Alapon

খোশ আমদেদ মাহে রমযান

বুক রিভিউ

বইঃ খোশ আমদেদ মাহে রমযান
লেখকঃ খুররম মুরাদ
প্রকাশনায়ঃ আধুনিক প্রকাশনী
প্রথম প্রকাশঃ ১৯৮৯ সাল
৮ম প্রকাশঃ এপ্রিল, ২০১৫
বিনিময়ঃ ২৫ টাকা

উম্মতে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি মহান আল্লাহর বড় বড় নেয়ামত সমুহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাহে রমাদান। এটি এমন একটি মাস, যে মাসের একেকটি নফল ফরজের সমান হয়। আর একেকটি ফরজ সত্তর থেকে শুরু করে সাতশ পর্যন্ত বৃদ্ধি হওয়ার ঘোষণা এসেছে মহান রব আল্লাহর পক্ষ থেকে।

রমাদান মাস এতই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার অনেক গুলো কারণের মধ্যে মূল কারণটি হচ্ছে- এই মাসে মানবজাতির হেদায়তের পথনির্দেশিকা, মানবজাতির জীবন অতিবাহিত করার গাইডলাইন আল কুরআন নাযিল হয়েছে এই মাসে। আর সেই কুরআনের সম্মানেই মূলত রমাদান এতই গুরুত্ব। কিন্তু আমরা কি কুরআনকে সেভাবে গুরুত্ব দিই যেভাবে কুরআন আমাদের কাছ থেকে গুরুত্ব দাবী করে? আমরা কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য কিংবা কুরআনের দাবী অনুযায়ী কি রমাদানকে অতিবাহিত করি? রমাদান এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? রমাদান আমাদের কাছে কী চায়- এসব বিষয় নিয়ে কি প্রকৃতপক্ষে আমরা কখনো ভেবে দেখি?

বিশ শতকের ইসলামিক স্কলার পৃথিবী খ্যাত ইঞ্জিনিয়ার জনাব খুররম মুরাদ রহিমাহুল্লাহ তাঁর খোশ আমদেদ বইয়ে এসবের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। ৪৮ পৃষ্ঠার এই বইটিকে তিনি চারটি অধ্যায়ে ভাগ করেছেন।

★প্রথম অধ্যায়- রমযানুল মোবারকঃ কুরআন মাজীদ ও তাকওয়া।
★দ্বিতীয় অধ্যায়- আপনারা কি করবেন?
★তৃতীয় অধ্যায়- শেষ আকাঙ্ক্ষা।
★চতুর্থ অধ্যায়- রোযার আদব ও হাকীকত।

এই চারটি অধ্যায়ের দ্বিতীয় ও চতুর্থ অধ্যায় প্রত্যেক মুসলমানের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় অধ্যায়ে “আপনারা কি করবেন” শিরোনামে লেখক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দশটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন- যা সচেতন প্রত্যেক মুসলমান যারা রমাদানকে নিজেদের জীবনের পট পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাদের জানা আবশ্যক।

আর চতুর্থ অধ্যায়ে “রোযার আদব ও হাকীকত” শিরোনামে ছয়টি পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন যা রমাদানকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়ার ক্ষেত্রে খুবই ভূমিকা পালন করে।

জনাব খুররম মুরাদের প্রত্যেকটি বই-ই অসাধারণ। তন্মধ্যে এই বইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা তাঁর এই বান্দাকে উত্তম জাযা দান করুক।

সর্বোপরি রহমাত, মাগফিরাত ও নাজাতের পয়গাম নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হওয়া মাহে রমাদান থেকে তখনই আমরা উপকৃত হবো যখন এই রমাদানের উদ্দেশ্য আমরা উপলব্ধি করতে পারবো। নতুবা আমরা সেই রমাদান-ই অতিবাহিত করবো যার ব্যাপারে রাসূলের ভবিষ্যতবাণী হলো, তোমাদের মধ্যে এমন কতক লোক রয়েছে যাদের রোযা উপবাস ছাড়া আর কিছু হয় না।

তাই রমাদান ফরজ হওয়ার মূল হাকীকত, কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য, আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ইত্যাদি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এসব জানার ক্ষেত্রে “খোশ আমদেদ মাহে রমযান” বইটি অনেক কার্যকর হবে বলেই প্রত্যাশা করছি।

রমাদানকে যারা মুক্তির একমাত্র মাধ্যম বানাতে চান রমাদান শুরু হওয়ার আগেই তাদেরকে বইটি পড়ার অনুরোধ করছি।

পঠিত : ৫১৯ বার

মন্তব্য: ০