Alapon

ধর্ম কি মানুষের সৃষ্টি? এবং সো কল্ডের মুখরোচক বাণী



একটা খবর বেরিয়েছে। পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার দায়ে এক নারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হয়েছে। বাংলাদেশের মিডিয়ায় এই খবর প্রচারিত হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই আমার কৌতূহল জাগল, বিষয়টা ধর্ম অবমাননা, দেশটা পাকিস্তান এবং দণ্ড ঘোষিত ব্যক্তি নারী, সুতরাং কমেন্টগুলো একবার দেখে আসা যাক।
কিছু কমেন্টের সারবস্তু হলো, ধর্ম সৃষ্টি হয়েছে মানুষের প্রয়োজনে, সেই ধর্মের জন্যই মানুষ হত্যা?
কারও জিগ্যাসা, মানুষ বড় না ধর্ম বড়?
এই ধর্ম অস্বীকারকারীদেরই আরেক অংশের বক্তব্য, মানবধর্মের উপর বড় আর কী আছে, যার জন্য তাকে জীবন দিতে হবে?
আরও কিছু কমেন্ট আছে যেমন, বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, ধর্ম নারীকে দাবিয়ে রেখেছে, সচেতন নারীরা তাদের চলায়, পোশাকে স্বাধীনতা চাইলে সেটা ধর্ম অবমাননা নয়; বরং অধিকার বিষয়ে সচেতনতা।
ইত্যাদি ইত্যাদি নানান কমেন্ট। অধিকাংশ কমেন্টকারীর প্রোফাইলে মুসলিম নাম। কেউ কেউ হয়তো সেকুলারদের মতো অত শক্ত মতবাদ লালন করে না; কিন্তু ধর্মের অনেক আলাপই তাদের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি করে এবং পর্যাপ্ত কদাচার কানে পড়তে পড়তে তাদের অন্তরটাও বিষাদ হয়ে গেছে। আমি জানি, অনেকেই তাদের এই কমেন্টগুলো পড়ে তেমন কিছু ভাববেন না। খুব নরমাল নেবেন ব্যাপারটাকে। কারণ, দেখতে দেখতে আমাদের সয়ে গেছে।
১.
প্রথমে আসি ‘ধর্ম সৃষ্টি হয়েছে মানুষের প্রয়োজনে, সেই ধর্মের জন্যই মানুষ হত্যা?’ শিরোনামে। কেউ কেউ এই কথাকে এককথায় বলে দেন, ‘ধর্ম মানুষের সৃষ্টি’।
হ্যাঁ, ইসলাম বা আসমানি ধর্ম ছাড়া আর সবই মানুষের সৃষ্টি।
ধর্ম প্রধানত দুই প্রকার। কিতাবি ধর্ম, অ-কিতাবি ধর্ম।
কিতাবি ধর্ম আবার দুই প্রকার, আসমানি, গাইরে আসমানি।
আসমানি আবার দুই প্রকার, মানসুখ বা রহিত, বলবৎ।
এ জায়গায় এসে দেখি, আসমানি কিতাব চারটি—তাওরাত যাবুর ইঞ্জিল কুরআন এবং সঙ্গে কিছু সহিফাহ ছাড়া আর সবই মানুষের সৃষ্টি এবং বাতিল। সেগুলোকে আমরাও অস্বীকার করি। বাকি আসমানি কিতাবগুলোর মধ্যে তাওরাত যাবুর ইঞ্জিল রহিত হয়ে গেছে এবং একমাত্র কুরআন বলবৎ আছে।
কুরআন যা যা বলে, তা আপনি বিশ্বাস করতেই হবে। কুরআনের আদেশ পালন এবং নিষেধ বর্জন সবার জন্য অপরিহার্য। কুরআন ঘোষণা করছে, ‘নিঃসন্দেহে ধর্ম হিসেবে আল্লাহর কাছে মনোনীত হলো ইসলাম।’ (সুরা আলে ইমরান, ১৯)
এই আয়াতেরই শেষাংশে বলা হয়েছে, ‘আর যে ব্যক্তি আল্লাহর আয়াতসমূহের সঙ্গে কুফরি করে, নিশ্চয় আল্লাহ হিসাব গ্রহণে দ্রুত।’ (সুরা আলে ইমরান, ১৯)
তো আল্লাহর আয়াত বলছে, আপনি অন্যসব মতবাদ বা বিশ্বাসকে বাতুল যেমন বলবেন, একইসঙ্গে ধর্ম হিসেবে ইসলামকে মানতেই হবে। না হয় দুনিয়া ও আখিরাতে সাজা ও লাঞ্ছনা রয়েছে।
