Alapon

প্রেরণাদায়ক সত্য ঘটনা



ছেলেটির নাম আকাশ সিং বাড়ি বিহার,ভারত। রিয়ালেটি শো'তে পার্ফমেন্স করার জন্য মুম্বাই আসে বিহার থেকে।
সেখানে যখন রিয়েলিটি শো'তে তাকে রিজেক্ট করা হয় এমন পরিস্থিতিতে তার পাকেটে সামান্য কিছু টাকা ছিলো শুধু বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য।কিন্তু সে বাড়ি ফিরে যাবেনা কিছু একটা না করে,তার মুম্বাইতে থাকার কোনো জায়গা নেই, খাওয়ার জন্য কোনো টাকা নেই, রাতে শিবাজী পার্কে গাছের নিছে থাকত।
তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় তারা নিজেরাই চলতে পারতোনা, কিভাবে তার খরচ বহন করবে। এজন্য আকাশকে খাবারের টাকা জোগাড় কারার জন্য রাতে সিকুরিটি গার্ডের কাজ করতে হতো, সকালে দুধ ডেলিভারির কাজ করতো, স্টেশনে পত্রিকা বিক্রি করতো।
রাতের বেলায় গুরুদোয়ারার লংগরখানায় খাবার খেতো এবং প্রত্যেকদিন রাতে ঘুমানোর আগে সৃষ্টিকরতার কাছে দোয়া করতো আগামীকাল যদি সামান্য কিছু খাবার জুটে যায়! সে ৪ বছর নিজের পছন্দের কোনো খাবার খেতে পারেনাই! মানুষ মুম্বাইয়ে নিজের পছন্দের খাবার অনেক বেশি খেতে পারে। কিন্তু সে কোনোদিন ভালো খাবার পায়ই নাই! তার সবচেয়ে পছন্দের খাবার হচ্ছে তার মায়ের হাতের খাবার, কিন্তু সে মুম্বাই আসার পর থেকে আর বাড়ি যেতে পারে নাই গত ৪বছর। এবং কখন যেতে পারবে সেটাও জানেনা! এত কষ্ট করার পরেও আকাশ বাড়িতে মা-বাবার সাথে ফোনে কথা বলার সময় বলতো আমি ভালো আছি! তাদেরকে কখনও বুঝতে দেয় নাই সে এত কষ্ট করে এখানে।
এক বদ্রলোক পরে তাকে থাকার জায়গা করে দেন।
সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে সে, যে ফার্পমেন্সটা রিয়েলিটি শো'তে সেদিন করে এই ডান্সটা সে আগে পারতোনা, এবং কি এটা শোখার জন্য তার কোনো ট্রেনারও ছিলোনা।
সে নিজের প্রচেষ্টা পুরো লকডাউনের মধ্যে এটা শিখেনেয় এবং প্রেকটিস করতো শিবাজী পার্কে যে গাছের নিছে সে ঘুমাতো সেটার মধ্যে কাপড় টানিয়ে, সাথে একটা পিলার ছিলো সেটাতে।

এর পর মিঠুন চক্রবর্তী তার জীবনের গল্পশোনায়; তিনি বলেন যে আমি একটা গল্প বলবো তুমি বিশ্বাস করবে?
আমি যখন মুম্বাইয়ে আসি তখন আমি চিন্তা করলাম আমার যে চেহারা হিরোতো বাদ, কেউ আমাকে এক্টার হিসেবেই নিবেনা।
তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমি ভিলেন হবো ডান্সিং ভিলেন, তাই আমি লিংকিং রোডের একটা জিমে যাওয়া শুরু করি।
প্রত্যেকদিন সকাল ৬.০০টায় বডি বিল্ডিং করা করার জন্য যেতাম, জিমের মালিক আমাকে জিগ্যেস করলো, তুমি কি কর?
আমি বললান কিছু করিনা, তবে করার জন্য আসছি।
এখন আমারতো টাকা নেই আপনার জিমের ফিস দেয়ার জন্য, আমি যদি প্রতিদিন আপনার জিম পরিস্কার করে দেই তাহলে আমার ৩০টাকা না দিলেও হবে?
তখন তিনি হ্যাঁ বললেন, আমি প্রতিদিন জিম জাড়ু দিতাম, জিম পরিস্কার করতাম, আর নিজে জিম করতাম।
এরপর খাবার কোথায় পাবো?
তাই কোলিবাড়া সায়েন বিচ আছে একটা তার অপর পাশে বড় বড় রেস্টুরেন্টে ছিলো অনেকগুলো, সেখানে প্রত্যেক দিন রাত ১০.০০টায় চলে যেতাম, তখন সর্দাররা আসতো সেখানে, বড় বড় পয়সাওয়ালা লোকজন, আমাকে ডেকে সোখানকার সার্দররা বলতো বাঙালি এদিকে আয়, যাওয়ার পর খাবার দিত এভাবেই দিন কেটে যায়।

আপনে স্বাপ্নোকো মাজবুর করদো কে ওয়ো শামা যায়ে(নিজের স্বপ্নকে মজবুর করেদাও যাতে সে বাস্তবায়ন হতে বাধ্য হয়)।
আমার প্রথম ফিল্ম এর জন্য ন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলাম, কিন্তু এর পরেও আমি বেকার ছিলাম কেউ আমাকে এক্ট করার জন্য নেয়নি!

মানুষের জীবনের প্রচেষ্টাগুলো যদি এমন হয় তাহলে তার স্বপ্ন কখনও স্বপ্ন থাকবেনা বাস্তব রূপ নিতে বাধ্য হবে যা আকাশ করে দেখিয়েছেন।

আ জ ম ওবায়দুল্লাহ

পঠিত : ৪৬৫ বার

মন্তব্য: ০