Alapon

সিয়াম সাধনা ও আধুনিক বিজ্ঞান...



সিয়াম এক প্রকার চিকিৎসা বিজ্ঞান। আধুনিক বিজ্ঞান উপবাস দ্বারা রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের প্রতি ডাক্তারদের পথ নির্দেশ করছে। মহান স্রষ্টা মানুষের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ সাধণের লক্ষ্যে তাঁর প্রণীত ধর্ম ইসলামে এটি ফরজ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বিধান হিসেবে মানুষদের যে যে হুকুম দিয়েছেন সেসব হুকুমের মধ্যে আধুনিক বিজ্ঞান তার গবেষণা চালিয়ে প্রভূত বৈজ্ঞানিক কল্যাণের উদ্ভাবন করছে। বক্ষমাণ প্রবন্ধে সিয়াম-সাধনায় বিজ্ঞানের ছোঁয়া নিয়ে সামান্য আলোকপাত করা যাক। বৈজ্ঞানিক উপকার সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ইসলামের প্রতিপক্ষের প্রশ্নবাণ থেকে এ গরিয়ান বিধানও মুক্ত নয়। অথচ এই সিয়াম সাধনার দোরগোড়ায় এমন সোশালিস্টিক যুক্তিও রয়েছে যা তাকে সহানুভূতির সমুজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত করেছে।

সিয়াম নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজ অলরেডি শুরু হয়ে গেছে এবং খুব জোরেশোরেই তা চলছে। মেডিকেল সাইন্সে সিয়ামকে বলা হয় "অটোফেজি"। Autophagy গ্রিক শব্দ। Auto অর্থ নিজে নিজে, এবং Phagy অর্থ খাওয়া। সুতরাং, অটোফেজি মানে নিজে নিজেকে খাওয়া।

সাইন্স এখানে নিজের গোস্ত নিজেকে খেতে বলছে না। শরীরের কোষগুলো বাহির থেকে কোনো খাবার না পেয়ে নিজেই যখন নিজের অসুস্থ কোষগুলো খেতে শুরু করে, তখন মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় তাকে অটোফেজি বলা হয়।

আমাদের ঘরের ডাস্টবিনের ন্যায় কিংবা কম্পিউটারের রিসাইকেল বিন-এর মতন আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষেরও একটি করে ডাস্টবিন আছে। সারা বছর শরীরের কোষগুলো খুব ব্যস্ত থাকে। নিজের ডাস্টবিন পরিষ্কারের সময় পায় না। ফলে কোষগুলোতে অনেক বর্জ্য জমে যায়।

কোষগুলো যদি নিয়মিত তাদের ডাস্টবিন পরিষ্কার করতে না পারে, তাহলে একসময় সেগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে শরীরে বিভিন্ন প্রকারের রোগের উৎপন্ন করে। ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসের মতো অনেক বড়বড় রোগের শুরু হয় এখান থেকেই।

মানুষ যখন খালি পেটে থাকে, তখন শরীরের কোষগুলো অনেকটা বেকার হয়ে পড়ে। কিন্তু এগুলো আমাদের মতো অলস বসে থাকে না। প্রতিটি কোষ তার ভিতরের আবর্জনা ও ময়লা পরিষ্কার করতে শুরু করে।

আর সেগুলোর আমাদের মতো আবর্জনা ফেলার জায়গা নেই বলে তারা নিজের আবর্জনা নিজেই খেয়ে ফেলে। মেডিক্যাল সাইন্সে এই পদ্ধতিকে বলা হয় অটোফেজি। ২০১৬ সালে জাপানের ডাক্তার "ওশিনরি ওসুমি" এর উপর গবেষণা করে নোবেল পান। শুধু তিনি নন; অনেক বোদ্ধাজন অনেকভাবে এটির বিশ্লেষণ করেছেন।

ইসলাম শান্তি ও নিরাপত্তার ধর্ম। ইসলাম তার অনুসারীদের কিছু বিধি-নিষেধ দিয়ে থাকে। তাদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়েও দিক নির্দেশনা দেয়। তাই ইসলাম সিয়াম সাধনার নির্দেশ দিয়ে মানুষদের বাতলে দিয়েছে এক সুন্দর সুখী জীবনের উপায়। হযরত আবু হুরায়রা রাযি. বলেছেন, নবী কারীম সা. বলেন, "তোমরা রোজা রাখো, তাহলে সুস্থ থাকতে পারবে"।