এইযে আপনি অন্যসব মনুষ্য সৃষ্ট কিংবা রহিত মতবাদ ও ধর্মের সঙ্গে আল্লাহর একমাত্র মনোনীত ধর্ম ইসলামকে গুলিয়ে ফেললেন এবং এটাকেও মানুষের সৃষ্টি বলে বক্তব্য দিলেন, অন্যগুলোর মতো বাতিল আখ্যা দিচ্ছেন, এতেই আপনার ঈমান নাই হয়ে গেছে।
মানুষকে মুখরোচক কথার জালে বা একই রকম কথা বারবার বলে ধীরে ধীরে ধর্মহীন করে দেবার এটা একটা সো কল্ড প্রক্রিয়া। সেকুলারদের সৃষ্ট ভাষা-বুলির এই প্রক্রিয়ার স্লো পয়জিং বা শীতল আঘাতে আপনিও বিধ্বস্ত হলেন এবং নিজের মূল হারিয়ে ফেললেন। তাদের ভাষা আপনাকে কাবু করল এবং জনসমক্ষে নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিলেও আদতে আপনি নিজেই আপনার ধর্মকে অস্বীকার করে এসেছেন। সুতরাং অবশ্যই আপনাকে সো কল্ডদের চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, ঈমানকে পুনরায় নবায়ন করতে হবে, আর কখনো তাদের পাল্লায় পড়বেন না মর্মে আল্লাহর কাছে বিনীত তাওবা করতে হবে।
২.
দ্বিতীয়ত এই প্রাসঙ্গিক যে মুখরোচক কথাটা সেকুলাররা মন্ত্রের মতো ব্যবহার করে, সেটাও দিলে লাগার মতো—‘ধর্ম বড় না মানুষ বড়, মানুষই যদি না বাঁচে, ধর্ম দিয়ে কী লাভ?’ ইত্যাদি কথাবার্তা। আমার পর্যবেক্ষণ বলে, এই কথাটায় অনেক শিক্ষিত মানুষেরও খুব সরলভাবে মগজধোলাই হয়ে যায়। অথচ তারা চিন্তা করতে ও সত্য-মিথ্যা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম!
মানুষ এবং ধর্মকে এক পাল্লায় তুলে ধর্মকে মানুষের অধীন করে দেওয়া বা ‘মানবধর্ম’ নাম দিয়ে আলাদা একটা টার্ম দাঁড় করানো একদম যুক্তিহীন কাজ। যেসব শিক্ষিত ভাইয়েরা এই টার্মে পড়ে নিজেদের মহামূল্যবান ঈমান বিলিয়ে দেয়, অন্য অনেক কাজের মতো এই ব্যাপারেও আল্লাহ তাদেরকে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেবার সুমতি দিন।
‘ধর্ম বড় না মানুষ বড়, মানুষই যদি না বাঁচে, ধর্ম দিয়ে কী লাভ?’
এই প্রসঙ্গে প্রথম কথা হলো, ধর্ম বলতে যে শুধু ইসলামই সত্য, এই সাব্যস্ত বিষয়টি আমরা পেছনে আলাপ করে এসেছি। দ্বিতীয়ত, মানুষ এবং ধর্মের মধ্যকার কে বড়, এটার তুলনা করতে গেলে সহজেই বেরিয়ে আসে, মানুষ ধর্মের মুখাপেক্ষী; কিন্তু ধর্ম মানুষের মুখাপেক্ষী নয়।
ধর্ম হলো মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। শুধু মানবজীবনেরই নয়, গোটা জীবজগতেরই কল্যাণকামী ধর্ম। ধর্ম মানুষকে গাইডলাইন দেয়, রুটিন দেয়, আত্মিক প্রশান্তি দেয়, জীবন ও জীবিকায় বৈধ উপায় ও নিরাপত্তা দেয়, সামাজিক শৃঙ্খলা দেয় ইত্যাদি ইত্যাদি। যে ব্যক্তি ধর্ম; অর্থাৎ ইসলাম মানে না, সেও কিন্তু বিভিন্ন মতবাদ থেকে একটা খুঁজে নিয়ে সেটায় আশ্রয় গ্রহণ করে। যারা নিজেদের নাস্তিক কিংবা ধর্মহীন বলে ঘোষণা করে, তাদের সেই নাস্তিক্যধারণাও তো একটা প্রকরণ! যেখানে একটা বিশ্বাস আল্লাহর অস্তিত্ব নেই!
