Alapon

এ যেন ভূতের মুখে রাম রাম...



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভোট নিয়ে একখানা বক্তব্য শুনে খুবই হাসলাম। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মানুষের ভোটের মর্যাদা রক্ষায় প্রয়োজনে নিজের বুকের রক্ত দিতেও প্রস্তুত আছি।’

এখন প্রশ্ন হল, প্রধানমন্ত্রী কোন ভোটের মর্যাদা দিতে চান?

২০১৮ সালে আমি ভোট দেওয়ার উপযুক্ত হই। বড়ো আশা ছিল, ভোট প্রদানের মাধ্যমে নিজের ভোটাধিকার এবং দেশের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করব। কিন্তু আমার দুটো অধিকারই হরণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে দেশের অন্যান্য বহু এলাকার মতো আমাদের এলাকায়ও ভোট ডাকাতি হয়েছে। ফলে ভোট দেওয়ার জন্য কষ্ট করে আর ভোট কেন্দ্রে যেতে হয়নি। ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা কঠিন ত্যাগ স্বীকারের মধ্য দিয়ে আমাদের ভোটগুলো তারাই দিয়ে দিয়েছেন। আর তাদের এই ত্যাগ স্বীকারের মধ্য দিয়ে আমার ভোটাধিকার হরণ করা হলো।

আর দেশের একজন বৈধ নাগরিক হিসেবে ভোট প্রদানের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা আমার নাগরিক অধিকার। অথচ আমার জনপ্রতিনিধি বাছাই করার কোনো সুযোগই নেই। অর্থাৎ আমার নাগরিক অধিকারও ক্ষুন্ন করা হয়েছে।

দেশে এখন ভোট মানেই ডাকাতি। ভোট মানেই ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং। ভোট মানেই ক্ষমতাসীনদের দ্বৈরাত্য। ভোট মানেই ক্ষমতাসিনদের হাতে সাধারণ মানুষের প্রাণনাশ। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী কিনা এমন ভোটের মর্যাদা রক্ষা করতে নিজের বুকের রক্ত দিতেও প্রস্তুত আছেন! যে শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে বাংলাদেশের গনতন্ত্রকে কফিনবন্দি করে ফেলেছে, সেই শেখ হাসিনাই কিনা ভোটের মর্যাদা রক্ষার কথা বলেন। এ যেন ভূতের মুখে রাম রাম!

গতকাল ছিল সেই ঐতিহাসিক ৫ জানুয়ারী। ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন ইতিহাসের পাতায় কালো কালিতে লেখা থাকবে। আর বাংলার মানুষ এই নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ধিক্কার জানাতে থাকবে। আগামী প্রজন্ম শেখ হাসিনাকে জানবে, ভোটের মর্যাদা হত্যাকারী হিসেবে। শেখ হাসিনাকে জানবে ভোটের অধিকার হরণকারী হিসেবে।

পঠিত : ৪৬২ বার

মন্তব্য: ০