Alapon

শান্তি প্রত্যাশী



'সুখ' নামক সোনার পাখিকে ধরতে গিয়ে আমরা জীবনের খেয় হারিয়ে ফেলি। সুখের পেছনে ছুটতে গিয়ে আমরা অসৎ পথকে বেছে নেই। কেনো জানি সুখী হতে চাওয়া জীবনগুলো বেশিই অসুখে পরিণত হয়। মানুষ যেন খুব করে চায় সুখী হতে।

আমরা সুখী হতে চাইলেও সুখী হতে কি কাজ করতে হবে তা জানলেও মেনে চলি না। অনেক এমন হয়ে গেছে 'ইমান না থাকলেও মুমিন হতে চাওয়ার' মতো। আমরা ইমানকে মজবুত করতে রাজি না, কিন্তু মুমিন দাবি করতে থাকি। আয়াতটা ভুলে গেছি,,,
“যারা বিশ্বাস করেছে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়। জেনে রেখো, অন্তর আল্লাহর স্মরণেই প্রশান্তি লাভ করে।”
(সূরা রাদ,২৮)

আমরা এই প্রশান্তির খোঁজে বেড়ায়। কিন্তু প্রশান্তি পাবার কাজ করি না। আয়াতের দিকে তাকালে ইমান আনার কথা বুঝা যায়। হযরত আবু বকর রা. যেমন নবীর মিরাজকে শুনেই বিশ্বাস করেছিল এবং সিদ্দিক উপাধী নিয়েছিল তেমনি এখানে কোনো রকমের প্রশ্ন ছাড়াই বিশ্বাসের কথা বলেছেন আল্লাহ তা'য়ালা। এটি ছিল আয়াতের প্রথমাংশ।

দ্বিতীয়াংশের দিকে তাকালে এখানে 'প্রশান্তি'র কথা বলেছেন। আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয় অর্থাৎ আমরা যখন খুব বেশি ডিপ্রেশনে চলে যাই! তখন আমাদের কোনো কাজ করতে ভালো লাগে না। তবে আমরা যদি অজু করে দু'রাকাত নামাজ পড়ে রবের দরবারে ফরিয়াদ করি তাহলে আমার মনে হয় যেন মনটা ফ্রেশ হয়ে যায়।

মুসলমানদের যখন ডিপ্রেশন আসে তখন তারা তার রবের দরবারে ডেকে শান্তি খোঁজে। আর যখন মুশরিকদের ডিপ্রেশন আসে তখন তারা মদ, নেশার মধ্যে শান্তি খোঁজে। কিন্তু আদৌ তারা তা পায় না। মুমিনের অন্তরে আল্লাহর বিশ্বাস, ইমান মুশরিকদের ভয়ের কারণ। আল্লাহর যিকির বলতে এখানে তাওহীদ বা একত্ববাদের বর্ণনা করার কথা বলা হয়েছে।

'যিকর অর্থ তাঁর ইবাদত, কুরআন তিলাওয়াত, নফল ইবাদত এবং দু‘আ ও মুনাজাত; যা ঈমানদারদের মনের খোরাক।'(তাফসিরে আহসানুল বায়ান)

বাস্তবিক জীবনে আমরা সুখ খুঁজতে যাই কিসে? কিভাবে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করি! আমরা কি তা ভেবে দেখেছি? আর আদৌ কি তা আমাদের মনের খোরাক?
অথচ আল্লাহ তা'য়ালা বলে দিয়েছেন কিভাবে মনে প্রশান্তির ঝর্ণা বয়ে যেতে পারে। আমরা এখন এই সুখের খোঁজ করতে গিয়ে নিজেদের জীবন থেকে ইসলামকে হারাতে বসেছি। যদিও নিজেরাই হেরে যাচ্ছি।

অপরদিকে যদি আমরা চিন্তা করি! নবী করিম সা. দুনিয়ায় এসে অনেক অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এটা সকলেরই প্রায় জানা। সেদিক থেকে চিন্তা করলে তার উম্মত হিসেবে আমরা যে একদমই নির্যাতন সহ্য করবো না তাও কিন্তু না। যদিও নির্যাতিত হওয়া মানেই যে অসুখী হওয়া তা কিন্তু নয়। কারণ যদি নির্যাতিত হওয়া মানে অশান্তিকে বুঝাতো তাহলে সাহাবায়ে কেরামগণ হাসিমুখে ইসলামের পথে জীবন দিয়ে দিতেন না। সুতরাং আল্লাহর পথে থাকলে 'সুখ' জিনিসটা এমনিতেই ধরা দিবে। সুখের পেছনে ছুটতে হবে না ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝের তৌফিক দান করুন।

~আব্দুল্লাহ আল কাফি জোহা

পঠিত : ৩৮৬ বার

মন্তব্য: ২

২০২২-০৩-০৬ ১৩:০৯

User
ইবনে ইসহাক

প্রিয় ভাই, খুব ভালো হয়েছে লেখাটি। শেষ অংশে নামটা যুক্ত করলে ভালো হতো......

submit

২০২২-০৩-০৬ ১৩:১৭

User
আব্দুল্লাহ আল কাফি জোহা :

জাযাকাল্লাহ ভাইয়া????

submit