হাদীসের বহু কিতাবে অসংখ্য বর্ণনায় রয়েছে সিয়াম সাধনায় রয়েছে মানুষের রোগমুক্তি। এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ হল সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের গবেষণা। সে গবেষণায় দেখা গেছে, সিয়াম টিউমার সৃষ্টি ও এর ক্রমবিস্তারের গতিরোধ করে এবং কিছু ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপির পাশাপাশি সিয়াম সাধনায় থাকলে ওইসব ক্যান্সার ভালো হয়ে যায়। গবেষক দলটি একটি ইদুরের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখেন খাদ্য পানীয় গ্রহণ না করলে টিউমার কোষগুলো শরীরের স্বাভাবিক কোষগুলো থেকে ভিন্ন রকম আচরণ করে। সিয়াম অবস্থায় টিউমার কোষগুলো স্বাভাবিক কোষের শীতনিদ্রার মতন সুপ্ত বা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় প্রবেশ করে না। বরং বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে এবং অবশেষে নিজেরাই নিজেদেরকে ধ্বংস করে ফেলে।

সায়েন্স ট্রান্সলেইশনার মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় "লংগো" এবং তার গবেষক দলটি ইদুরের মূত্রনালী এবং জরায়ুর ক্যান্সারের উপর সিয়ামের প্রভাব কী, তা নিয়ে গবেষণা চালান। এতে দেখা যায় কোনো প্রকার কেমোথেরাপি ছাড়াই কেবল সিয়াম সাধনায় থাকলে স্তন ক্যান্সার, মেলানামো নামক ত্বকের ক্যান্সার, গ্লায়োমা নামক ব্রেইন ক্যান্সার এবং নিউরোব্লাস্টমা নামক স্নায়ুকলার ক্যান্সারের ছড়িয়ে পড়াকে রোধ করা যায়।
১৯৬০ সনের ২২ মার্চ রুশ শরীর বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ভিএন নিকটন এক বক্তৃতায় দীর্ঘায়ু লাভের তিনটি উপায় বলেছিলেন। তিনি বলেন, শরীর সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিন যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। পরিমিত ব্যায়াম করতে হবে আর তৃতীয়ত সিয়াম সাধনা করতে হবে। সাধনা, আত্মত্যাগ এবং প্রবৃত্তির বিরোধিতাই হচ্ছে নৈকট্যশীলদের আসনে উন্নীত হওয়ার সোপান। আর সকল সাধনার শ্রেষ্ঠ সাধনা হল ভোগ বিলাসিতা পরিত্যাগ করা।

সিয়াম সাধনা যখন রাসূল সা. পালন করেছিলেন তখন আল্লার পক্ষ থেকে খন্দক ও বদরে সাহায্য পৌঁছে গিয়েছিলো। আবার এ উপবাস যখন গান্ধিজি পালন করেছিলেন তখন হিন্দুরা তার পূজা শুরু করে দিয়েছিলো।

গান্ধিজীর উপবাস থাকার বিষয়টি খুব প্রসিদ্ধ। জনাব ফিরোজরাজ গান্ধীজীর জীবনিতে লিখেছেন, "তিনি ছিলেন রোজা রাখার পক্ষপাতী। তিনি বলতেন যদি তোমরা শরীরকে সতেজ ও সচ্ছল রাখতে চাও, তাহলে শরীরকে দাও তার ন্যূনতম আহার আর পূর্ণ দিবস রোজা রাখো। সন্ধ্যা বেলা বকরির দুগ্ধ দ্বারা রোজা ভঙ্গ করো"।

প্রফেসর মুর পাল্ড দিল, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিচিত নাম। তিনি বলেন মুসলমানদের ধর্মে রোজা অধ্যায় দেখে বিস্মিত হই এবং সে অনুযায়ী উপবাস শুরু করি। দীর্ঘদিন যাবত আমি পেটের ফোলা (Stomach Inflammation) রোগে ভুগছিলাম। রোজা রাখার অল্প দিন পরেই অনুভব করলাম রোগ অনেকটা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, ইসলাম যদি শুধু রোজার ফর্মুলাই শিক্ষা দিতো তাহলে এর চেয়ে উত্তম আর কোনো নিয়ামত তাদের জন্য হতো না।

