Alapon

নারী : প্রেক্ষিত ইসলাম ও বস্তুবাদ



নারী : প্রেক্ষিত ইসলাম ও বস্তুবাদ
- ইমরান হোসাইন নাঈম

চলমান সময়ের চিন্তা-চেতনা, কাজ-কর্ম ও মন-মানসিকতা, মোটকথা বর্তমান জীবন দুটি ধারায় প্রবাহিত ৷ একটি হলো ইসলামি আদর্শ-স্নাত জীবন ৷ অন্যটি বস্তুবাদী ধ্যান-ধারণায় আক্রান্ত ব্যবস্থা ৷ ফলে জীবনের প্রত্যেকটা স্থানেই সুস্পষ্ট পার্থক্য পরিদৃশ্যমান ৷ ঠিক তেমনই নারী প্রশ্নেও ইসলাম ও বস্তবাদের অবস্থান বিপরীতমুখী ৷ ইসলাম ও বস্তুবাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকাটা অবশ্যম্ভাবী ৷ কারণ উভয়ের চিন্তার দৃষ্টিকোণেই রয়েছে বিস্তর ফারাক ৷


বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত যে প্রশ্নগুলো শিক্ষাপ্রাপ্ত প্রায় সকলকেই কিঞ্চিত হলেও আলোড়িত করে তার মধ্যে নারী প্রশ্ন অন্যতম৷ পরিচ্ছন্ন বোধ ও শাণিত যুক্তির দরুন ইসলাম প্রদর্শিত নারী সমস্যার সমাধান গ্রহণ করেন অনেকেই৷ অপরদিকে অপরিপক্ব জ্ঞান ও অর্বাচীন চিন্তার ফলে কথিত নারীবাদের শিবিরে আশ্রয় নেয় কেউ কেউ৷ আবার প্রকৃত পথের সন্ধানে দোদুল্যমান অনুসন্ধানকারীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়৷

সত্যকে টেনে বের করতে তারা চেষ্টার কমতি রাখেন না৷ ইসলাম ও বস্তুবাদের দর্শন পাঠে তাদের সময় অতিবাহিত হয়৷ আমরা, এই সবুজ পাঠকরা, যদি ইসলাম ও বস্তুবাদের দর্শন-শেকড় বের করতে পারি তবে দর্শনদ্বয়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণ সহজ হয়ে যাবে৷ সেই জন্যই এই ক্ষুদ্র প্রয়াস৷

বস্তুবাদের চিন্তার ভিত হলো অর্থনীতি ৷ জীবনের প্রত্যেকটা বিষয়কেই অর্থনীতির ছকে ফেলে মাপতে অভ্যস্ত বস্তুবাদ ৷ অধ্যাপক জোডের ভাষায়, বর্তমান যুগের বিজয়ী দর্শন হইতেছে পেট, পেট বা পকেটের দৃষ্টিতেই এ-যুগের সবকিছুর বিচার ও যাচাই হয়। (ইসলামের অর্থনীতি, মুহাম্মদ আব্দুর রহিম, পৃ,৭ )

সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নাদাবী রহ. বস্তুবাদ সম্পর্কে বলতে গিয়ে লিখেন—জড়বাদী চিন্তা ও বস্তুবাদী চেতনা ইউরোপে এমনই সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করেছিলো যে, এরই যুপকাষ্ঠে তারা নিজেদের হৃদয় ও আত্মা এবং প্রাণ ও প্রাণসত্ত্বাকে বলি দিয়েছিলো৷ ফলে জীবনের সর্বক্ষেত্রে বস্তুগত মূল্যবোধ ছাড়া আর সবকিছু তারা সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়েছিলো৷ তাসাউফের পরিভাষা ‘ফানা ফিল্লাহ’ -এর অণুকরণে বলা যায়, ইউরোপ ও তার সমস্ত জনগোষ্ঠি এক্ষেত্রে ফানা ফিল মাদ্দাহ—জড়বস্তুর জন্য আত্মবিলীনতা-এর স্তরে উপনীত হয়েছিলো৷ এক কথায় অর্থ ও অর্থনীতিই ছিলো তাদের জীবনের সর্বেশ্বরবাদ বা ওয়াহদাতুল অজূদ৷। ( মুসলিম উম্মাহর পতনে বিশ্বের কী ক্ষতি হলো ,পৃ: ৩৩৩)

