Alapon

চায়ের ইতিহাস ও নানা চমকপ্রদ তথ্য



চা আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চা খাওয়া ছাড়া সকাল শুরুই হয় না। অনেকে বিকেলে চা পান না করলে তাদের সারাদিনের ক্লান্তি দূরই হয় না। চাকে অনেকে সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ পানীয়ও (Best Drink Ever) বলে থাকেন। বাংলাদেশে চা কতটা জনপ্রিয় তাঁর আন্দাজ এভাবে করা যায় যে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ বিলিয়ন ডলারের চা বিক্রি করা হয়। অসাধারণ পানীয় চা এর আবিষ্কার কীভাবে হয়েছিলো? আজ আমরা জানবো চায়ের ইতিহাস সম্পর্কে। কীভাবে এটা আবিষ্কৃত হলো? কীভাবে এটা ইউরোপে পৌঁছালো? দক্ষিণ এশিয়ায় চায়ের চাষ কখন এবং কীভাবে শুরু হলো? চলুন এ সম্পর্কে এ জানা যাক।
চায়ের আবিষ্কারক চীনা সম্রাট শেননং (Shennog)। চীনা বিশ্বাস ও সূত্র অনুযায়ী যিনি কৃষি ও ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতির জনক ছিলেন। সম্রাট শেননং ২৭০০ খ্রিস্টপূর্বে সর্ব প্রথম চা আবিষ্কার করেন। চা আবিষ্কার নিয়ে দুটি কিংবদন্তী কিংবা বর্ণনা সবচেয়ে বেশী বিখ্যাত। একটি বর্ণনা অনুযায়ী সম্রাট শেননং একবার একটি তীর্থযাত্রায় ছিলেন। পথিমধ্যে তিনি একটি বিষাক্ত উদ্ভিদের পাতা খেয়ে ফেলেন যার ফলে তিনি মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে যান। এমন সময় একটি পাতা উড়ে এসে সম্রাট শেননং এর মুখে যায়। যা তিনি চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন। এর ফলে তাঁর অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। ঐ পাতাটি চায়ের পাতা ছিলো। যা ঐ বিষের প্রতিষেধক ছিলো। অন্য বর্ণনা অনুযায়ী সম্রাট শেননং তাঁর সফর চলাকালীন সময়ে ক্লান্ত হয়ে একটি গাছের নিচে বিশ্রামের জন্য বসেন। তিনি তাঁর চাকরকে তাঁর জন্য পানি ফুটানোর আদেশ দেন। চাকর পানি গরম করছিলো তখন হঠাৎ করে বাতাসের ফলে কিছু পাতা পানির পাত্রে এসে পড়ে। এর ফলে পানির রং পরিবর্তন হয়ে যায়। সম্রাট এটা দেখে অবাক হন। তিনি ঐ পানিগুলো ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে পান করার সিদ্ধান্ত নেন। সম্রাট এই পানি পান করেন। সম্রাটের কাছে এই পানি কিছুটা তেতো তবে প্রশান্তি দায়ক চাঙ্গাকারী মনে হয়। এই দুটি বর্ণনা কতটুকু সত্য তা আজ কেউ বলতে পারে না। তবে এটা সত্য যে চীনই সেই দেশ যেখানে আজ থেকে হাজার বছর আগে চা আবিষ্কৃত হয়েছিলো এবং সেখানকার লোকেরা তা পান করা শুরু করেছিলো। ২২০ থেকে ২০৬ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত চীন শাসন করা হান সাম্রাজ্যের রাজ পরিবারের সদস্যদের সমাধি থেকে চা পানের পাত্র পাওয়া গেছে।
হান সাম্রাজ্যে চা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। ট্যাং সাম্রাজ্যের সময় প্রথমবারের মতো চা চীনের জাতীয় পানীয়তে পরিণত হয়। তখন চীনে চায়ের জনপ্রিয়তার আন্দাজ এভাবে করা যায় যে, ৮ম শতাব্দীতে বিখ্যাত চীনা লেখক লু ইউ (Lu Yu) চায়ের ব্যাপারে একটি সম্পূর্ণ বই লিখেন। লু ইউ যার নাম দেন চা জিং (Cha Jing)। যা আজ ক্লাসিক অফ টি (Classic Of Tea) নামে পরিচিত। চীনা লেখক লু ইউ এর বই চা জিং থেকেই চা এর নাম নেওয়া হয়েছে। চা থেকে আরবী শাই (shai), তুর্কী চায়ে (chay), রুশিয়ান চাই (Chai) শব্দের উদ্ভব। চা এর ইংরেজি নাম টি (Tea) কীভাবে এসেছিলো তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বলা