মানুষ যেভাবে ধর্মের মুখাপেক্ষী; অন্তত বাতুল মতবাদ আঁকড়ে হলেও সে একটা আশ্রয়ে ঠাঁই নেয়, ধর্ম কিন্তু এভাবে মানুষের মুখাপেক্ষী নয়। কারণ, ধর্ম নিজেই জীবনব্যবস্থা, নিজেই গাইডলাইন, মানুষ তাকে অনুসরণ করে, সে নিজের অনুসারীর অনুসারী হবে কোন দুঃখে?
‘আর আমি তোমার ওপর প্রতিটি বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা সম্বলিত কিতাব নাযিল করেছি; হিদায়াত, রহমত ও মুসলিমদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ।’ (সুরা নাহল, ৮৯ )
এখন প্রশ্ন, ‘মানুষই যদি না বাঁচে, ধর্ম দিয়ে কী লাভ?’
এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হলো, পৃথিবীতে মানুষ স্থায়ী নয়, তার জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত, জিরো সেকেন্ড অথবা ষাট-সত্তর-একশ বছর মাত্র। কিন্তু ধর্ম পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলেও স্থায়ী। এই ধর্ম যে শুধু কেয়ামত পর্যন্তই থাকবে তা নয়, পরকালের আদালত, জান্নাত-জাহান্নাম নির্ধারণ, সুখ কিংবা সাজা—সবই এই ধর্ম; ইসলামের বাতলে দেওয়া পন্থায় হবে। সুতরাং, মানুষ ধর্মকে বাঁচিয়ে রাখে না; যে মতবাদকে মানুষ বাঁচিয়ে রাখতে হয়, সেটা ধর্মই না। ধর্মের স্থায়িত্বের ব্যাপার তো আল্লাহর হাতে! দুনিয়ায় মনুষ্য সৃষ্ট অসংখ্য মতবাদ ধ্বংস হয়ে গেছে, সেগুলোকে যদি আপনি ‘ধর্ম’ বলে থাকেন, তবে আপনাকে আবারও ধর্মের সংজ্ঞা পুনর্পাঠ ও পুনর্চিন্তার আহ্বান করছি।
একটা দেশ পরিচালনায় নানান রকম আইনকানুন থাকে। দুনিয়ার ফ্যাসাদকারীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান পর্যন্ত থাকে। এখানে তো বলা হয় না, ‘মানুষই যদি না বাঁচে, দেশ দিয়ে কী লাভ?’
সুতরাং ‘মানবধর্ম’ টার্ম যে একটা ভুয়া পলিসি, ধর্মহীন করার সো কল্ড পদ্ধতি, এ বিষয়টা সম্ভবত খুব সাধারণ এ আলোচনাতেই স্পষ্ট হয়ে গেছে!
৩.
তৃতীয়ত আরেক পক্ষ আছে, তারা ধর্মে বিশ্বাসী, ইসলাম পালনের স্বাভাবিকতাস্বরূপ তারা নামায পড়েন রোযা রাখেন শুক্রবারে মসজিদে দান করেন। কিন্তু পর্দা করতে বললে—‘গরমে হাঁসফাঁস লাগে, বিয়ের অনুষ্ঠানে মুখ ঢেকে রাখলে আবার মান-ইজ্জত থাকে নাকি?’ এই পক্ষের চূড়ান্ত দলটা সো কল্ডের নরম অথচ সুচতুর মতবাদ শুধু বিশ্বাসই করে না, তাদের মতো করেই বলে, ইসলামকে এত কঠিন করার কী দরকার আছে! পর্দা করে না, এটা তো তার স্বাধীনতা। নারীরা নানানভাবেই অপদস্থ, এখন সচেতন হয়ে যখন নিজেদের স্বাধীনতার কথা বলছে, আপনারা জোর করে তার ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন ধর্মের দণ্ডমুণ্ড; তাকে ধর্মহীন আখ্যা দিচ্ছেন, ফাঁসির রায়ের সাব্যস্ত করছেন!
এই আপত্তির জবাবে প্রথমে বলে নিই, পর্দা কিংবা ইসলামের কোনো বিধানকে অস্বীকার করলে তার বিধান কী, সেটা আমার এই লেখায় আলোচ্য নয় বলে এড়িয়ে যাচ্ছি। আমি শুধু বলতে চাই উপরের কথাগুলো বলনেঅলারা বাতুলতার পেছনে ছুটছেন, এর সত্যাসত্য কী!