ফলে যেখানে পেট বা পকেটের ব্যাপার থাকেনা সেখানেই বস্তুবাদের অনীহা ৷ বস্তুবাদের মৌলিক ভ্রান্তিটা এখানেই ৷ জীবন নামের প্রকাণ্ড বৃক্ষটাকে তার একটা শাখার ওপরে দাঁড় করাতে চেয়েছে ৷ দুর্বল ভিতসহ গোটা বৃক্ষটাই ধ্বসে পড়েছে ৷ জীবনকে অর্থনীতির গন্ডিতে আবদ্ধ করে এক স্বার্থবাদী পৃথিবীর জন্ম দিয়েছে এই দর্শন ৷ যেখানে স্বার্থ ছাড়া, আরও স্পষ্ট করে বললে, অর্থ ছাড়া কেউ কারও নয়৷

কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ আলাদা ৷ ইসলাম জীবনকে পর্যবেক্ষণ করে সামগ্রিকভাবে ৷ ইসলাম যেমন একদিককে প্রাধান্য দিয়ে অন্য দিককে অবহেলা করে না, তেমনি তা সমগ্র জীবনকে কেবল একটি শাখা দিয়ে বিচার করে না ৷ এমন করে মানবজীবনে সুষ্ঠতা ও সুসংবদ্ধতা প্রতিষ্ঠিত হয় না ৷

দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ পূর্ণাঙ্গ দর্শনের সংজ্ঞায় বলেন, সে দর্শনের উপকরণ হবে জীবন্ত মানুষের সবগুলো বৃত্তি ও প্রবৃত্তি৷ তার লক্ষ্য হবে পূর্ণ মানুষ সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ৷ তার নৈতিক আদর্শ হবে পরস্পর ভিন্নমুখী প্রবৃত্তির সামঞ্জস্যবিধান৷ তার সামাজিক ও রাষ্ট্রিক আদর্শ হবে ব্যষ্টি ও সমষ্টির অধিকার সমন্বয়৷

পরের অনুচ্ছেদে লিখেন, সে পূর্ণাঙ্গ জীবন-দর্শনেরই অপর নাম ইসলাম৷ ইসলামকে তাই বলা হয় মানবতার ধর্ম৷ এই ধর্মের উৎপত্তি হযরত মুহাম্মদ মুস্তফার(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রচার থেকে নয়—সৃষ্টির আদি থেকেই নানাবিধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ভুল-ভ্রান্তির পথে মানুষ তার পূর্ণ পরিচয় লাভের জন্য এ পথেই চলেছে৷

কিছুটা সামনে এগিয়ে তিনি বলেন, ইসলাম গোড়াতেই মানবজীবনকে দেখেছে পূর্ণভাবে; সেজন্য বিভিন্ন প্রবৃত্তি বা জ্ঞানের বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে তারতম্য করলেও কোনোটাকেই অস্বীকার করেনি৷ মানবজীবনের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি— ক্ষুধা, যৌনস্পৃহা প্রভৃতিকে ইসলাম কোনদিনই অস্বীকার করেনি; বরং কিভাবে ক্ষুধার নিবৃত্তি সুষ্ঠভাবে হতে পারে, কিভাবে মানুষ জীবনে শান্তি পায়— তার ব্যবস্থা করেছে৷ মানব-প্রকৃতির স্বাভাবিক বিকাশের পথ সুগম করার জন্য এ জীবনদর্শনে মানবজীবনের বৈচিত্র্য গোড়াতেই স্কীকৃত হয়েছে৷ (জীবন সমস্যার সমাধানে ইসলাম, পৃ: ৬১)

অর্থনীতির বাগডোর হাতে নিয়ে জীবনকে নিয়ন্ত্রিত করার আকাশকুসুম স্বপ্ন বস্তুবাদের ৷ বাস্তবতার সাথে যার কোনও মিল নেই ৷ কিন্তু জীবন নিয়ে ইসলামের দর্শন সামগ্রিক, সর্বাঙ্গীন৷


বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম বলেছেন, অর্থনীতি যে মানবজীবনের অসংখ্য সমস্যার মধ্যে একটি গুরুতর সমস্যা, তাহাতে বিন্দুমাত্র সংশয় থাকিতে পারে না ৷ সেই সংগে ইহাও অনস্বীকার্য যে,অর্থনৈতিক সমস্যাই মানবজীবনের একমাত্র সমস্যা নয়, সর্বশ্রেষ্ঠ বা প্রধানতম সমস্যাও তাহা নয় ৷ আর মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান হইয়া গেলেই তাহার সামগ্রিক জীবনের সর্ববিধ সমস্যারও সমাধান আপনা -আপনি হইয়া যাইবে, এমন কথাও বলা যাইতে পারে না৷( ইসলামের অর্থনীতি, পৃ:৭)