হয় ডাচরা চা কে টি (te) বলতো। যা টাই (tay) হয়। এরপর বিকৃত হতে হতে ইংরেজি টি (Tea) তে পরিণত হয়। ট্যাং সাম্রাজ্যের সময়ে চা যখন চীনের জাতীয় পানীয়তে পরিণত হয়েছিলো তখন জাপানের বৌদ্ধ পন্ডিতরা চীন সফরে ছিলো। বৌদ্ধ পন্ডিতরা চাকে খুব পছন্দ করলো এবং জাপানে ফিরে যাওয়ার সময় চা পাতা নিয়ে গেল। জাপানিদের কাছেও চা পানীয় হিসেবে খুব ভালো লাগলো এবং এটা জাপানিদের ঐতিহ্যের অংশ হয়ে উঠলো। এরপর থেকে জাপানি টি সেরিমোণি চলছে (Japanese Tea Ceremony)। ইউরোপীয়দের ভিতর পর্তুগিজরা সর্বপ্রথম চা এর স্বাদ পায়। ইউরোপীয়দের ভিতর পর্তুগিজ ব্যবসায়ী ও খ্রিস্টান মিশনারীরা সর্বপ্রথম এশিয়ায় এসেছিলো। তাদের কাছে পানীয় হিসেবে চা বেশ পছন্দ হয়। তাই তারা পর্তুগালে ফিরে যাওয়ার সময় তাদের আত্নীয় স্বজন ও বন্ধুদের জন্য চা উপহার স্বরুপ নিয়ে যায়। যদি চা এর বাণিজ্যের কথা বলা হয় তাহলে তা সর্বপ্রথম হল্যান্ডের লোকেরা বা ডাচরা (Dutch) চা এর বাণিজ্য শুরু করে।
ডাচরা ১৬ শতাব্দীর শেষ নাগাদ পূর্বে পর্তুগিজদের সামুদ্রিক বাণিজ্যিক পথ দিয়ে যাতায়াত শুরু করেছিলো। ১৭ শতাব্দীর শুরুর দিকে ডাচরা জাভা দ্বীপে একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র স্থাপন করে। ১৬০৬ সালে জাভা দ্বীপ থেকেই চা এর প্রথম চালান চীন থেকে হল্যান্ডে (Holland) পাঠানো হয়। দ্রুতই ডাচদের কাছে চা এক আভিজাত্যপূর্ণ পানীয়তে পরিণত হয়। হল্যান্ড থেকেই অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে চা পানীয় হিসেবে জনপ্রিয় হয়। চা এর মূল্য তখন অনেক বেশী ছিলো। তাই তখন ধনী লোকেরাই চা কিনতে পারতো। মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্তরা সহজেই চা কিনতে পারতো না। ব্রিটেনে রাণী ক্যাথেরিন অফ ব্রাগেঞ্জা (Queen Catherine of Braganza) চা কে জনপ্রিয় করে তোলেন। ক্যাথেরিন পর্তুগালের রাজকুমারী ছিলেন। যিনি ১৬৬২ সালে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লসকে (Charles II of England) বিয়ে করেন। রাণী ক্যাথেরিন চা খুব পছন্দ করতেন। তাই তাঁর সাথে থাকা লোকেরাও চা পান করা শুরু করেন। ১৬৬২ থেকে ১৬৮৫ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের রানী থাকা এই বিদেশি নারী চাকে ব্রিটিশ অভিজাতদের প্রধান পানীয়তে পরিণত হয়। এই সময়ে ব্রিটেন সারা পৃথিবীতে নিজের কলোনি তৈরি করছিলো। ব্রিটেনের কলোনি হওয়া সকল জায়গাতেই অন্যান্য পণ্যের সাথে চাও পৌঁছে যায়। ১৭০০ সাল নাগাদ চা ইউরোপ জুড়ে কফির চেয়ে ১০ গুণ বেশী বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু তখনো পর্যন্ত এর চাষ শুধু চীনেই সীমাবদ্ধ ছিলো। ঐ সময়ের মধ্যেই চা এর ব্যবসা একটি লাভ জনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছিলো। তখন সারা পৃথিবীতে অনেক বড় বড় জাহাজ শুধু চা ই পরিবহন করতো। তখন চা এর অতিরিক্ত মূল্য বেশী ট্যাক্স বা করের কারণে ছিলো। চা এর ওপর সর্বপ্রথম কর ব্রিটেন আরোপ করে।