প্রথম কথা হলো, পর্দা ইসলামের ফরজ বিধান। পর্দা মানে সতর ঢেকে রাখা। পুরুষের সতর নাভি থেকে নিয়ে হাঁটু পর্যন্ত, নারীর সতর পুরো শরীর। মনে রাখতে হবে, ইসলামে বোরকা বা হিজাব ফরজ নয়, ফরজ হলো পর্দা। সুতরাং কোনো পুরুষ যেমন বেগানা নারীর সঙ্গে শরঈ সমর্থিত কোনো প্রয়োজন ছাড়া কথা বলতে পারবে না, তাকে ইচ্ছেকৃতভাবে দেখতেও পারবে না। এটা পর্দার হুকুম।
এখন আপনি এই ফরজ পালন করেন না বা করতে পারেন না সেটা আপনার দোষ। সর্বসমর্থিত মত অনুযায়ী এর জন্য ঈমান নষ্ট হয়ে যায় না। কিন্তু যদি আপনি এই বিধান না মানেন, কিংবা একে নারীর স্বাধীনতা হরণ বলেন; অথবা মিনমিন করেও বলেন, ‘ইসলামের সব ঠিক আছে, কিন্তু পর্দার বিধানটা তো নারীকে বাধাগ্রস্ত করেছে’, তাহলে আপনার নিজেকে নিয়ে চিন্তায় বসতে হবে, ঈমান নবায়ন করতে হবে এবং এই রকম ধারণা অথবা বক্তব্য থেকে তাওবা করতে হবে।
হযরত আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের মনের কল্পনাগুলো মাফ করে দিয়েছেন, যেগুলো তারা কথা বা কাজে পরিণত করেনি।’ (সহিহ মুসলিম, ২৩১)
দেখুন, পুরুষ যেমন সারাদিন খেটেখুটে স্ত্রী-সন্তানদের আহার যোগাবে, নারীও আন্তরিকতার সঙ্গে নিজেকে অন্য পুরুষ থেকে আড়াল করে নিজের স্বামীর আমানত রক্ষা করবে, এটা নারীর জন্য সিঙ্গেল হলেও পুরুষের জন্য ডাবল। নারীর শুধু পর্দা করতে হবে আর পুরুষের পর্দা তো করতে হবেই, স্ত্রী-সন্তানের জীবিকারও ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে তুলনামূলক কঠিনটা কার জন্য?
অতি সাধারণ এই চিন্তাটা যদি আপনি করতে পারেন, সো কল্ডের স্লো পয়জিং আপনাকে যথাসম্ভব কাবু করতে পারবে না। আপনার ঈমান হরণ করবে তো দূরের কথা, উলটো মজবুত হবে ইনশাআল্লাহ। ধর্ম যে নারীর স্বাধীনতা হরণ করেনি বরং নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে, এই সত্য নিয়ে আলিমরা প্রচুর লেখালেখি করেছেন এবং করছেন, শুধু সো কল্ড সেকুলার বা ধর্মহীনদের লেখাজোখা না পড়ে আলিমদের সেসবও পড়ুন, সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন, সংশয় কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।
সুতরাং আজকের আলোচনার সারবস্তু হলো,
ধর্ম কেবলই ইসলাম, অন্যগুলোকে ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যাবে না। ‘ধর্ম হিসেবে সবই সমান’ বা ‘পরধর্মে সম্মান’ তো বলা যাবেই না। তবে দাওয়াহর নিয়তে সব মতবাদের মানুষের সঙ্গে শরঈ সীমারেখার ভেতর সখ্যতা অথবা চিন-পহচান বজায় রাখা উচিত।
ইসলামের কোনো বিধানকে অস্বীকার কিংবা ন্যূনতম খাটো চোখেও দেখা যাবে না। সব মিলিয়েই পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান ইসলাম। অন্য মতবাদে এগুলোর কমতি আছে বলেই সেগুলো ধর্ম হিসেবে স্বীকৃত নয়। তার প্রমাণ হলো ‘আহলে কিতাব’দের সঙ্গে মুসলমানদের চলন-বলনরীতি।
ইসলামের কোনো বিষয়ে সংশয় অথবা প্রশ্ন জাগলে সেটার যুক্তিগুলো নিয়ে চিন্তায় বসতে হবে। নিজেকে সত্যের আয়নায় দেখার চেষ্টা করতে হবে। মুখরোচক কথা কোনো সমাধান নয়, বহু মুখরোচক বুলি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, কিন্তু ধর্মের প্রতিষ্ঠিত বিধানকে সামান্য টলাতে পারেনি, এই পয়েন্ট মাথায় রাখতে হবে।
ওমা তাওফিকি ইল্লাবিল্লাহ।
.
ধর্ম কি মানুষের সৃষ্টি? এবং সো কল্ডের মুখরোচক বাণী
#চিন্তার_বিবর্তন_প্রক্রিয়া - ১
ওমর আলী আশরাফ

পঠিত : ৬৫৬ বার

মন্তব্য: ০