শহীদ সাইয়্যেদ কুতুব তার ‘বিশ্ব শান্তি ও ইসলাম’ গ্রন্থে বলেন, মানুষ তার ব্যক্তি ও সমাজজীবনে এমন একটি দর্শনের তীব্র মুখাপেক্ষী, যা মানুষের জ্ঞান এবং কর্মজীবনের সকল দিক এবং বিভাগকে আচ্ছন্ন করে ৷

কিছুটা এগিয়ে বলেন, এক্ষেত্রে কেবল ইসলামি দর্শনই হচ্ছে একক দৃষ্টান্ত, মানবতা তার দীর্ঘ ইতিহাসে যাকে পরিপূর্ণভাবে দেখতে পেয়েছে ৷ এ দর্শন এতোটা ব্যাপক যে, জীবনের সকল বিভাগে ছেয়ে আছে ৷ তা মানবজীবনের কোনো একটি বিভাগকে গ্রহণ করে অন্য বিভাগগুলোকে বর্জন করে না ৷ জীবনের একটি দিককে ফুটিয়ে তুলে অন্য দিকগুলো থেকে পলায়ন করে না। (পৃ: ৮-৯)

ইসলামি জীবনব্যবস্থা আমাদের আলোচ্য বিষয় নয় ৷ ইসলাম ও বস্তুবাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন,আমরা তা-ই দেখার চেষ্টা করলাম৷ যা আমাদেরকে ইসলাম ও বস্তুবাদের মাঝের বিরাট পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করবে ৷ নারী প্রশ্নে উভয়ের দর্শন পাঠেও আমরা সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারবো ৷ বোঝার সুবিধার্থে একটা উদাহরণ টানছি৷

বস্তুবাদ নারীদের ব্যাপকভাবে ঘর ছাড়ার কথা বলে ৷ আর এর পেছনে কারন ঐ একটাই, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হওয়া৷ বস্তুবাদী চিন্তাবিদরা নারীর সামাজিক, পারিবারিক ইত্যাদি সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য এই ব্যবস্থাপত্রই পরিবেশন করে থাকেন ৷ তারা বলেন,নারী যদি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয় , তবেই নারী সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে ৷ অর্থাৎ অর্থনীতিকেই তারা নারীমুক্তির প্রধান হাতিয়ার ভেবে নিয়েছে৷ যেমনটা বস্তুবাদের স্বভাব-চরিত্র ৷

ব্যস, অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হবার জন্য ঘরকে বিরান করে দিয়ে নারীকে বাইরে টেনে নিয়ে এল বস্তুবাদ ৷ আর ঘরের প্রতি কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই বস্তুবাদের ৷ কিন্তু ইসলাম এরকম বিচ্ছিন্নভাবে চিন্তা করে না ৷ ইসলাম ঘরকে সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ মনে করে ৷ বরং সমাজ, রাষ্ট্র ,ও বিশ্বের মূল স্প্রিট এই ঘর ৷ মানবতার লালন ক্ষেত্র এই ঘর ৷ ইসলাম এভাবেই ঘরকে চিন্তা করে ৷ সুতরাং ঘরকে বিরান করা কীভাবে যৌক্তিক হতে পারে?

ঘর থেকেই আমাদের শিশুরা বেড়ে ওঠে ৷ যথাযথ প্রতিপালনের দরুন সে হয় জাতির কর্ণধার ৷ অন্যথায় সে নিজে তো উচ্ছন্নে যা-ই, সঙ্গে দেশ ও জাতির জন্যও সে হয় অভিশাপ ৷