ব্রিটেন ১৬৮৯ সালে চা এর সর্বপ্রথম ট্যাক্স বসায়। এই ট্যাক্সের পরিমাণ আজকের হিসেবে প্রতি পাউন্ডে ২৫ পেন্স ছিলো। এটা এতো বেশী ছিলো যে, এর ফলে চা বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। এরপর ১৬৯২ সালে তা কমিয়ে ৫ পেন্সে আনা হয়। ফ্রান্সের সাথে ৭ বছর ধরে চলা যুদ্ধে ব্রিটেনের সরকার ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলো। ঋণ পরিশোধ করার জন্য ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস আমেরিকান কলোনিগুলো ওপর অতিরিক্ত ট্যাক্স আরোপ করেন। ১৭৬৭ সালে আমেরিকানদের কাগজ, রং, কাঁচ, সিসা এবং চা এর ওপর ট্যাক্স আরোপ করেন। আমেরিকানদের প্রতিবাদের ফলে অন্যসব কিছুর ওপর থেকে ট্যাক্স সরিয়ে ফেলা হলেও চায়ের ওপর ট্যাক্স বজায় থাকে। চা এর ওপর ট্যাক্স বজায় থাকার কারণে আমেরিকানরা ব্রিটিশ চা কোম্পানির চা বয়কট করে এবং লুকিয়ে ডাচ কোম্পানির চা পান করা শুরু করে। এর ফলে টন টন চা গুদামে পচে গলে নষ্ট হয়। এই অবস্থায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে লোকসান থেকে মুক্ত করার জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৭৭৩ সালে টি অ্যাক্ট (Tea Act) পাশ করে। এই অ্যাক্ট অনুযায়ী সমস্ত ব্রিটিশ কলোনিতে চা বিক্রি করার একমাত্র অধিকার ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে দেওয়া হয়। এছাড়া ব্রিটেনের অভ্যন্তরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চা এর ওপর থেকে ট্যাক্স মওকুফ করা হয়। কিন্তু ব্রিটেনের আমেরিকান কলোনিগুলোতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চা বিক্রির ওপর ট্যাক্স বজায় ছিলো। ফলে খুব দ্রুতই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়। আমেরিকার বোস্টন শহরের ব্যবসায়ীরা একটি গুপ্ত সংগঠন তৈরি করে রেখেছিলো৷ যার নাম ছিলো "Sons Of Liberty" এর অর্থ স্বাধীনতার পুত্ররা।
১৭৭৩ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর এই সংগঠনের কয়েক ডজন লোক বোস্টেনের বন্দরে নোঙর করা তিনটি জাহাজে উঠে পড়ে। এই জাহাজাগুলোতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চা ছিলো। হামলাকারীরা নেটিভ আমেরিকানদের মতো পোশাক পরেছিলো এবং তাদের কাছে নেটিভ আমেরিকানদের বিখ্যাত টমাহক কুড়ালও (Tomahawk Axe) ছিলো। এই কুড়াল দিয়ে হামলারকারীরা ৩৪২ টি বাক্সে থাকা ৪৫ টন চা যার বাজারমূল্য আজকের হিসেবে ১ মিলিয়ন ডলার তা তাঁরা সমুদ্রে ফেলে নষ্ট করে। এই ঘটনাকে ইতিহাসে বোস্টন টি পার্টি (Boston Tea Party) নামে অভিহিত করা হয়। এই ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ব্রিটিশ সেনাবাহিনী বোস্টন শহরে হামলা করে এবং সাধারণ নাগরিকদের ওপর অত্যাচার করে। এই ঘটনার পরই আমেরিকানরা ব্রিটেন থেকে স্বাধীন হওয়ার কথা জোরালোভাবে ভাবতো শুরু করে। চায়ের ওপর ট্যাক্স আরোপের সাথে সাথে ১৯ শতাব্দীতে এই আলোচনাও চলছিলো যে, চা পান শরীরের জন্য ভালো না খারাপ? বর্তমান সময়ে মেডিকেল রিসার্চের কারণে আমরা জানি প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ কাপ চা পান করা শরীরের জন্য ভালো। এই তথ্য ২৫০ বছর আগের চা পানকারীরা এসব তথ্য জানতো না। তৎকালীন সময়ের ধনীরা শ্রমিকদের অত্যধিক চা পানে চিন্তিত ছিলো এই ভেবে যে, না জানি এই পানীয় এদের অলস বানিয়ে দেয়। এই আলোচনা বিতর্ক ১৯ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে এসে শেষ হয় এবং তখন থেকে বিজনেস মিটিংয়ে চা পরিবেশন করা শুরু হতে থাকে। ১৯ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে ব্রিটেন পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সাম্রাজ্য ছিলো। সারা পৃথিবীতে এর আধিপত্য ছিলো। পৃথিবীর অধিকাংশ এলাকা এর শাসনাধীন ছিলো।
