Alapon

বেশি বেশি সেলিব্রেশন মানেই এক প্রকার স্টুপিডিটি...



আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রচুর স্টুপিডিটি হবে। প্রচুর পুষ্পস্তবক অর্পণ হবে। কিন্তু সে এসব কেন করে তা জানে না। আর সে যে জানে না তা চিন্তাও করতে চায় না। ইভেন, কেউ যদি স্মরণ করিয়ে দেয়ও তাও সে বহু কুযুক্তি দিয়ে মনকে ধোঁকা দেয়।

আজ প্রচুর মাতৃভাষা হবে, তবে আদালতের রায়টা কিন্তু ইংলিশেই লেখা হবে। আইন ইংলিশেই থাকবে। মেডিক্যালের বই ইংলিশেই থাকবে, তা অনূদিত হবে না। আসলে রায়, আইন, মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বইগুলো ইংলিশেই থাকা উচিৎ। কারণ, এসব বাংলা করার মতো যথেষ্ট মুরোদ আমাদের হয়নি। যতই দাবি তোলা হোক এসব রিলেটেড অথোরিটি কোনোদিনই তা চেইঞ্জ করবে না। কারণ, যারা এসব দাবি তোলে তারা স্টুপিডিটি থেকেই করে। তারা জানে না আইন বাংলা করা হলে জনগণ আগামী পঞ্চাশ কিংবা একশ বছর কী সীমাহীন ভোগান্তির সম্মুখীন হবে, বিচারব্যবস্থা কলাপস করবে।

বেশি বেশি সেলিব্রেশন মানেই এক প্রকার স্টুপিডিটি। সেলিব্রশন মানেই অতীতে অন্ধ হয়ে পড়ে থাকা। ভাষা আন্দোলন সফল হতে কিছু মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। এ গল্পে আমাদের চোখে ভারী হয়ে ওঠে। কিন্তু সেলিব্রেশনপ্রিয় আপামর বাঙ্গালি দেখতে পায় না— আজকাল প্রতিদিন এরচে বেশি মানুষ অনবরত খুন হচ্ছে, রোড এক্সিডেন্টে মারা যাচ্ছে। সে এসব জানে না। কারণ, অতীতকে সেলিব্রেট করতে তার আরাম লাগে। মাতৃভাষা দিবসে প্রচুর স্টুপিডিটি করে লাভ নেই। বরং মাতৃভাষায় অক্ষমতা স্বীকার জরুরি।

আজকাল মাতৃভাষা মাসের নামে গুণ্ডামি শুরু হয়েছে। তারা ইংরেজি বানানের কারণে বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ভাঙে। কিন্তু বাংলা ভাষার ঠাকুর বাংলা একাডেমি থেকে একাডেমি শব্দ বাদ দিতে পারেনি। বহু সরকারি ভবনের নাম ফলক ইংলিশে লেখা আছে, কিন্তু সেসব ভাঙার মুরোদ নাই। ভাঙার দরকারও নেই।

পঠিত : ২১৮ বার

মন্তব্য: ০