙ্কিমের পাঠকের সংখ্যাও কম না। কিন্তু সাহিত্যকে যারা শুধু আবেগ দিয়ে বিবেচনা না করে বিবেক দিয়ে বিবেচনা করতে জানে তারাই শুধু আন্দাজ করতে পারবে বঙ্কিম কতোবড় কালপ্রীট। তার সাহিত্যের মূল ধারাকে তিনি ধর্ম পর্যন্ত গড়াতেন, তারপর শুরু ইসলাম ধর্মকে, মুসলিমদেরকে হ্যায় করা ।
আসুন, এই প্রবন্ধের মূল ধারার দিকে যায়। বঙ্কিমচন্দ্র তার সাহিত্যের ভান্ডারের সবগুলো গালিগালাজ তার ‘আনন্দমঠ, উপন্যাসে মুসলিমদের উদ্দ্যেশে প্রয়োগ করেছেন, ‘ম্লেচ্ছ,(অসভ্য, বর্বর) হতে শুরু করে ‘যবন,(অহিন্দু) পর্যন্ত। এমনকি প্রাচীনকালে বৌদ্ধদেরকে দেয়া ‘নেড়ে, গালিটা মুসলিমদেরকে দিতেও সে সামান্য কুন্ঠাবোধ করেন নি। সে তার ‘আনন্দমঠ, উপন্যাসে এক মন্তব্যে বলেন, ‘’ধর্ম গেল, জাত গেল, কূল গেল, মান গেল, এখনতো প্রান পর্যন্ত যায়, এ নেড়েদের না তাড়াইলে কী আর হিন্দুয়ানি থাকে?

এমনকি এই গল্পেই তিনি মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির গড়ার কামনা ব্যাক্ত করেছেন, “ভাই এমন দিন কী হইবে, মসজিদ ভাঙ্গিয়া রাধা মাধবের মন্দির গড়িব। তিনি আরেক উপন্যাস কৃষ্ণকান্তের উইলে দানেশ খা’কে দিয়ে মুসলিমদেরকে শূয়োর গালি দিইয়েছেন। রাজসিংহ উপন্যাসে কতিপয় নারী দিয়ে সম্রাট আওরঙ্গজেবের মূখে লাথি দিইয়েছেন,, বিশিষ্ট মুসলিম পর্যটক ও ধার্মিক “ বখতিয়ার খলজি, কে “আরবী বাণর, বলে উল্ল্যেখ করেছেন।
সাহিত্য, বঙ্কিমের সবছেয়ে নিন্দিত কাজ হলো, সে আওরঙ্গজেবের সতীসাধবী, পূণ্যবতী কণ্যা জেবুন্নেছা’কে চরিত্রহণনে অন্যদের থেকে একশ অদম এগিয়ে ছিল।

প্রকৃতঅর্থে, “জেল-জুলুম, দ্বীপান্তর, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণ এবং ইংরেজ করতৃক অন্যান্য নানাবিধ পৈশাচিক অন্যাচারে যখন মুসলিম সমাজ জর্জরিত ঠিক তখনই বঙ্কিম তার এসব সাহিত্যে দিয়ে মুসলিম বিদ্বেষ উসকে দিতেন। সে তার “ আনন্দমঠ, রাজসিংহ, মৃণালিনী,দেবী চৌধুরানী ইত্যাদি উপন্যাসগুলোতে তিনি মুসলমানদেরকে “হিন্দু নারী ধর্ষনকারী, মন্দির ভঙ্গকারী, অপবাদ দিয়ে মুসলিম জাতির প্রতি হিন্দুজাতিদের প্রতিহিংসা পরায়ণ করে তুলার চেষ্ঠায় সে শতভাগ সফল।

বঙ্কিম একবার ঢাকা সফর শেষে কলকাতায় ফিরে তৎকালীন ‘বঙ্গদর্শন, পত্রিকায় লিখেন, “ ঢাকাতে দু-চারদিন বাস করিলে তিনটি বস্তু দর্শকদের নয়ন পথের পথিক হইবে- কাক, কুকুর আর মুসলমান।এই তিনটি সমভাবে কলহ প্রিয়, অতি দুর্গম, অজেয়।
বঙ্কিমের উক্ত ভাবমূর্তি থেকেই বোঝা যায়, তার মুসলিম বিদ্বেষী মনোভব কতোটা তীব্র ও ভয়ানক ছিল। সবকিছু বিবেচনা স্বাপেক্ষে বঙ্কিমকে সাহিত্য সম্রাট না বলে মুসলিম বিদ্বেষী সম্রাট বললেও ভূল কিছ হবে না। এতোকিছুর পরেও, বাংলা সাহিত্যে তার দখল কম না। সে হাজার হাজার মুসলিম পাঠকের প্রিয় সাহিত্যিক।
আহা..!!
বাঙ্গাল মুসলমান ...!!

হোসাইন শাহাদাৎ

পঠিত : ৬৩৯ বার

মন্তব্য: ০