Alapon

ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধ



১৯২২ সালে ইউক্রেন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হয় এর পরে,
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটলে ইউক্রেন আবার একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়। স্বাধীনতা লাভের পর ইউক্রেনে বাজার অর্থনীতি চালু হয়।
ইউক্রেন কৃষিসম্পদে ভরপুর, একসময় ইউক্রেনকে সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘রুটির ঝুড়ি' বলা হতো৷ ইউক্রেনে রয়েছে চার কোটি ২০ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি, যেটা পুরো ইউরোপের ২২ ভাগ৷ বাজেটের শতকরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অর্থ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পকেটে যায় বলে মন্তব্য করেছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ৷ এছাড়া জিডিপি'র ৬১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে মাত্র একশো জন ধনী ব্যক্তি৷

যার ফলে দেশটি ১৯৯১সালে ৮ বছরব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কটে নিমজ্জিত হয়। তারপর থেকে দেশটির মোট দেশজ আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু ২০০৮ সালে ইউক্রেন আবার অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ে এবং অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালে মোট দেশজ উৎপাদন ২০% হ্রাস পায়।

সবকিছু বিবেচনায় ইউক্রেনের অর্থনীতি শক্তিশালী কাঠামোতে দাড়াতে পারতো কিন্তু, দুর্নীতির কারনে তা সম্ভব হয়নি।
পাশাপাশি রাশিয়া ও আমেরিকা হস্তক্ষেপ।
ভৌগোলিকভাবে কৌশলগত অবস্থানে থাকার কারনে ইউক্রেনের রাজনীতিতে সব সময় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেন রাশিয়া ও আমেরিকা আর এজন্যই ইউক্রেনে দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছেন!
যার সর্বশেষ পরিনতি ভ্লাদিমির পুতিন কর্তৃক গতকালেক যুদ্ধ ঘোষণা।

স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে আমেরিকা ও তার মিত্ররা এতদিন ইউক্রেনকে সাহস দিলেও গত ২দিন আগ থেকে তারা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে কৌশলে সহযোগিতা করার কথা বলছে! যেটা ইউক্রেন কখনও আশা করেনি।

আসলে পরাশক্তিরা এমন ভাবেই দূর্বল দেশগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, যেটা ইতিপূর্বে আমরা আফগানিস্তান,ইরাক,সিরিয়া,লিবিয়া সহ অন্যান্য রাষ্ট্রে দেখেছি।
আমেরিকা যদি একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাড়ায় রাশিয়া ঠিক তার বিপরীতে দাড়াবে এভাবেই তারা বিশ্বে অস্ত্রের ব্যাবসা সহ মানবাধিকারের নামে পৃথিবী থেকে পান্ড কালেকশনের ব্যবসা করে যাচ্ছে!
এবং অন্যান্য রাষ্টগুলোকে একটি বার্তা দিয়ে আসছে,হয় আমাদের মনমতো চলবা, নাহলে একটা ইস্যু তৈরি করে তোমাদের ধ্বংস করে দেবো!
আর এভাবেই চলছে বিশ্ব ব্যবস্থা!
যুদ্ধ যে জাতির বিরুদ্ধেই হোকনা কেন তা কোন স্বচেতন নাগরিকের সমর্থন পেতে পারেনা। কেননা পৃথিবীর যে প্রান্তেই যুদ্ধ শুরু হোক তার প্রভাব পুরো পৃথিবীকে অস্থির করে তুলবে এটাই স্বাভাবিক।
যার চাক্ষুষ উদাহরণ আমাদের সামনে রয়েছে, গতকাল থেকে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে,সোনার দাম বৃদ্ধি সহ অনেক পন্যের দাম রাতারাতি অনেক গুন বেড়ে যাওয়া।

আ জ ম ওবায়দুল্লাহ

পঠিত : ৩৭৭ বার

মন্তব্য: ০