আরেক পণ্ডিত ব্যক্তি পোপ এলফ গাল ছিলেন হল্যান্ডের একজন নামকরা বড় পাদ্রি। রোজা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি আমার অনুসারীদের প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছি। এ কর্ম পদ্ধতিতে দৈহিক ও পরিমাপিক সমন্বয় অনুভব করেছি।আমি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও পাকস্থলী রোগে আক্রান্ত রোগীদের পূর্ণ একমাস রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছি।

ডা. লুথরজেম অব ক্যাম্ব্রিজ ছিলেন একজন Pharmacology বিশেষজ্ঞ। প্রতিটি বস্তুকে গভীরভাবে দেখা ছিলো তাঁর স্বভাবগত ব্যাপার। একবার তিনি ভুখা মানুষের আর্দ্র পদার্থ (stomach secretion) নিয়ে তার ল্যাবটরিতে টেস্ট করে দেখতে পেলেন তাতে খাদ্যের দুর্গন্ধময় উপাদান (Food particles septic) যার দ্বারা পাকস্থলী রোগ ব্যাধী গ্রহণ করে, তা একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়। তখন মি.লুথন বলেন, সিয়াম শারীরিক রোগব্যাধী বিশেষ করে পাকস্থলীর রোগব্যাধী থেকে মুক্তির গ্যারান্টি।

বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী সিগমন্ড নারায়ণ বলেন, রোজাদার ব্যক্তির শরীর বারংবার বাহ্যিক চাপ external pressure গ্রহণের ক্ষমতা অর্জন করে। রোজাদার ব্যক্তি দৈহিক খিচুনি (Body congestion) ও মানসিক অস্হিরতার ( Mental depression) এর মুখোমুখি হয় না।
বাস্তব জ্ঞান বিবর্জিত লোকদের বলতে শোনা যায়, দুনিয়ার কোষাগার তো খালি নয় তাহলে অনাহারে থাকবে কেনো? তাদের এ খোড়া যুক্তির ক্ষেত্রে সালমান ফারসি রাযি. এর জ্ঞানগর্ভ উত্তরটিই যথেষ্ট। তিনি বলেন, সিয়াম সাধনার অন্যতম তাৎপর্য হলো নিজের উদরপূর্তি করে যেনো ক্ষুদার্তের কথা ভুলে না যাই। এজন্য সিয়াম সাধনা করি আমরা। স্ট্যালিন ও লেলিন-এর চেয়ে অনেক উন্নত সাম্য ও সামাজিকতার শিক্ষা রয়েছে ইসলামের সিয়াম সাধনায়।

যুক্তির বিচারেও সিয়ামের অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য। হজম প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমরা জানি, যে অঙ্গগুলো এ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়, সেগুলো একে অপরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যেমন- মুখ ও চোয়ালের মধ্যে লালার কোষ, জিহবা, গলা, খাদ্যনালী (Alimentary canal) পাকস্থলী, বার আঙ্গুল বিশিষ্ট অন্ত্র, যকৃতের আঠাযুক্ত পদার্থ এবং অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ। এসব স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে কার্যকর হয়। যেমন: আমরা যখন আহার শুরু করি অথবা আহারের ইচ্ছা করি, তখনই এগুলো সচল হয়ে উঠে এবং প্রতিটি অঙ্গ তার কাজ শুরু করে দেয়। এ প্রক্রিয়ায় সমস্ত অঙ্গ ২৪ ঘন্টা ব্যস্ত থাকে। স্নায়ু চাপ এবং কুখাদ্য খাওয়ার ফলে তাতে এক প্রকার ক্ষয় সৃষ্টি হয়।

কিন্তু সিয়াম এসব হজম প্রক্রিয়ার উপর এক মাসের জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দেয়। এর আশ্চর্যজনক প্রভাব পড়ে যকৃতের ওপর। কেননা, যকৃতের দ্বায়িত্বে খাবার হজম করা ব্যতীত আরো পনেরো প্রকার কাজ রয়েছে। যেসব দ্বায়িত্ব পালন করতে করতে যকৃত অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে। অধিকন্তু, হজমের জন্য নির্গত পিত্তের আর্দ্র পদার্থে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এবং যকৃতের কাজের উপরও বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে থাকে। তাই যকৃতের বিশ্রাম দরকার।

