Alapon

৫৬ হাজার বর্গমাইলের অংশ তিন পার্বত্য জেলা; এক ইঞ্চিও বাহিরে নয়।



পাহাড়ে বেশ পরিকল্পিত ঝামেলা চলছে। বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্যদের গোলাগুলিতে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানসহ চারজন নিহত হয়েছে।
সন্তু লারমা সরকারি প্রটোকল ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর অফিসার হত্যা করবে, আর আমরা নিরবে তা হজম করব, এটা হয় না। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের টাকা ব্যবহার করে সন্তু লারমা বাহিনী রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর রক্ত ঝরাবে, কীভাবে মেনে নেওয়া যায়? ওরা রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করুক, রাষ্ট্রও পাল্টা চ্যালেঞ্জ করব; তার আগে ওদের সকল রাষ্ট্রীয় প্রটোকল বাতিল করতে হবে।
বিশ্বাসঘাতকদের সাথে আবার কীসের চুক্তি? কী কথা ছিল? জেএসএস সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ থাকলেও তারা কেউ অস্ত্র ছাড়েনি। প্রতিনিয়ত সেখানে অস্ত্র মজুদ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের হাতে যুদ্ধের জন্য ভারী সরঞ্জাম আছে। এই বান্দরবানে কিছুদিন আগেই নও-মুসলিম উমর ফারুক ত্রিপুরাকে শহীদ করেছে। সেই রক্তের দাগ শুকানোর আগেই আবার সেনা সদস্যের রক্তে রঞ্জিত হলো বান্দরবান। উপজাতি সন্ত্রাসীরা চুক্তি ভঙ্গ করার মাধ্যমে পার্বত্য শান্তি চুক্তির কবর রচিত হয়েছে অনেক আগেই, এখন দাফন করতে হবে।
বাংলাদেশের এই ভূখণ্ডের এক ইঞ্চি যায়গাও শত্রুর হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে না ইনশাআল্লাহ। কিছু জনগুরুত্বপূর্ণ দাবি উঠেছে।
-সরকারি প্রটোকল বাতিল করে অবিলম্বে সন্তু লারমাকে গ্রেফতার করতে হবে।
-সেনা র‍্যাব পুলিশ-মবিজিবি সহ প্রতিটি বাহিনীর সমন্বনে যৌথ বাহিনী গঠন করে পাহাড়ে তড়িৎ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালাতে হবে। প্রতিটি পাহাড়ের কোণায় কোণায় চলবে এই অভিযান। একটি অস্ত্র থাকাকালীনও এই অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
- চুক্তি অনুযায়ী সরিয়ে নেওয়া গহীন পাহাড়ের সেনাক্যাম্প গুলো আবার চালু করতে হবে। সেনাক্যাম্প সরিয়ে নেওয়ায় উপজাতি সন্ত্রাসীরা সহজে নিজেদের আস্তানা গড়ে তুলতে পেরেছে।
- বাংলাদেশ থেকে পাহাড়কে বিচ্ছিন্ন করে দিতে যারা বিদেশী শত্রুদের টাকায় কাজ করছে, তাদেরকে সামাজিকভাবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে দমন করতে হবে। প্রয়োজনে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা সময়ের দাবি।
- পার্বত্য বাঙালীদেরকে নিজেদের যায়গায় বসতি স্থাপনের জন্য নিরাপত্তা চৌকি বসাতে হবে। সন্তু লারমার ভয়ে যাদেরকে গুচ্ছগ্রাম নামক যে জেলখানায় রাখা হয়েছে, সেখান থেকে আগের যায়গায় ফিরিয়ে নিতে হবে।
-এই পাহাড় বাংলাদেশের তিনটা জেলা শহর নিয়ে। দেশের প্রতিটি নাগরিক যেখানে ইচ্ছা সেখানে নিরাপদে যাওয়া আসা করবে সেই পরিবেশ সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
- বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক ইচ্ছা করলে তিন পার্বত্য এলাকায় জমি ক্রয় করতে পারবে। সাংবিধান বিরোধী যে ভুমি আইন বানানো হয়েছে, সেটা এই মুহুর্তে বাতিল করতে হবে। দেশের নাগরিক যেকোনো জেলায় বিনা বাধায় জমি ক্রয় করতে পারলে তিন পার্বত্য জেলায় কেন পারবে না? দেশকে বিভক্ত করতে এখানে বিদেশীদের ষড়যন্ত্র বিদ্যমান।
সবাই সচেতন হোন। পাহাড় নিয়ে আওয়াজ বুলন্দ করুন।

~ নুর মোহাম্মদ

পঠিত : ৩১৬ বার

মন্তব্য: ০