Alapon

আদিবাসী ও উপজাতি

আদিবাসী ও উপজাতি বিতর্ক অনেক দিনের। আমাদের দেশের কয়টি জাতি গোষ্ঠীর হাজার বছরের-ইতিহাস ঐতিহ্য, সাহিত্য সংস্কৃতি, রাজবংশ বা রাজনীতির ইতিহাস আমাদের জানা আছে? যদি এই বিষয় গুলো আমাদের জানা থাকে তবে তবে আদিবাসী কারা তা সহজে অনুমান করা যাবে।

বাঙালী ও বাংলা ভাষীরাই এদেশের সত্যিকারের আদিবাসী। এর পেছনে জাতিতাত্ত্বিক ও বৈজ্ঞানিক যুক্তি ও প্রমাণ রয়েছে। বাংলাদেশে বাঙালীরা বসবাস করে আসছে ৪ হাজার বছরেরও আগে থেকে।অন্যদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান উপজাতি চাকমাদের আদি বাসস্থান ছিল মঙ্গলিয়া ও আরাকান। ত্রিপুরাদের বসবাস ছিল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এবং মারমারাও এসেছে মিয়ানমার (সাবেক বার্মা) থেকে। সে অর্থে তারা কেউ আদিবাসী নয়, বরং অভিবাসী। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে দেশান্তরী হয়ে এদেশে আনুমানিক ৫শ’ বছর থেকে এ ভূখণ্ডে বসবাস করে আসছে। তাই কোনক্রমেই এসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, উপজাতিরা আদিবাসী হতে পারে না।

উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর ইতিহাস হচ্ছে এরা সবাই যুদ্ধবিগ্রহ এবং হিংস্র দাঙ্গা-হাঙ্গামার ফলে তাদের পুরনো আবাসস্থল থেকে এ অঞ্চলে পালিয়ে এসেছে। আর তাদেরকে নিরীহ মনে করে এদেশে বসবাস করতে দেয়া হয়েছে। আর বর্তমান সময়ে তারাই বাঙালীদের সেটেলার দাবি করে আসছে। পাহাড় থেকে বাঙালীদের বিতারিত করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে জুম্মল্যান্ড করার পায়তারা করে আসছে। তারা বিভিন্নভাবে বাঙালীদের উপর অমানবিক নির্যাতন করে যাচ্ছে। অথচ তাদেরকে এদেশে বসবাস করতে না দিলে হয়ত তাদের কোন অস্তিত্বই খুজে পাওয়া যেত না।

মূলত এই উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো সেটেলার বা অভিবাসী। আন্তর্জাতিক মহলে এদেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার জন্য তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। উপজাতিদের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে আগমন ঘটেছে ১৭২৭ সাল থেকে। তখন হতে তারা এই অঞ্চলে অভিবাসী হিসেবে বসবাস করে আসছে। সঙ্গত কারণে তারা আদিবাসী নয়।

যেহেতু বাঙালীরাই এদেশের মূল আদিবাসী এবং উপজাতি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা মূলত অভিবাসী, অনুপ্রবেশকারী। আর জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী পার্বত্য উপজাতীয় অধিবাসীরা আদিবাসী নয় এবং তাদের আদিবাসীর স্বীকৃতি আদায়ের অপচেষ্টা ভবিষ্যতে আঞ্চলিক ভুখন্ডকে বিপজ্জনক করার একটি অপকৌশল মাত্র।

বিদেশি কিছু এনজিও যারা চাকমাদেরকে আদি বাসি হিসেবে প্রমানের নানা চেষ্টা করছে। এনজিওর নামে পাহাড়ে বিভিন্ন সময় রাষ্ট্র বিরোধী কাজ করে চলেছে। অথছ, সরকার নিশ্চুপ!

পঠিত : ৩০২ বার

মন্তব্য: ০