শহীদ সাইয়্যেদ কুতুব বলেন, ঘর মানুষের আশ্রয়স্থল, শান্তির স্থান৷ ঘরের ছায়ায় শৈশবকাল অতিবাহিত হয়৷ এরই কোলে শৈশব পেরিয়ে যৌবনের উন্মেষ ঘটে৷ ঘরের চারি দেয়াল থেকেই গড়ে ওঠে স্বভাব-চরিত্র, আচার-আচরণ, তারই পরিবেশে শ্বাস গ্রহণ করে পরিপুষ্টি লাভ করে৷ সমাজের বিশাল কর্মস্থলে এমন অনেক ঘটনা আছে, যা ইতিহাসের গতিধারায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। কিন্তু একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে, এর গোপন রহস্য পারিবারিক জীবনের সাধারণ ঘটনার মধ্যে নিহিত রয়েছে৷ ( বিশ্ব-শান্তি ও ইসলাম, পৃ:৮১)

তাই ইসলাম মমতাময়ী নারীর হাতে মানবতার লালন-ক্ষেত্র তুলে দিয়েছে ৷ যথাযথভাবে মানবতার পরিযর্যার জন্য তাকে অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিয়েছে ৷ স্বামীর ওপর ন্যস্ত করেছে স্ত্রী-সন্তানের ভরণ-পোষণের দায়ভার ৷

ঘরকে সঠিক অর্থে ঘরে পরিণত করা এবং কাঙ্ক্ষিত সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টি করা, এতে লালিত-পালিত কোমলমতি শিশুদের তত্ত্বাবধানের খাতিরে ইসলাম পুরুষের ওপর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব ন্যস্ত করেছে এবং এ দায়িত্ব পালনকে তার জন্য ফরজ করা হয়েছে৷ এর উদ্যেশ্য হচ্ছে, শিশুদের মাতাকে অর্থনৈতিক সংগ্রাম-সাধনা থেকে মুক্ত করে এতোটা সময়-সুযোগ-সুবিধে দেয়া, যাতে সে মাসুম শিশুদের লালন-পালনের প্রতি সম্পূর্ণ মনোযগ দিতে পারে৷ (প্রাগুক্ত, পৃ: ৮৪)

ঘরের মধ্যে নারী নির্যাতিত হচ্ছে, তাই বলে কি নারীকে ঘরের বাইরে টেনে আনতে হবে? নাকি ঘরের সমস্যা ঘরেই মিটাবার চেষ্টা করতে হবে? যুক্তি কী বলে? ঘরের মধ্যে সমস্যা তাই ঘরকেই উজাড় করে দেওয়া, এ যেন মাথা ব্যথায় মাথাই কেটে ফেলার মতো!

বস্তুবাদ অবশ্য এসবের ধার ধারে না ৷ কেবল অর্থনীতি নিয়েই বস্তুবাদের যত মাথা ব্যথা ৷ কিন্তু বস্তুবাদীদের মাথায় এই চিন্তা এলো না যে,পুরো বিশ্বের শান্তির জন্য চাই প্রত্যেক রাষ্ট্রের শান্তি নিশ্চিত করা ৷ রাষ্ট্রের শান্তি আসবে তার সমাজব্যবস্থা সুশৃঙ্খল থাকলে ৷ আমাদের পরিবারগুলোতে শান্তি থাকলেই না তবে সমাজ শান্তিপূর্ণ হবে ৷ তবে শান্তির উৎসমূল এই ঘরকে আমরা কীভাবে উপেক্ষা করতে পারলাম! নিছক অর্থ দিয়ে বস্তুবাদ শান্তি স্থাপন করতে চেয়েছে এবং তা চরমভাবে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে৷


নারী যেহেতু ঘরকন্যা করে অর্থ উপার্জন করতে পারে না, তাই বস্তুবাদ একে কাজ মনে করে না ৷ অথচ শরীর বিকিয়ে দিয়ে যে নারী আয় করছে সে বস্তুবাদের দৃষ্টিতে কাজের কাজ করছে ৷

যে কোনও বিষয় নিয়ে ইসলামি দর্শন এবং বস্তুবাদের দর্শন পাঠ করার সময় আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে, ইসলাম সামগ্রিকভাবে চিন্তা করে ৷ যাতে সমাধানের নামে কোনও বিষয় জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন না হয় ৷ তাই ইসলামের এক-আধটা নীতি শুনে পুরো ইসলামি ব্যবস্থা বোঝা যাবে না৷ বস্তুবাদ বিচ্ছিন্ন চিন্তাধারায় শুধু অর্থনীতি দিয়েই সব সমাধান করতে চায় ৷ এতটুকু মাথায় রেখে উভয় দর্শনের মতামত বিশ্লেষণ আমাদের জন্য সহজ হবে ৷

পঠিত : ২০৫ বার

মন্তব্য: ০