সিয়ামের উসিলায় যকৃত চার থেকে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত বিশ্রাম গ্রহণ করে। যা রোজা ব্যতীত অন্য কোনোভাবে সম্ভবপর ছিলো না। কেননা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর খাবার এমনকি ১ গ্রামের এক-দশমাংশও যদি পাকস্থলীতে প্রবেশ করে, তাহলে হজম প্রক্রিয়ার সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গ তার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে এ দাবী খুবই যুক্তিযুক্ত যে, যকৃতের এ অবসর গ্রহণের সময়কাল বছরে কমপক্ষে একমাস হওয়া একান্ত বাঞ্ছনীয়।

এ সময়কার যেসব স্বাস্থ্য সচেতন লোকেরা সুস্বাস্থ্যের অসাধারণ মূল্য নিরূপণ করে থাকেন, তারা অনেকবার ডাক্তারি পরীক্ষা দ্বারা নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চেষ্টা করেন। কিন্তু যদি যকৃতের মধ্যে কথা বলার শক্তি থাকত, তাহলে সে নির্দ্বিধায় চিৎকার করে বলত, সিয়াম দ্বারাই তোমরা আমার উপর বিরাট বড় করুণা করতে পারো।

আল্লাহ তায়া’লা প্রতিটি প্রাণীর সুস্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ এক নিয়মনীতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সিয়াম হচ্ছে যার উন্নততর নিদর্শন। কারণ, চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের উপায় নিহিত আছে পাকস্থলীর বিশ্রামে। যা পানাহার বন্ধ রেখে তাকে দিতে হয়৷ আর পাকস্থলীর উপরই রয়েছে শারীরিক সুস্থতার প্রধান নির্ভরতা। দুনিয়ার প্রায় সকল ধর্ম তার অনুসারীদের জন্য এই পদ্ধতি রেখেছে। হিন্দুরা ২৪ ঘণ্টার ব্রত বা সিয়াম পালন করে থাকে। যদিও এর ধরণ-ধারণ ভিন্ন। তারা ব্রতকালে শস্য অথবা আগুনে রান্না করা কিছু খায় না। অবশ্য কাঁচা দুধ, পানি, হুক্কা ইত্যাদি তাদের ব্রতের জন্য অন্তরায় নয়৷ খ্রিস্টানরা শুধুমাত্র মাছ-মাংস অথবা আরো দু'একটি জিনিস পরিহার করাকে সিয়াম বলে গণ্য করে থাকে। এমনিভাবে ইহুদিদের সিয়াম সাধনাতেও কিছু বিষয় নিষিদ্ধ, আর কিছু বিষয় নয়।
ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী পূর্ণ এক চন্দ্রমাস সিয়াম সাধনায় কাটাতে হয়। এটাই হওয়া উচিত, সিয়ামের মূল তাৎপর্য ও উপকারিতার বিচারে। সিয়ামের অন্য যেসব রূপ আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেগুলো আমাদের এর প্রধান উপকার ও তাৎপর্য পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম নয়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলামের এক চন্দ্রমাস সিয়াম সাধনা নিতান্ত যুৎসই। অপরদিকে চান্দ্রবৎসর ও সৌরবৎসরে বছরে দশ দিনের ব্যবধান হয়ে থাকে। তাই ছত্রিশ বছরে শীত ও গরম উভয় মৌসুমে সিয়াম পাই আমরা। ফলত, পৃথিবীর সকল স্থানের বাসিন্দাদের উভয় মৌসুমে সিয়াম সাধনার অভিজ্ঞতা অর্জন হয়। চান্দ্রবৎসরের সাথে সিয়ামের বিধানকে জুড়ে দিয়ে ইসলাম বিশ্বব্যাপী এক ইনসাফি ব্যবস্থা কায়েম করে দিয়েছে।

সর্বোপরি, সিয়াম সাধনায় রয়েছে আত্মসংবরণ ও আত্মসংযমের অপূর্ব শিক্ষা। একজন তাগড়া মুসলিম যুবক সিয়ামের সময় তীব্র গরমের মধ্যেও পিপাসা সহ্য করে চলে। অতিসংগোপনেও পানির কুলি সে ফেলে দিচ্ছে, গিলছে না। এতে রয়েছে চারিত্রিক দৃঢ়তার সুনিপুণ শিক্ষা। আত্মিক উৎকর্ষতার অনন্য মোহনা। যাতে পৌঁছাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

পঠিত : ৪৯৫ বার

মন্তব্য: ০