ভারতীয় উপমহাদেশও ব্রিটেনের কলোনি ছিলো। এজন্য পূর্ব দিকের সকল ব্যবসায়িক কার্যক্রমের দ্বায়িত্ব ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ছিলো। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বেশী দামে চা চীন থেকে কিনে সারা পৃথিবীতে বড় বড় জাহাজের মাধ্যমে পাঠাতো। ব্রিটিশরা চাচ্ছিলো তাদের কলোনি ভারতে চা চাষ শুরু করতে। কিন্তু চা চাষ একটি জটিল ব্যাপার ছিলো। কারণ চায়ের চাষ পদ্ধতি তখনো চীনারা গোপন রেখেছিলো। চা চাষের গোপন পদ্ধতি জানার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নিজেদের এক গুপ্তচর রবার্ট ফরচুনকে (Robert Fortune) ১৮৪৮ সালে চীনে পাঠায়। রবার্ট ফরচুন নিজে একজন বিশেষজ্ঞ বোটানিস্ট ছিলেন। তিনি ভালো করেই জানতেন চা এর চাষের জন্য মাত্র কয়েকটি চারা গাছ দিয়ে কাজ হবে না। তিনি জানতেন তাঁকে অনেক পরিমাণে চারা গাছ এবং বীজ ভারতে পাচার করতে হবে যাতে বড় আকারে চায়ের চাষ শুরু করা যায়। এছাড়া চীনা চা শ্রমিকদেরও দরকার যাতে তারা চায়ের বাণিজ্যিক উৎপাদন করতে পারে। তাই রর্বাট ফরচুন একজন চীনা ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে চীনের ফুজিয়ান (Fujian) প্রদেশে যান। ফুজিয়ানে পাহাড়ে সবচেয়ে ভালো চা উৎপাদিত হতো। রবার্ট ফরচুন সফলতার সাথে চীনের প্রশাসন থেকে লুকিয়ে কিছু চীনা শ্রমিকসহ চায়ের চারা গাছ ও বীজ ভারতে পাচার করে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রর্বাট ফরচুনের তত্ত্বাবধানে আসামে চায়ের চাষ শুরু করে। এভাবে চীনের বাইরে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে চা চাষ শুরু হয়। চীনারা হাজার বছর যাবৎ ফুটন্ত পানিতে চা পাতা ঢেলে পান করতো। ব্রিটিশরা প্রথমে এতে চিনি মেশায় এবং এরপর দুধ মিশিয়ে পান করা শুরু করে। এভাবেই চা আজকের অবস্থায় এসেছে।
[সমাপ্ত]
তথ্যসূত্রঃ 1. Shennong | Chinese mythological emperor - Encyclopedia Britannica.
2. Shennong - an overview | ScienceDirect Topics.
3. tea | Definition, Types, & History - Encyclopedia Britannica.
4. The History of Tea | The Origin of Tea in the World - Grace Tea.
5. Tang dynasty | History, Government, Achievements, & Facts | Britannica.
6. Lu Yu - Wikipedia
7. The Classic of Tea - Teapedia.
8. How Did Tea Get Its Name? - boston tea party ship.
9. tea ceremony | Description, History, & Facts - Encyclopedia Britannica.
10. Tea in Britain - a Brief History and Types of British Tea.
11. Catherine of Braganza - The First British Tea-Drinking Queen - boston tea party ship.
12. Catherine Of Braganza | queen of Great Britain - Encyclopedia Britannica.
13. Tea Act | Great Britain [1773] - Encyclopedia Britannica.
14. Tea Act - Definition, Timeline & Facts - HISTORY.
15. Boston Tea Party - Definition, Dates & Facts - HISTORY.
16. Boston Tea Party | Facts, Summary, & Significance | Britannica.
17. The Great British Tea Heist | History | Smithsonian Magazine.
18. Robert Fortune | Scottish botanist and traveler - Encyclopedia Britannica.

চায়ের ইতিহাস ও নানা চমকপ্রদ তথ্য
লেখিকাঃ জান্নাত খাতুন।
ইন্টারন্যাশনাল নিউজ এডিটর, হাভার টার্ক।

পঠিত : ৩৪০ বার

মন্তব্য: ০